আন্দ্রিয়াস ফ্রানৎস ভিলহেলম শিম্পার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
২৭ নং লাইন:
শিম্পার [[স্ট্রাসবুর্গ|স্ট্রাসবুর্গ (বর্তমানে ফ্রান্সের অংশ)]] শহরে বিশিষ্ট বৈজ্ঞানিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা [[ভিলহেল্ম ফিলিপ শিম্পার]] স্ট্রাসবুর্গ শহরের প্রাকৃতিক ইতিহাস জাদুঘরের পরিচালক ছিলেন। এছাড়াও ভিলহেল্ম [[ব্রায়োফাইটা]] উদ্ভিদ সম্বন্ধে একজন বিশেষজ্ঞ ছিলেন। এছাড়াও তিনি ভূতত্ত্ব বিষয়ে অধ্যাপনা করেন। [[গিওর্গ ভিলহেল্ম শিম্পার]] (১৮০৪-১৮৭৮) তার বাবার চাচাতো ভাই ছিলেন। গিওর্গ [[আরব্য]] ও [[আফ্রিকা]] অঞ্চলে কর্মরত একজন প্রথিতযশা সংগ্রহকারী ও অভিযাত্রী ছিলেন। প্রকৃতিবিদ [[কার্ল ফ্রেডরিখ শিম্পার]]-ও আন্দ্রিয়াস এর একজন আত্মীয় ছিলেন।
 
১৮৭৪ থেকে ১৮৭৮ সালে শিম্পার [[স্ট্রাসবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়|স্ট্রাসবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে]] অধ্যয়ন করেন। তিনি সেখান থেকেই পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি পরবর্তীতে [[লিওঁ]] শহরে কাজ করেন। ১৮৮০ সালে শিম্পার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ করেন। তিনি সেখানে [[জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়|জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের]] ফেলো নির্বাচিত হন।
 
১৮৮২ সালে [[বন বিশ্ববিদ্যালয়|বন বিশ্ববিদ্যালয়ে]] শিম্পার শিক্ষকতা শুরু করেন। তিনি সেখানে [[এডওয়ার্ড স্ট্রাসবুর্গার]] এর সঙ্গে কাজ করেন। ১৮৮৩ সালে শিম্পার [[ক্লোরোপ্লাস্ট]] এর এন্ডোসিমবায়োটিক উৎপত্তি সম্পর্কে ধারণা প্রদান করেন। এর ফলে [[কনস্তান্তিন মেরেসচাউস্কি]] এবং [[লিন মারগুলিস]] [[জৈবিক সহাবস্থান]] তত্ত্ব প্রদানে সক্ষম হন।<ref> Schimper, A. F. W. (1883). "Über die Entwicklung der Chlorophyllkörner und Farbkörper". Bot. Zeitung. 41: 105–14, 121–31, 137–46, 153–62.</ref> তিনি কোষের টিস্যুতত্ত্ব, [[ক্রোমাটোফোর]] ও স্টার্চের [[বিপাক]] প্রক্রিয়া নিয়েও গবেষণা করেন। ১৮৮৬ সালে শিম্পার বন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক নিযুক্ত হন। তিনি [[ওয়েস্ট ইন্ডিজ]] ও [[ভেনিজুয়েলা|ভেনিজুয়েলায়]] ১৮৮২-১৮৮৩ সালে অভিযাত্রা পরিচালনা করেন। ১৮৮৬ সালে শিম্পার [[ফ্রিৎস মুলার|ফ্রিৎস মুলারের]] সঙ্গে [[ব্রাজিল]] ভ্রমণ করেন। ১৮৮৯-১৮৯০ সালে তিনি সিংহল (বর্তমান [[শ্রীলঙ্কা]]), মালয় (বর্তমান [[মালয়েশিয়া]] ও [[সিঙ্গাপুর]]), [[বোগোর]] ও [[জাভা|জাভা দ্বীপ]] ভ্রমণ করেন।
 
১৮৯৮ সালে শিম্পার [[বাসেল বিশ্ববিদ্যালয়|বাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের]] উদ্ভিদবিজ্ঞানের অধ্যাপক নিযুক্ত হন। ঐ বছর তিনি জার্মানি কর্তৃক আয়োজিত ভালদিভিয়া অভিযাত্রায় যোগ দান করেন। অধ্যাপক [[কার্ল চুন|কার্ল চুনের]] নেতৃত্বে এসএস ভালদিভিয়ায় তারা সমুদ্রযাত্রা করেন। ভ্রমণটি নয় মাস দীর্ঘ ছিল। এসময় শিম্পার [[ক্যানারি দ্বীপ]], [[ক্যামেরুন]], [[কেপ টাউন]], [[কার্গুয়েলেন]] , নিউ আমস্টারডাম, [[কোকোস দ্বীপ]], [[সুমাত্রা]], [[মালদ্বীপ]], সিংহল, [[সেশেল]] ও [[লোহিত সাগর]] ভ্রমণ করেন।
 
শিম্পার [[প্লাস্টিড]] এর একটি নিখুঁত ও পরিষ্কার বর্ণনা প্রদান করেন। ১৮৯৯ সালে তিনি বাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞানের অধ্যাপক নিযুক্ত হন। ক্যামেরুন ও দার-এস-সালামে তিনি ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হন। ১৯০১ সালে ৪৫ বছর বয়সে শিম্পার শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
 
==প্রকাশনা==
 
শিম্পার ফ্লানজেনজিওগ্রাফি আউফ ফিজিওলজিশ্চার গ্রুন্ডলাগে রচনার জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত। ১৮৯৮ সালে [[জেনা বিশ্ববিদ্যালয়]] রচনাটি প্রকাশ করে। সেখানে তিনি উদ্ভিদের সম্প্রসারণ ও পরিবেশবিজ্ঞান নিয়ে বিস্তারিত ধারণা প্রদান করেন।
 
এ সময় রুশ মৃত্তিকাবিজ্ঞানীদের সাথে সহমত হয়ে শিম্পার বলেন, উদ্ভিদবসতি কিছু নির্দিষ্ট জলবায়ু অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ থাকে। অন্যান্যদের মধ্যে [[ফ্রেডরিক এডওয়ার্ড ক্লিমেন্টস]] ১৯১৬ সালে এবং ভূজীববিজ্ঞানী [[হাইনরিখ ভাল্টার]] ১৯৫৪ সালে এ ধারণার সম্প্রসারণ ঘটান।
 
১৮৯৪ সালে শিম্পার উদ্ভিদবিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তক লেহব্রুক ডার বোটানিক রচনা করেন। ১৯০২ সাল পর্যন্ত এর প্রকাশিত সংস্করণগুলোর পঞ্চম অধ্যায়ের সম্পাদক হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। <ref>{{Citeওয়েব webউদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://dfg-viewer.de/show/?set[mets]=https%3A//digital.ub.uni-duesseldorf.de%2Foai%2F%3Fverb%3DGetRecord%26metadataPrefix%3Dmets%26identifier%3D1720645|titleশিরোনাম=DFG-Viewer: Syllabus der Vorlesungen über pflanzliche Pharmacognosie|websiteওয়েবসাইট=dfg-viewer.de}}</ref>
 
==তথ্যসূত্র==