অলিভার টুইস্ট (উপন্যাস): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১৩ নং লাইন:
এক রাতে বিল সাইক্স অলিভারকে নিয়ে টেমস্ নদীর তীরে এক বাড়ির সামনে গেল। চুরি করার উদ্দেশ্যে শীর্ণকায় অলিভারকে রান্নাঘরের ছোট জানালা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করিয়ে দিল। চুরির কোন ইচ্ছেই তার ছিল না। মনস্থির করেছিল বাড়ির মালিককে চোরদের উপস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করবে। কিন্তু তার আগেই বাড়ির কাজের লোক তার উপস্থিতি টের পেয়ে অলিভারকে গুলি করে সাংঘাতিক জখম করে। বিল সাইক্স তাড়াতাড়ি করে অচেতন অলিভারকে জানালার বাইরে টেনে দৌড়ে পালাতে লাগলো। পেছনে মানুষের নাগালের বাইরে যেতে অর্ধমৃত অলিভারকে একটা মাঠে ফেলে পালিয়ে গেল।
 
পরদিন অলিভার জ্ঞান ফিরে পেল। গত রাতে যে বাড়িতে গিয়েছিল সেখানে নিজেকে টেনে নিয়ে গেল। গৃহকর্ত্রী ও তার পালিত কন্যা রোজ তার সরলতায় মুগ্ধ হলো। তাকে তারা পুলিশে দিল না। বুঝলো সে ইচ্ছে করে চোরের দলে যায়নি। অলিভার তার অতীত জীবনের কথা সব খুলে বললো। তার দিনগুলো এখানে ভালই কাটছিল কিন্তু একদিন জানালার বাইরে বিল সাইক্স ও তার এক অসৎ মঙ্কস জানালার বাইরে থেকে তাকিয়ে রইলো। অলিভার চিৎকার করে উঠলো। চিৎকার শুনে তারা পালিয়ে গেল। সম্ভাব্য বিপদের হাত থেকে অলিভারকে রক্ষা করতে লন্ডনে পাঠানো হলো। বিল সাইক্সের সঙ্গিনী ন্যান্সির হৃদয়ে অলিভারের প্রতি এক মমতা কাজ করতো। লুকিয়ে সে মঙ্কস্ ও ফ্যাগিনের কথা শুনে ব্রাউনলোকে সব জানায়। মিঃ ব্রাউনলো ও মি. লোসবোর্ন জানতে পারে মঙ্কস নামের ব্যক্তিটি আসলে তার বৈমাত্রেয় ভাই। সে সব সম্পত্তি গ্রাস করতে চায়। তাদের পিতার উইলে ছিল অলিভার যদি কোন দুর্নামের কাজ করে তবে সে কোন কিছুই পাবে না। অলিভারকে পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার উদ্দেশ্যে চুরির কাজে লিপ্ত করার জন্য ফ্যাগিন কে নিয়োজিত করেছিল মঙ্কস্। ফ্যাগিন এই কাজে ন্যান্সি এবং বিল সাইক্সের ওপর ন্যস্ত করে, কিন্তু, শেষ পর্যন্ত তাদের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
 
== বাংলা চলচ্চিত্রায়ন ==