বৌদ্ধ ধ্যান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Janilin.bappi (আলোচনা | অবদান)
Janilin.bappi (আলোচনা | অবদান)
→‎শমথ ধ্যান: সংশোধন
৩০৫ নং লাইন:
 
== শমথ ধ্যান ==
শমথ ধ্যান হল মনোযোগ বা সমাধির গঠন করা যা প্রশান্তির মাধ্যমে স্থাপিত হয়।{{sfnp|বিশুদ্ধিমাগ্‌গবুদ্ধঘোষ|৫ম শতাব্দী}} এর মূল লক্ষ্য হলো মনকে শান্ত করা এবং একাগ্রতা স্থাপন করা।{{sfnp|বিশুদ্ধিমাগ্‌গবুদ্ধঘোষ|৫ম শতাব্দী}} মতান্তরে এর মাধ্যমে অতি-প্রাকৃতিক ক্ষমতার অর্জন করা যায়। শমথ ধ্যানে চল্লিশ প্রকারের অনুশীলন রয়েছে।{{sfnp|বিশুদ্ধিমাগ্‌গবুদ্ধঘোষ|৫ম শতাব্দী}}
 
=== দশ কসিন (কৃৎস্ন) ধ্যান ===
দশ প্রকারের বিষয় আছে যাকে নিমিত্ত করে ধ্যান করা হয়, যাদের একত্রে দশ কসিন বলা হয়ে থাকে।{{sfnp|বিশুদ্ধিমাগ্‌গবুদ্ধঘোষ|৫ম শতাব্দী}}
 
১) পৃথিবী কসিন ধ্যান: পৃথিবী তথা মাটিকে বিষয় করে যখন ভাবনা করা হয় তখন তাকে পৃথিবী কসিন ধ্যান বলা হয়ে থাকে।পৃথিবী কসিন ধ্যান আবার ২ প্রকারের হয়ে থাকে, প্রস্তুতকৃত ও প্রকৃতিগত। চারপ্রকার দোষ (লাল, নীল, সাদা ও হলুদ রঙ) বিবর্জিত, গেরুয়া রঙের মাটি নিয়ে কসিন প্রস্তুত করা হয়। মাটি থেকে ঘাস-গুল্ম, পাথর ইত্যাদি পরিষ্কার করে পানিতে মিশিয়ে কাদায় পরিণত করে দেড় বিঘত বনাম দেড় বিঘত ন্যাকড়া নিয়ে তাতে চার আঙ্গুল পুরু মাটির বৃত্ত প্রস্তুত করে নিতে হয়। এটা শুকিয়ে গেলে, ঐ ন্যাকড়াটি যেকোন স্থানে নিয়ে যাওয়া যায়। প্রস্তুত শেষে, সেই নিমিত্ত এক জায়গায় রেখে, তার থেকে আড়াই হাত দূরে এবং ষোল আঙ্গুল উঁচু স্থানে বসে, মনোনিবেশ করে ধ্যান করতে হয়। এভাবে পঞ্চম ধ্যান পর্যন্ত উপনীত হওয়া যায়।{{sfnp|বিশুদ্ধিমাগ্‌গবুদ্ধঘোষ|৫ম শতাব্দী}}
 
২) আপ কসিন ধ্যান: এই ধ্যানের নিমিত্ত হলও পুকুর, জলাশয়, হ্রদ, সমুদ্র বা পাত্রে পূর্ণ পানি। পানিতে কোন রঙ থাকা যাবে না, অর্থাৎ তাকে বর্ণহীন হতে হবে। এরপর তাকে নিমিত্ত করে ধ্যান করতে হয়। এভাবে পঞ্চম স্তর পর্যন্ত ধ্যান করা যায়।{{sfnp|বিশুদ্ধিমাগ্‌গবুদ্ধঘোষ|৫ম শতাব্দী}}
 
৩) তেজ কসিন ধ্যান: এই ধ্যানের বিষয় হল আগুনের শিখা। আগুন জ্বালানোর পর তার সামনে মাদুর, মোটা কাপড, চাটাই ধরণের যেকোন কিছু চার আঙ্গুল সমান গোল করে ছিদ্র করে, তাতে মনোনিবেশ করে ধ্যান করতে হয়। এভাবে পঞ্চম স্তর পর্যন্ত ধ্যান করা যায়। {{sfnp|বিশুদ্ধিমাগ্‌গবুদ্ধঘোষ|৫ম শতাব্দী}}
 
৪) বায়ু কসিন ধ্যান: এই ধ্যানে বাতাসকে অনুভব করে ধ্যান করতে হয়। বাতাসে দুলছে এমন কিছুতে মনোনিবেশ করে ধ্যান করা যায়। এভাবে পঞ্চম স্তর পর্যন্ত ধ্যান চালিয়ে যাওয়া যায়।{{sfnp|বিশুদ্ধিমাগ্‌গবুদ্ধঘোষ|৫ম শতাব্দী}}
 
৫) নীল কসিন ধ্যান: এই ধ্যানের বিষয়বস্তু নীল রঙের ফুল বা কাপড়। নীল ফুলের বাঁট দেখা না যায়, এভাবে রেখে বা নীল রঙের মণ্ডল প্রস্তুত করে তাতে মনোনিবেশ করে ধ্যান করা যায়। এভাবে পঞ্চম স্তর পর্যন্ত ধ্যান চালিয়ে নেওয়া যায়।{{sfnp|বিশুদ্ধিমাগ্‌গবুদ্ধঘোষ|৫ম শতাব্দী}}
 
৬) পীত কসিন ধ্যান: এই ধ্যানের বিষয়বস্তু হলুদ রঙের ফুল বা কাপড়। হলুদ ফুলের বাঁট দেখা না যায়, এভাবে রেখে বা হলুদ রঙের মণ্ডল প্রস্তুত করে তাতে মনোনিবেশ করে ধ্যান করা যায়। এভাবে পঞ্চম স্তর পর্যন্ত ধ্যান চালিয়ে নেওয়া যায়।{{sfnp|বিশুদ্ধিমাগ্‌গবুদ্ধঘোষ|৫ম শতাব্দী}}
 
৭) লোহিত কসিন ধ্যান: এই ধ্যানের বিষয়বস্তু লাল রঙের ফুল বা কাপড়। লাল ফুলের বাঁট দেখা না যায়, এভাবে রেখে বা লাল রঙের মণ্ডল প্রস্তুত করে তাতে মনোনিবেশ করে ধ্যান করা যায়। এভাবে পঞ্চম স্তর পর্যন্ত ধ্যান চালিয়ে নেওয়া যায়।{{sfnp|বিশুদ্ধিমাগ্‌গবুদ্ধঘোষ|৫ম শতাব্দী}}
 
৮) অবদাত কসিন ধ্যান: এই ধ্যানের বিষয়বস্তু সাদা রঙের ফুল বা কাপড়। সাদা ফুলের বাঁট দেখা না যায়, এভাবে রেখে বা সাদা রঙের মণ্ডল প্রস্তুত করে তাতে মনোনিবেশ করে ধ্যান করা যায়। এভাবে পঞ্চম স্তর পর্যন্ত ধ্যান চালিয়ে নেওয়া যায়।{{sfnp|বিশুদ্ধিমাগ্‌গবুদ্ধঘোষ|৫ম শতাব্দী}}
 
৯) আলোক কসিন ধ্যান: এই ধ্যানের বিষয়বস্তু হল জানালা বা দেয়ালের ছিদ্র দিয়ে আসা আলোক রশ্মি। এতে মনোনিবেশ করে ধ্যান করতে হয়। এভাবে পঞ্চম স্তর পর্যন্ত ধ্যান চালিয়ে নেওয়া যায়।{{sfnp|বিশুদ্ধিমাগ্‌গবুদ্ধঘোষ|৫ম শতাব্দী}}
 
১০) আকাশ কসিন ধ্যান: এই ধ্যানের বিষয় হল দৃশ্যমান আকাশ। জানালা বা দেয়ালের ছিদ্র নিয়ে দেখা যায় এমন পরিমাণ দৃশ্যকে কেন্দ্র করে ধ্যান করতে হয়। এভাবে পঞ্চম স্তর পর্যন্ত ধ্যান চালিয়ে নেওয়া যায়।{{sfnp|বিশুদ্ধিমাগ্‌গবুদ্ধঘোষ|৫ম শতাব্দী}}
 
= থেরবাদ =