শেখ মুজিবুর রহমান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[পরীক্ষিত সংশোধন][পরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
১৬২ নং লাইন:
[[চিত্র:Tajuddin Ahmad and Sheikh Mujibur Rahman in 1969.jpg|থাম্ব|220 px|আগরতলা মামলা প্রত্যাহারের পর তাজউদ্দিনের সাথে শেখ মুজিব]]
 
সেনাবাহিনী কর্তৃক আটক হয়ে জেলে দুই বছর থাকার পর ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দের ৩রা জানুয়ারি পাকিস্তান সরকার শেখ মুজিবসহ ৩৫ জন<ref group ="টীকা">
সেনাবাহিনীআসামীরা কর্তৃকসকলেই আটকরাজনৈতিক হয়েব্যক্তিত্ব জেলে দুইতৎকালীন বছরপাকিস্তান থাকারসরকারের পরউচ্চপদস্থ ১৯৬৮কর্মকর্তা খ্রিষ্টাব্দেরছিলেন। ৩রাতারা জানুয়ারিহলেন পাকিস্তান-[[শেখ সরকারমুজিবুর শেখরহমান]]; আহমেদ ফজলুর রহমান, সিএসপি; [[মোয়াজ্জেম হোসেন|কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেন]]; [[স্টুয়ার্ড মুজিবুর রহমান]]; সাবেক এলএস সুলতানউদ্দীন আহমদ; এলএসসিডিআই নূর মোহাম্মদ; ফ্লাইট সার্জেন্ট মফিজ উল্লাহ; কর্পোরাল আবদুস সামাদ; সাবেক হাবিল দলিল উদ্দিন; রুহুল কুদ্দুস, সিএসপি; ফ্লাইট সার্জেন্ট মোঃ ফজলুল হক; [[ভূপতি ভূষণ চৌধুরী|বিভূতি ভূষণ চৌধুরী (ওরফে মানিক চৌধুরী)]]; বিধান কৃষ্ণ সেন; সুবেদার আবদুর রাজ্জাক; সাবেক কেরানি মুজিবুর রহমান; সাবেক ফ্লাইট সার্জেন্ট মোঃ আব্দুর রাজ্জাক; [[জহুরুল হক|সার্জেন্ট জহুরুল হক]]; এ. বি. খুরশীদ; খান মোহাম্মদ শামসুর রহমান, সিএসপি; একেএম শামসুল হক; হাবিলদার আজিজুল হক; মাহফুজুল বারী; সার্জেন্ট শামসুল হক; শামসুল আলম; ক্যাপ্টেন মোঃ আব্দুল মোতালেব; [[শওকত আলী (ডেপুটি স্পিকার)|ক্যাপ্টেন এ. শওকত আলী]]; [[খন্দকার নাজমুল হুদা|ক্যাপ্টেন খোন্দকার নাজমুল হুদা]]; [[এ. এন. এম. নূরুজ্জামান|ক্যাপ্টেন এ. এন. এম নূরুজ্জামান]]; [[আবদুল জলিল (সার্জেন্ট)|সার্জেন্ট আবদুল জলিল]]; [[মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী|মাহবুব উদ্দীন চৌধুরী]]; লেঃ এম রহমান; সাবেক সুবেদার তাজুল ইসলাম; আলী রেজা; ক্যাপ্টেন খুরশীদ উদ্দীন এবং মুজিবসহল্যাঃ ৩৫আবদুর জনরউফ।</ref> বাঙালি সামরিক ও সিএসপি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে যা ইতিহাসে [[আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা]] নামে সুপরিচিত।<ref name="আগরতলা বাংলাপিডিয়া" /> মামলায় পাকিস্তান দণ্ডবিধির ১২১ ও ১৩১ ধারা অনুসারে উল্লেখ করা হয়েছিল যে, শেখ মুজিবসহ এই কর্মকর্তারা ভারতের [[ত্রিপুরা]] অঙ্গরাজ্যের অন্তর্গত [[আগরতলা]] শহরে ভারত সরকারের সাথে এক বৈঠকে পূর্ব পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র করেছে।<ref name="REF" /> এতে শেখ মুজিবকে এক নম্বর আসামি করা হয় এবং পাকিস্তান বিভক্তিকরণ ষড়যন্ত্রের মূল হোতা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। অভিযুক্ত সকল আসামিকে [[ঢাকা সেনানিবাস|ঢাকা সেনানিবাসে]] অন্তরীণ করে রাখা হয়। ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৯শে জুন ঢাকা সেনানিবাসের এক বিশেষ ট্রাইবুনালে এ মামলার শুনানি শুরু হয়।<ref name="আগরতলা বাংলাপিডিয়া" /> বিচার চলাকালীন ২৬ জন কৌশলী ছিলেন। শেখ মুজিবের প্রধান কৌশলী ছিলেন আব্দুস সালাম খান। একটি অধিবেশনের জন্য ব্রিটেন থেকে আসেন আইনজীবী টমাস উইলিয়াম। তাকে সাহায্য করেন তরুণ ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম ও [[মওদুদ আহমেদ]]। মামলাটির মোট ১০০টি অনুচ্ছেদ ছিল। ১১ জন রাজসাক্ষী ও ২২৭ জন সাক্ষীর তালিকা আদালতে পেশ করা হয়। মামলায় সরকার পক্ষের আইনজীবী ছিলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মঞ্জুর কাদের, এম আর খান ও মুকসুদুল হাকিম।<ref name="আগরতলা বাংলাপিডিয়া" /> এর অব্যবহিত পরেই সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। মামলাটিকে মিথ্যা ও বানোয়াট আখ্যায়িত করে সর্বস্তরের জনসাধারণ শেখ মুজিবসহ অভিযুক্ত সকলের মুক্তির দাবিতে রাজপথে নেমে আসেন।
 
=== ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ===