যোগেশচন্দ্র বাগল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ইটালিক
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৩ নং লাইন:
| image = Jogeshchandra_Bagal.jpg
| birth_date = ২৭ মে ১৯০৩
| birth_place = কুমিরমারা, [[বরিশাল ]], [[বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি|বেঙ্গল]], [[বৃটিশ ভারত]]
| death_date = ৭ জানুয়ারি ১৯৭২ (বয়স ৬৯)
| death_place = [[ব্যারাকপুর ]], [[পশ্চিমবঙ্গ ]], [[ভারত]]
| occupation = সাংবাদিকতা , ইতিহাসবিদ
| nationality = [[ভারতীয়]]
| spouse =
১৩ নং লাইন:
 
'''যোগেশচন্দ্র বাগল '''({{lang-en|Jogesh Chandra Bagal}}) (২৭ মে, ১৯০৩ — ৭ জানুয়ারি, ১৯৭২) ভারতের [[বাঙালি জাতি|বাঙালি]] সাংবাদিক, গবেষক ও ইতিহাসবিদ।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=কলকাতার কড়চা |লেখক= |সংবাদপত্র=আনন্দবাজার পত্রিকা |তারিখ=11 July 2011 }}</ref><ref name="সংসদ">সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, ''সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান'', প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৬, পৃষ্ঠা ৬১৪,৬১৫, {{আইএসবিএন|978-81-7955-135-6}}</ref>
 
==জন্ম ও শিক্ষা জীবন==
যোগেশচন্দ্র বাগলের জন্ম অবিভক্ত বাংলার [[বরিশাল জেলা|বরিশাল জেলার]] কুমিরমারা গ্রামে মাতুলালয়ে। পিতার নাম জগবন্ধু বাগল আর মাতার নাম তরঙ্গিনী দেবী। তবে তাঁর পৈত্রিক নিবাস ছিল ওই জেলারই চালিশা গ্রামে। গ্রামের রামচরণ দের পাঠশালায় তাঁর বিদ্যাভ্যাস শুরু। ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে কদমতলা উচ্চ ইংরাজী বিদ্যালয় থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বাগেরহাট কলেজে (বর্তমানে [[সরকারী পি.সি কলেজ]]) ভর্তি হন। ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে আই.এ পাশ করেন। এরপর উচ্চ শিক্ষার্থে চলে আসেন [[কলকাতা|কলকাতায়]]। ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার সিটি কলেজ থেকে বি.এ পাশ করে [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়|কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে]] এম.এ শ্রেণীতে ভর্তি হন, কিন্তু আর্থিক কারণে লেখাপড়া সম্পূর্ণভাবে করতে পারেন নি।
 
==কর্মজীবন==
 
১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে [[রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়]] প্রতিষ্ঠিত '[[প্রবাসী (পত্রিকা)|প্রবাসী]]' ও '[[মডার্ন রিভিউ (কলকাতা)|মডার্ন রিভিউ]]' পত্রিকার সম্পাদকীয় বিভাগে যোগ দেন। এখানে তাঁর সহকর্মী ছিলেন [[ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়]], [[সজনীকান্ত দাস]], [[নীরদচন্দ্র চৌধুরী]] প্রমুখ গবেষক ও সাহিত্যিকবৃন্দ। তাঁদের প্রেরণায় তিনি গবেষণার কাজে মনোনিবেশ করেন। ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে তাঁর গবেষণামূলক গ্রন্থ 'ভারতের মুক্তিসন্ধানী' প্রকাশের সাথে সাথে বিশেষ পরিচিতি লাভ করেন। ইতিমধ্যে তিনি ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে [[আনন্দবাজার পত্রিকা]] গোষ্ঠীর '[[দেশ (পত্রিকা)|দেশ]]' সাহিত্য পত্রিকায় যোগ দেন এবং এখানে আন্তর্জাতিক বিষয় ও সম্পর্কে লিখতেন। ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে আবার 'প্রবাসী' তে ফিরে যান এবং ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলার আগে পর্যন্ত নিয়মিত কাজ করেছেন। কিন্তু অন্ধ অবস্থাতেও তাঁর গবেষণা বিরামহীন ছিল না। এই সময়ে ইণ্ডিয়ান আর্ট কলেজের শতবার্ষিকী স্মারক গ্রন্থ সম্পাদনা ও নিজের 'হিন্দুমেলার ইতিবৃত্ত' গ্রন্থ পরিমার্জনা এবং 'ভারতকোষ' ও সাহিত্য-সাধক-চরিতমালার কাজ করেছেন । ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দ হতে আগাগোড়া [[বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ |বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের]] সাথে নানাভাবে যুক্ত ছিলেন। এছাড়া ইণ্ডিয়ান হিস্টরিক্যাল রেকর্ডস কমিশন, রিজিওনাল রেকর্ডস কমিশন ([[পশ্চিমবঙ্গ]]) এর সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। তিনি সাহিত্য সংসদ কর্তৃক প্রকাশিত একটি খণ্ডে ইংরাজিসহ মোট তিনটি খণ্ডে 'বঙ্কিম রচনাবলী' এবং 'রমেশ রচনাবলী'র সম্পাদনা করেছেন। স্ত্রীশিক্ষা সম্বন্ধে তাঁর লেখা ইংরাজীতে 'Women's Education in Eastern India' এবং 'স্ত্রীশিক্ষার কথা' বই দুখানি বিশেষ তথ্যবহুল। তাঁর রচিত গ্রন্থের সংখ্যা ৩৫ এর বেশি।
 
২৬ ⟶ ২৮ নং লাইন:
* ''বিদ্রোহ ও বৈরিতা''
* ''Peasant Revolution of Bengal''<ref name="সংসদ" />
 
==সম্মাননা==
 
বাংলা সাহিত্য বিষয়ে ও গবেষণায় স্বীকৃতিতে [[বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ]] ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে তাঁকে 'রামপ্রাণ গুপ্ত পুরস্কার' প্রদান করে। এছাড়া তিনি ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে 'সরোজিনী বোস স্মৃতি স্বর্ণপদক' এবং ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে 'শিশিরকুমার পুরস্কার' লাভ করেন। ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে বিদ্যাসাগর স্মৃতি বক্তৃতা ও ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে শরৎচন্দ্র স্মৃতি বক্তৃতা দেন<ref name = "সংসদ" />
 
==মৃত্যু==
 
যোগেশচন্দ্র বাগল ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের ৭ ই জানুয়ারি ৬৯ বৎসর বয়সে [[ব্যারাকপুর|ব্যারাকপুরে]] প্রয়াত হন।
 
==জন্ম ও শিক্ষা জীবন==
 
যোগেশচন্দ্র বাগলের জন্ম অবিভক্ত বাংলার [[বরিশাল জেলা|বরিশাল জেলার]] কুমিরমারা গ্রামে মাতুলালয়ে। পিতার নাম জগবন্ধু বাগল আর মাতার নাম তরঙ্গিনী দেবী। তবে তাঁর পৈত্রিক নিবাস ছিল ওই জেলারই চালিশা গ্রামে। গ্রামের রামচরণ দের পাঠশালায় তাঁর বিদ্যাভ্যাস শুরু। ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে কদমতলা উচ্চ ইংরাজী বিদ্যালয় থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বাগেরহাট কলেজে (বর্তমানে [[সরকারী পি.সি কলেজ]]) ভর্তি হন। ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে আই.এ পাশ করেন। এরপর উচ্চ শিক্ষার্থে চলে আসেন [[কলকাতা|কলকাতায়]]। ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার সিটি কলেজ থেকে বি.এ পাশ করে [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়|কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে]] এম.এ শ্রেণীতে ভর্তি হন, কিন্তু আর্থিক কারণে লেখাপড়া সম্পূর্ণভাবে করতে পারেন নি।
 
==তথ্যসূত্র==