বেদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
MaharajaAD (আলোচনা | অবদান)
→‎গাঠণিক বিভাজন: ব্যাকরণ ঠিক করা হয়েছে, লিংক সংযোজন
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
MaharajaAD (আলোচনা | অবদান)
→‎বেদের বিভাজন: ব্যাকরণ ঠিক করা হয়েছে, লিংক সংযোজন
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
১৩ নং লাইন:
 
== বেদের বিভাজন ==
বর্তমানে বেদকে '''ব্যাবহারিক''' ও '''গাঠণিক'''—এই দুই দু'পদ্ধতির বিভাজনে বিভাজিত অবস্থায় পাওয়া যায় ।যায়। উভয় পদ্ধতিতেই বেদ চার ভাগে বিভক্ত । বিভক্ত।
 
=== ব্যাবহারিক বিভাজন ===
ব্যাবহারিক বিভাজনগুলো যথাক্রমে ঋক, সাম, যজু্ঃ ও অথর্ব। বৈদিক ধর্মগ্রন্থ বা [[শ্রুতি]] ''সংহিতা'' নামে পরিচিত চারটি প্রধান সংকলনকে কেন্দ্র করে লিপিবদ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম তিনটি [[ঐতিহাসিক বৈদিক ধর্ম|ঐতিহাসিক বৈদিক ধর্মের]] [[যজ্ঞ]] অনুষ্ঠান-সংক্রান্ত:
২৩ ⟶ ২৪ নং লাইন:
বেদের প্রতিটি পদ [[মন্ত্র]] নামে পরিচিত। কোনো কোনো বৈদিক মন্ত্র আধুনিক কালে প্রার্থনা সভা, ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা অন্যান্য অনুষ্ঠানে পাঠ করা হয়ে থাকে।
 
==== ঋগ্বেদ ====
{{মূল|ঋগ্বেদ}}
পবিত্র ঋগ্বেদ হচ্ছে সবচেয়ে প্রাচীনতম বেদ এবং অতি গুরুত্বপূর্ণ জীবিত ভারতীয় লেখা। এই গ্রন্থটি মূলত ১০টি পুস্তকে ({{lang-sa|मण्डल}}) বিভক্ত যা ১,০২৮টি [[বৈদিক সংস্কৃত]] সূক্তের সমন্বয়। ঋগ্বেদে মোট ১০,৫৫২টি ‘ঋক’ বা ‘মন্ত্র’ রয়েছে।<ref>Riksarvanukramani Commentator Jagannath</ref><ref>Charanvyuh Commentator Mahidas</ref><ref>http://agniveer.com/mantras-rigveda/</ref> ‘ঋক’ বা স্তুতি গানের সংকলন হল [[ঋগ্বেদ সংহিতা]]।
 
ঈশ্বর, দেবতা ও প্রকৃতি বিষয়ক আলোচনা ঋগবেদে প্রাধান্য পেয়েছে।
 
==== যজুর্বেদ ====
{{মূল|যজুর্বেদ}}
'''যজুর্বেদ''' ({{lang-sa|यजुर्वेद}}, {{IAST |yajurveda}}, ''যজুস্‌'' বা ''গদ্য মন্ত্র'' ও ''বেদ'' বা ''জ্ঞান'' থেকে) হল গদ্য মন্ত্রসমূহের বেদ।<ref name="mwitzel76">Michael Witzel (2003), “Vedas and Upaniṣads”, in The Blackwell Companion to Hinduism (Editor: Gavin Flood), Blackwell, {{আইএসবিএন|0-631215352}}, pages 76-77</ref> যজুর্বেদ [[বৈদিক সংস্কৃত ভাষা]]য় রচিত একটি প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ। [[যজ্ঞ|যজ্ঞের]] আগুনে পুরোহিতের আহুতি দেওয়ার ও ব্যক্তিবিশেষের পালনীয় আচার-অনুষ্ঠানগুলির পদ্ধতি এই গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে।<ref name=mwitzel76/> যজুর্বেদ [[হিন্দুধর্ম|হিন্দুধর্মের]] সর্বোচ্চ ধর্মগ্রন্থ বেদের একটি ভাগ। ঠিক কোন শতাব্দীতে যজুর্বেদ সংকলিত হয়েছিল, তা জানা যায় না। তবে গবেষকদের মতে, আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১২০০ থেকে ১০০০ অব্দ নাগাদ, অর্থাৎ [[সামবেদ]] ও [[অথর্ববেদ]] সংকলনের সমসাময়িক কালে এই বেদও সংকলিত হয়।<ref name="mwitzel68">Michael Witzel (2003), “Vedas and Upaniṣads”, in The Blackwell Companion to Hinduism (Editor: Gavin Flood), Blackwell, {{আইএসবিএন|0-631215352}}, pages 68-70</ref>
 
==== সামবেদ ====
{{মূল|সামবেদ}}
'''সামবেদ''' ({{lang-sa|सामवेद}}) (''সামন্‌'' বা গান ও ''বেদ'' বা জ্ঞান থেকে) হল [[সংগীত]] ও [[মন্ত্র|মন্ত্রের]] বেদ।<ref name=staal107>Frits Staal (2009), Discovering the Vedas: Origins, Mantras, Rituals, Insights, Penguin, {{আইএসবিএন|978-0143099864}}, pages 107-112</ref> সামবেদ [[হিন্দুধর্ম|হিন্দুধর্মের]] সর্বপ্রধান ধর্মগ্রন্থ বেদের দ্বিতীয় ভাগ। এটি [[বৈদিক সংস্কৃত ভাষা|বৈদিক সংস্কৃত ভাষায়]] রচিত। সামবেদে ১,৮৭৫টি মন্ত্র রয়েছে।<ref>''সামবেদ-সংহিতা'', অনুবাদ ও সম্পাদনা: পরিতোষ ঠাকুর, হরফ প্রকাশনী, কলকাতা, গ্রন্থকারের নিবেদন, পৃঃ&nbsp;ঙ</ref> এই শ্লোকগুলি মূলত বেদের প্রথম ভাগ [[ঋগ্বেদ]] থেকে গৃহীত।<ref name=witzelsamaveda>[[Michael Witzel]] (1997), "[http://www.people.fas.harvard.edu/~witzel/canon.pdf The Development of the Vedic Canon and its Schools : The Social and Political Milieu]" in ''Inside the Texts, Beyond the Texts: New Approaches to the Study of the Vedas'', Harvard University Press, pages = 269-270</ref><ref>Axel Michaels (2004), Hinduism: Past and Present, Princeton University Press, {{আইএসবিএন|0-691-08953-1}}, page 51</ref> এটি একটি প্রার্থনামূলক ধর্মগ্রন্থ। বর্তমানে সামবেদের তিনটি [[শাখা (বেদ)|শাখার]] অস্তিত্ব রয়েছে। এই বেদের একাধিক পাণ্ডুলিপি [[ভারত|ভারতের]] বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আবিষ্কৃত হয়েছে।<ref name=rgriffith>Griffith, R. T. H. ''The {{IAST|Sāmaveda Saṃhitā}}'', {{আইএসবিএন|978-1419125096}}, page vi</ref><ref name=hastings>James Hastings, {{Google books|5D4TAAAAYAAJ|Encyclopaedia of Religion and Ethics}}, Vol. 7, Harvard Divinity School, TT Clark, pages 51-56</ref>
 
গবেষকেরা সামবেদের আদি অংশটিকে ঋগ্বৈদিক যুগের সমসাময়িক বলে মনে করেন। তবে এই বেদের যে অংশটির অস্তিত্ব এখনও পর্যন্ত রয়েছে, সেটি বৈদিক সংস্কৃত ভাষার পরবর্তী-ঋগ্বৈদিক মন্ত্র পর্যায়ে রচিত। এই অংশের রচনাকাল আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১২০০ থেকে ১০০০ অব্দের মাঝামাঝি কোনো এক সময়। তবে সামবেদ [[যজুর্বেদ]] ও [[অথর্ববেদ|অথর্ববেদের]] সমসাময়িক কালে রচিত।<ref>Michael Witzel [http://www.people.fas.harvard.edu/~witzel/canon.pdf The Development of the Vedic Canon and its Schools : The Social and Political Milieu] Harvard University</ref>
 
==== অথর্ববেদ ====
{{মূল|অথর্ববেদ}}
'''অথর্ববেদ''' ({{lang-sa|अथर्ववेद}}, ''অথর্বণ'' ও ''বেদ'' শব্দের সমষ্টি) হল [[হিন্দুধর্ম|হিন্দুধর্মের]] সর্বোচ্চ ধর্মগ্রন্থ বেদের চতুর্থ ভাগ। ‘অথর্ববেদ’ শব্দটি সংস্কৃত ‘অথর্বণ’ (দৈনন্দিন জীবনযাত্রার প্রণালী) ও ‘বেদ’ (জ্ঞান) শব্দ-দু’টির সমষ্টি।<ref name=lauriepatton38>Laurie Patton (2004), Veda and Upanishad, in ''The Hindu World'' (Editors: Sushil Mittal and Gene Thursby), Routledge, {{আইএসবিএন|0-415215277}}, page 38</ref> অথর্ববেদ বৈদিক সাহিত্যের পরবর্তীকালীন সংযোজন।<ref>Carl Olson (2007), The Many Colors of Hinduism, Rutgers University Press, {{আইএসবিএন|978-0813540689}}, pages 13-14</ref><ref name=lauriepatton57late>Laurie Patton (1994), Authority, Anxiety, and Canon: Essays in Vedic Interpretation, State University of New York Press, {{আইএসবিএন|978-0791419380}}, page 57</ref>। অথর্ববেদ [[বৈদিক সংস্কৃত ভাষা]]য় রচিত। ২০টি খণ্ডে বিভক্ত এই গ্রন্থে ৭৩০টি স্তোত্র ও প্রায় ৬,০০০ মন্ত্র আছে।<ref name=maurice1>Maurice Bloomfield, [https://archive.org/stream/atharvaveda00bloouoft#page/n5/mode/2up The Atharvaveda], Harvard University Press, pages 1-2</ref> অথর্ববেদের এক-ষষ্ঠাংশ স্তোত্র [[ঋগ্বেদ]] থেকে সংকলিত। ১৫শ ও ১৬শ খণ্ড ব্যতীত এই গ্রন্থের স্তোত্রগুলি নানাপ্রকার বৈদিক ছন্দে রচিত।<ref name=maurice1/> এই গ্রন্থের দুটি পৃথক [[শাখা (বেদ)|শাখা]] রয়েছে। এগুলি হল পৈপ্পলাদ ও শৌনকীয়। এই শাখাদুটি আজও বর্তমান।<ref name=fritsstaal136>Frits Staal (2009), Discovering the Vedas: Origins, Mantras, Rituals, Insights, Penguin, {{আইএসবিএন|978-0143099864}}, pages 136-137</ref> মনে করা হয় যে, পৈপ্পলাদ শাখার নির্ভরযোগ্য পাণ্ডুলিপিগুলি হারিয়ে গিয়েছে। তবে ১৯৫৭ সালে [[ওড়িশা]] থেকে একগুচ্ছ সুসংরক্ষিত তালপাতার পাণ্ডুলিপি আবিষ্কৃত হয়।<ref name=fritsstaal136/>
 
'https://bn.wikipedia.org/wiki/বেদ' থেকে আনীত