একাদশী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
YOGAMAYEE (আলোচনা | অবদান)
পাতাটি পরিবর্তন করা হয়েছে।
ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত
YOGAMAYEE (আলোচনা | অবদান)
পাতাটি পরিবর্তন করা হয়েছে।
ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত
১০৪ নং লাইন:
মার্গশীর্ষ (অগ্রহায়ণ) মাসের শুক্লাপক্ষের পূণ্যপ্রদায়ী একাদশীকে মোক্ষদা একাদশী বলে। মোক্ষদা একাদশীর পূণ্যতিথিতে গীতা জয়ন্তী পালন করা হয়। এই দিনেই কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধক্ষেত্রে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে গীতার জ্ঞান প্রদান করেন। ব্রহ্মান্ড পূরাণে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও যুধিষ্ঠিরের কথোপকথনে মোক্ষদা একাদশীর কথা বর্ণিত হয়েছে। শাস্ত্রে এই একাদশী সম্পর্কে নিম্নরূপ কাহিনী পাওয়া যায়।<ref>http://www.hknet.org.nz/ekadasi-2.htm#Mokshada</ref>
 
কোন এক সময় চম্পক নগরে বৈখানস নামে এক রাজা ছিলেন। তিনি ছিলেন বৈষ্ণব গুণে গুণান্বিত। তাঁরতার রাজ্যে অনেক বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণ বাস করতেন। রাজ্যের প্রজাদের তিনি সন্তানের মত ভালবাসতেন। তার প্রজারা ছিল সবাই সমৃদ্ধশালী। তিনি একদিন স্বপ্নে দেখলেন যে, তাঁরতার প্রয়াত পিতা নরকে পতিত হয়ে নরক যন্ত্রণা ভোগ করছেন। তিনি তাঁরতার স্বপ্নের কথা রাজ্যের ব্রাহ্মনদের জানালেন এবং বললেন যে পিতাকে নরক যন্ত্রণা ভোগ করতে দেখে তিনি মানসিকভাবে ভীষণ কষ্টে আছেন। তখন রাজা রাজ্যের ব্রাহ্মণদের কাছে তার পুর্বপুরুষদের মুক্তির উপায় জানতে চাইলেন। তখন ব্রাহ্মনগণ রাজাকে পর্বথ মুনির আশ্রমে যেতে পরামর্শ দিলেন। ব্রাহ্মনগণ রাজাকে আরো বললেন যে, সেই ত্রিকালজ্ঞ মহর্ষিই শুধুমাত্র তাঁরতার পূর্বপুরুষদের মুক্তির উপায় বলতে পারবেন।
 
ব্রাহ্মণদের উপদেশ শ্রবণ করে রাজা বৈখানস তাদের সঙ্গে নিয়ে পর্বথ মুনির আশ্রমে গেলেন। তাঁরাতারা মুনিবরকে দূর থেকে সস্টাঙ্গে প্রনাম করে তাঁরতার নিকটে গেলেন। মুনি তখন রাজাকে তাঁরতার কুশল জিজ্ঞেস করলেন। তখন রাজা মুনিকে তাঁরতার স্বপ্নের কথা বিস্তারিত বললেন এবং নরক যন্ত্রণা থেকে পিতার মুক্তির উপায় জানতে চাইলেন। মুনি তখন ধ্যানস্থ হয়ে রাজাকে বললেন, তাঁরতার পিতা পূর্বজন্মের পাপের ফলে নরক যন্ত্রণা ভোগ করছেন। মুনি রাজাকে আরও বললেন যে, তিনি যদি মার্গশীর্ষ (অগ্রহায়ণ) মাসের শুক্লাপক্ষের পূণ্যপ্রদায়ী মোক্ষদা একাদশী পালন করে সেই পূণ্য পিতাকে অর্পন করেন তাহলে তাঁরতার পিতা নরক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন।
 
মুনির কথা শোনার পর রাজা নিজ গৃহে ফিরে এলেন। এরপর মোক্ষদা একাদশীর পূণ্য তিথিতে তিনি স্ত্রী, পুত্রসহ একাদশী ব্রত পালন করলেন। ব্রতের পূণ্যফল তিনি পিতার উদ্দেশ্যে প্রদান করলেন। তখন রাজার পিতা নরক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেয়ে স্বর্গে গমন করলেন।