আর্যভট্ট: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Shariat1729 (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Shariat1729-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Waraka Saki-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
১৮ নং লাইন:
আর্যভট্টের কাজে দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির পূর্ণ ব্যবহার পাওয়া যায়। আর্যভট্ট অবশ্য তার কাজে প্রচলিত [[ব্রাহ্মী লিপি]] ব্যবহার করেননি। পদবাচ্যের আকারে গ্রন্থ রচনা করায় সংখ্যা উপস্থাপনের একটি নিজস্ব পদ্ধতি তৈরি করেছিলেন তিনি। সেখানে সংখ্যাকে শব্দের আকারে উপস্থাপন করা হত। ব্যঞ্জনবর্ণগুলোকে তিনি ব্যবহার করতেন বিভিন্ন অঙ্ক হিসেবে আর স্বরবর্ণগুলোর সাহায্যে বুঝিয়ে দিতেন যে কোন অঙ্কটি কোন অবস্থানে রয়েছে। সে দিক থেকে তার ব্যবহৃত দশমিক সংখ্যা ব্যবস্থা ঠিক আজকের দশমিক সংখ্যা ব্যবস্থার মত নয়, তবে পদ্ধতিগত বিবেচনায় আজকের দশমিক সংখ্যার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
তার দশমিক সংখ্যা পদ্ধতিতে শূন্য ছিল কিনা সে বিষয়ে দ্বন্দ্ব্ব রয়েছে। শূন্যের সমতুল্য একটি ধারণা তার কাজে ছিল, সেটিকে বলা হয়েছে ‘খ’ (শূণ্যতা অর্থে)। ‘খ’ এর ধারণাটি কোন অঙ্ক হিসেবে ছিল নাকি শূন্যস্থান জ্ঞাপক চিহ্ন হিসেবে ছিল সেটি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। প্রচলিত বইগুলোতে সেটিকে শূন্যস্থান জ্ঞাপক চিহ্ন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যদিও Georges Ifrah দাবি করেছেন যে আর্যভট্ট পরোক্ষভাবে সেটিকে একটি দশমিক অঙ্ক হিসেবেই ব্যবহার করতেন। তবে দশমিক পদ্ধতিকে ব্যবহার করে তিনিই প্রথম পূর্ণাঙ্গ গাণিতিক প্রক্রিয়া বর্ণনা করেন, এর মাঝে ছিল সংখ্যার বর্গমূল ও ঘনমূল নির্ণয়। এটিই ছিল দশমিক সংখ্যা ব্যবস্থাকে পূর্ণাঙ্গরূপে স্থাপিত করার জন্য সবচেয়ে বেশি জরুরি, কারণ স্থানাঙ্ক ব্যবস্থায় এ সংখ্যার উপস্থাপন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সভ্যতায় ব্যবহার করা হলেও স্থানাঙ্ক ব্যবস্থায় গাণিতিক প্রক্রিয়াগুলোর ব্যবহারটি প্রতিষ্ঠা করা হয়নি, সুতরাং এটির পদ্ধতিগত উপযোগিতা সম্পূর্ণরূপে অণুধাবিত হয়নি। সে সময় সবচেয়ে জরুরি ছিল দশমিক পদ্ধতি ব্যবহার করে পদ্ধতিগত সাধারণীকরণ নিশ্চিত করা, যেটি সর্বপ্রথম করেন আর্যভট্ট। তাই তিনিই পূর্ণাঙ্গ দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি প্রবর্তনের কৃতিত্বের দাবিদার। ৪৯৮ সালের দিকের একটি কাজে আর্যভট্টের একটি কাজে দশমিক সংখ্যা ব্যবস্থার বিবৃতিতে ''স্থানম স্থানম দশ গুণম'' বাক্যাংশটি পাওয়া যায় যার অর্থ হল- স্থান থেকে স্থানে দশ গুণ করে পরিবর্তিত হয়। এখান থেকে স্পষ্টতই বর্তমান দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির মূল বৈশিষ্ট্যের স্বীকৃতি মেলে।
 
=== পাই এর মান অনুমান ===
আর্যভট্ট পাই এর মান নির্ণয়ে অনেক কাজ করেছেন এবং সর্বশেষে ফলাফল স্বরূপ বলেছেন যে পাই একটি অমূলদ সংখ্যা। ''আর্যভট্টম'' এর দ্বিতীয় খন্ডে তিনি বলেন, <blockquote>চতুরাধিকাম শাতাম আষ্টা গুণাম দ্বাষষ্টি সাহাস্রানাম
 
আয়ুতাদ্বায়া বিষ্কাম্ভাস সান্নো বৃত্তাপারিণাহাহঃ
 
"১০০ এর সাথে ৪ যোগ কর, ৮ দ্বারা গুণ দাও এবং তার সাথে ৬২০০০ যোগ কর এর মাধ্যমে ২০০০০ ব্যাসবিশিষ্ট কোনো বৃত্তের পরিধি বের করা যায়। " <ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Geometry: Seeing, Doing, Understanding|শেষাংশ=Jacobs|প্রথমাংশ=Harold R.|বছর=2003|প্রকাশক=W.H. Freeman and Company|অবস্থান=New York|পাতাসমূহ=৭০|আইএসবিএন=0-7167-4361-2}}</ref> </blockquote>এ থেকে আমরা যা পাই তা হলো ২০০০০ একক ব্যাস বিশিষ্ট কোনো বৃত্তের পরিধি হবে ৬২৮৩২ অর্থাৎ, π = ৬২৮৩২/২০০০০ = ৩.১৪১৬ যা দশমিকের পর চার দশমিক স্থান পর্যন্ত সঠিক। বলা হয়ে থাকে আর্যভট্ট ''আসন্ন'' শব্দটি ব্যবহার করেছেন, যদি এটি হয়েই থাকে তাহলে পাই এর অমূলদ ধর্ম আবিষ্কারক হিসেবে তাকেই ধরা হবে যদিও বর্তমান ধারণা অনুসারে পাই এর অমূলদ ধর্মের আবিষ্কারক হিসেবে ল্যম্বার্ট কে ধরা হয়। <ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Indian Mathematics and Astronomy: Some Landmarks.|শেষাংশ=Balachandra Rao|প্রথমাংশ=S.|বছর=1998|প্রকাশক=Jnana Deep Publications|অবস্থান=Bangalore|পাতাসমূহ=|আইএসবিএন=81-7371-205-0}}</ref>
 
আর্যভট্টের বই আরবিতে অনুবাদ হওয়ার পর [[আল খোয়ারিজমি|খারিজমি]] তার বীজগণিতের বইয়ে এর উল্লেখ করেন।
 
=== ত্রিকোণমিতি ===
২৪৫ ⟶ ২৩৬ নং লাইন:
পরবর্তীকালে এ ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য ভারতবর্ষে কুত্তক পদ্ধতিটিই আদর্শ পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। আর্যভট্টের কাজে
প্রথম n সংখ্যক স্বাভাবিক সংখ্যার ঘাতবিশিষ্ট পদ সমূহের বর্গ ও ঘনের সমষ্টির সূত্রের উল্লেখ পাওয়া যায়।
 
=== পাইয়ের মান ===
আর্যভট্টীয় বইটির দ্বিতীয় অধ্যায়ে আর্যভট্ট লিখেছেন- “চার এর সাথে একশ যোগ করে তাকে আট দিয়ে গুণ করে তার সাথে বাষট্টি হাজার যোগ করা হলে বিশ হাজার একক ব্যাসের বৃত্তের পরিধি পাওয়া যায়”। সে হিসেবে আর্যভট্ট পাই এর মান নির্ণয় করেছিলেন ((4+100)×8+62000)/20000 = 62832/20000 = 3.1416, যেটা তার সময় পর্যন্ত যেকোন গণিতবিদের বের করা মানগুলোর মাঝে সবচেয়ে সঠিক।
 
== জ্যোতির্বিদ্যায় আর্যভট্টের অবদান ==