পতাকা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
2409:4061:385:37D7:2DE3:DEE6:F19E:A206-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে NahidSultanBot-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল
Aishik Rehman (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
৬ নং লাইন:
 
==পরিচিতি==
'''পতাকা''' এক খণ্ড বস্ত্র বিশেষ যা কোন গোষ্ঠী, দল, জাতি, দেশ বা সংগঠনের, এমনকী বিশেষ অনুষ্ঠানের প্রতীক তথা পরিচায়ক হিসাবে ব্যবহৃত হয়। সচরাচর চারকোণা একটুকরো সাদা বা রঙীন কাপড় পতাকা হিসাবে ব্যবহৃত হয়। ব্যবহারকালে পতাকার এক প্রান্ত একটি দণ্ডে বাঁধা হয়। পতাকার বস্ত্রখণ্ডে বিশেষ কোনও রংরঙ, নকশা, প্রতিকৃতি এবং চিহ্নের দ্বারা কোনও আদর্শ কিংবা বার্তা উৎকীর্ণ থাকতে পারে। আধুনিক বিশ্বের প্রায় প্রতিটি রাষ্ট্রের একটি করে স্বতন্ত্র পতাকা আছে যা [[জাতীয় পতাকা]] হিসাবে বিবেচিত।
 
== ইতিহাস ==
 
বাংলা "পতাকা" একটি সংস্কৃতজাত শব্দ। ‘পত্‌’ ধাতু থেকে এর উৎপত্তি। যথা:√ √ /পত্‌ + আক + আ = পতাকা। এটি স্ত্রী-বাচক শব্দ। পত্‌ অর্থ ধাবিত হওয়া, উড্ডীন হওয়া ইত্যাদি। ধ্বন্যাত্মক সম্পর্কও রয়েছে; কারণ পতাকা বাতাসে উড়লে 'পত্‌ পত্‌' শব্দ হয়। লাতিন শব্দ 'ভেক্সিলাম' [''vexillum'' ({{IPA-en|vɛkˈsɪləm}};] থেকে ইংরেজি ভাষার ''ফ্ল্যাগ'' শব্দের উৎপত্তি, যার অর্থ '''নিশান''' (উর্দ্দু: '''ঝাণ্ডা''' hf) এবং প্রতিশব্দ '''কেতন''', '''ধ্বজা''', '''বৈজয়ন্তী'''। খ্রিস্টপূর্ব ৫৫০ থেকে ৩৩০ অব্দে পারস্যে এক ধরনের পতাকার প্রচলন ছিল। যুদ্ধক্ষেত্রে সেনাদল সমন্বয়ের কাজে প্রথম পতাকা ব্যবহার হয়েছিল। মধ্যযুগে পতাকার ব্যাপক প্রচলন শুরু হয়। শুধু রাষ্ট্রীয় প্রতীক হিসেবেই নয়, বিভিন্ন কাজের সমন্বয়ের জন্য নানা আয়তন, রংরঙ ও নকশায় এটা তৈরি করা হতো। ১৩ শতকে ডেনমার্কে রাষ্ট্রীয় পতাকার প্রচলন ঘটে। এটাকেই সবচেয়ে পুরনো রাষ্ট্রীয় পতাকা হিসেবে ধরা হয়। ১৬৩০ খ্রিষ্টাব্দের পর এ ধরনের পতাকা তৈরিতে লাল, নীল ও সাদা রংয়েররঙয়ের ব্যবহারই বেশি দেখা যায়। ১৭৭৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ জুন [[যুক্তরাষ্ট্র|যুক্তরাষ্ট্রের]] জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি লাভ করে। ১৭৯৪ খ্রিষ্টাব্দের [[ফ্রান্স|ফ্রান্সে]] জাতীয় পতাকার উদ্ভব ঘটে। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২ মার্চ [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] পতাকা প্রথম উত্তোলন করা হয়। ভারতে এই পতাকাটিকে সাধারণত "তেরঙা" বা "ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকা" বলা হয়। [[পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া]] কৃত [[ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস|ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের]] "স্বরাজ" পতাকার ভিত্তিতে এই পতাকাটির নকশা প্রস্তুত করা হয়েছিল।
 
== বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ==
২৩ নং লাইন:
{{মূল নিবন্ধ|সাদা পতাকা}}
 
[[সাদা পতাকা]] আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত [[আত্মরক্ষামূলক প্রতীকিচিহ্ন]] যা [[সাময়িক যুদ্ধবিরতী]] কিংবা [[স্থায়ী যুদ্ধবিরতী|স্থায়ী যুদ্ধবিরতীর]] জন্যে প্রদর্শন করা হয়। বিবাদমান উভয় পক্ষের মধ্যেকার আলাপ-আলোচনার জন্যে প্রাথমিক অনুরোধ বার্তা হিসেবেও এর ব্যবহার রয়েছে। এছাড়াও এটি [[আত্মসমর্পণ|আত্মসমর্পণের]] [[প্রতীক|প্রতীকিরূপ]] যা কোন দেশের দূর্বল [[সামরিক বাহিনী|সামরিক বাহিনীর]] পক্ষ থেকে [[আলোচনা|আলোচনার]] জন্যে অনুরোধ বার্তা প্রেরণের মাধ্যম। ইতিহাসগত কিংবা স্থানীয়ভাবে [[সাদা]] রংযুক্তরঙযুক্ত পতাকা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে। তবে, এর বহুল ব্যবহার ঘটে থাকে মূলতঃ [[যুদ্ধ|যুদ্ধকালীন]] সময়ে। [[রোমান সাম্রাজ্য|রোমান সাম্রাজ্যে]] ইতিহাসবেত্তা [[কর্নেলিয়াস টেসিতাস]] উল্লেখ করেছেন যে, ১০৯ খ্রিষ্টাব্দে আত্মসমর্পণের জন্যে সাদা রঙের পতাকা ব্যবহার করা হয়েছিল। ঐ সময়ের পূর্বে [[রোমের সেনাবাহিনী]] তাদের আত্মসমর্পণের জন্যে মাথার উপর [[বর্ম্ম]] রাখতো।<ref>[http://www.slate.com/id/2080557/ Koerner, Brendan I. (March 21, 2003). Why Do Surrendering Soldiers Wave White Flags?. Slate.]</ref>
 
== কালো পতাকা ==