কান্তনগর মন্দির: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Areafin tawfiq (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
ShohagS (আলোচনা | অবদান)
ধ্বংসপ্রবণতা হিসাবে চিহ্নিত Areafin tawfiq (আলাপ)-এর করা 4টি সম্পাদনা বাতিল করে Ashiq Shawon-এর করা সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত। (টুইং)
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত
১৮ নং লাইন:
 
==ইতিহাস==
মন্দিরের উত্তর দিকের ভিত্তিবেদীর শিলালিপি থেকে জানা যায়, তৎকালীন দিনাজপুরের মহারাজা জমিদার প্রাণনাথ রায় তার শেষ বয়সে মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। [[১৭২২]] খ্রিষ্টাব্দে তার মৃত্যুর পরে তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তার পোষ্যপুত্র মহারাজা রামনাথ রায় [[১৭৫২]] খ্রিষ্টাব্দে মন্দিরটির নির্মাণ কাজ শেষ করেন। শুরুতে মন্দিরের চূড়ার উচ্চতা ছিলো ৭০ ফুট। [[১৮৯৭]] খ্রিষ্টাব্দে মন্দিরটি [[ভূমিকম্প|ভূমিকম্পের]] কবলে পড়লে এর চূড়াগুলো ভেঙে যায়। মহারাজা গিরিজানাথ মন্দিরের ব্যাপক সংস্কার করলেও মন্দিরের চূড়াগুলো আর সংস্কার করা হয়নি।
ধারণা করা হয়, সম্রাট আওরঙ্গজেব এর রাজত্বকালে রাজা প্রাণনাথকে ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ এর প্রেক্ষিতে সম্রাট আওরঙ্গজেব রাজা প্রাণনাথকে দিল্লীর দরবারে তলব করেন। রাজা প্রাণনাথ অমায়িক ও দুরদর্শী ছিলেন। তিনি বাংলা থেকে তৎকালীন সুগন্ধিযুক্ত কাটারিভোগ চাল, ঢাকাই মসলিন, হীরা ও পান্না নিয়ে দিল্লীর অভিমুখে রওনা হন। দিল্লীর দরবারে রাজা প্রাণনাথ নির্দোষ সাব্যস্ত হন, রাজার বিচক্ষণতা ও বিনয়ে মুগ্ধ হয়ে সম্রাট আওরঙ্গজেব তাকে মহারাজা উপাধি দেন। রাজা প্রাণনাথ মনস্থির করেন, রাজ্যে ফিরে তিনি ধর্মচর্চার জন্য মন্দির স্থাপন করবেন। নিজ রাজ্যে ফিরে তিনি মন্দির এর কাজে হাত দেন<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://runwaybirds.com/bn/archives/2615|শিরোনাম=কান্তমন্দির|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref>।
 
মন্দিরের উত্তর দিকের ভিত্তিবেদীর শিলালিপি থেকে জানা যায়, দিনাজপুরের মহারাজা জমিদার প্রাণনাথ রায় তার শেষ বয়সে মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। [[১৭২২]] খ্রিষ্টাব্দে তার মৃত্যুর পরে তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তার পোষ্যপুত্র মহারাজা রামনাথ রায় [[১৭৫২]] খ্রিষ্টাব্দে মন্দিরটির নির্মাণ কাজ শেষ করেন। শুরুতে মন্দিরের চূড়ার উচ্চতা ছিলো ৭০ ফুট। [[১৮৯৭]] খ্রিষ্টাব্দে মন্দিরটি [[ভূমিকম্প|ভূমিকম্পের]] কবলে পড়লে এর চূড়াগুলো ভেঙে যায়। মহারাজা গিরিজানাথ মন্দিরের ব্যাপক সংস্কার করলেও মন্দিরের চূড়াগুলো আর সংস্কার করা হয়নি।
 
== স্থাপত্য ==
মন্দিরের বাইরের দেয়াল জুড়ে পোড়ামাটির ফলকে লেখা রয়েছে [[রামায়ণ]], [[মহাভারত]] এবং বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনী। মন্দিরটি এমন একটি স্থাপত্য যার সর্বাঙ্গ মূর্তি দ্বারা বেষ্টিত। দেয়ালের উভয়পৃষ্ঠের ইটগুলি রক্তবর্ণ পোড়ামাটির  কারুকার্যের ফলক দিয়ে তৈরি। মন্দিরটিতে ১২ টি দরজা রয়েছে। মন্দিরের উত্তর দেয়ালে রাম-রাবণের ঘটনা, দক্ষিণে চণ্ডী বা কালীদেবীর যুদ্ধকান্ডের ঘটনা ফুটে তোলা হয়েছে। মন্দিরের চার দেয়ালে চিত্রিত হয়েছে রামায়ণ ও মহাভারতের কাহিনী। দক্ষিণ দেয়ালের নিচ থেকে প্রথম সারির টেরাকোটাগুলো পৌরাণিক চিত্র কিন্তু দ্বিতীয় সারির চিত্রগুলো মোঘল রাজত্বের বিভিন্ন ঘটনা। তৃতীয় সারিতে বৈদিক ও পৌরাণিক কাহিনী অলংকৃত। মন্দিরটির চার দেয়ালে ভাস্কর্যের চিত্র যেন চার খন্ডের মহাকাব্য। । পুরো মন্দিরে প্রায় ১৫,০০০-এর মতো টেরাকোটা টালি রয়েছে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=তিন তরুনের কান্তজী উদ্ধার |লেখক=মামুন আব্দুল্লাহ |বিন্যাস=মুদ্রণ |এজেন্সি= |সংবাদপত্র=দৈনিক প্রথম আলো |প্রকাশক= |অবস্থান=ঢাকা |তারিখ=মে ৩০, ২০০৩ |পাতা=২৫ |সংগ্রহের-তারিখ=জুন ১৯, ২০১০ |ভাষা=বাংলা}}</ref> উপরের দিকে তিন ধাপে উঠে গেছে মন্দিরটি। মন্দিরের চারদিকের সবগুলো খিলান দিয়েই ভেতরের দেবমূর্তি দেখা যায়। মন্দির প্রাঙ্গণ আয়তাকার হলেও, পাথরের ভিত্তির উপরে দাঁড়ানো ৫০ ফুট উচ্চতার মন্দিরটি বর্গাকার। নিচতলার সব প্রবেশপথে বহু খাঁজযুক্ত খিলান রয়েছে। দুটো ইটের স্তম্ভ দিয়ে খিলানগুলো আলাদা করা হয়েছে, স্তম্ভ দুটো খুবই সুন্দর এবং সমৃদ্ধ অলংকরণযুক্ত। মন্দিরের পশ্চিম দিকের দ্বিতীয় বারান্দা থেকে সিঁড়ি উপরের দিকে উঠে গেছে। মন্দিরের নিচতলায় ২১টি এবং দ্বিতীয় তলায় ২৭টি দরজা-খিলান রয়েছে, তবে তৃতীয় তলায় রয়েছে মাত্র ৩টি করে।
 
==টেরাকোটা==
[[টেরাকোটা|টেরাকোটায়]] অংকিত চিত্রগুলো – [[মোঘল]] সম্রাটের নৌবিহার, রাজ্যভিজান, আলবোলা পানরত মোঘল সম্রাট, কুর্নিশ গ্রহণরত [[শাহেনশাহ|শাহানশাহ]], ময়ুরপঙ্খি রাজকীয় নৌযান, সজ্জিত হস্তি, অস্তযুথ। [[ঐতিহাসিক বৈদিক ধর্ম|বৈদিক]] ধর্মের দেবদেবী-[[ব্রহ্মা]], [[শিব]], [[বিষ্ণু]], [[গণেশপুরাণ|গণেশ]], [[সূর্য (দেবতা)|সূর্য]], [[চণ্ডী]], মেনকা, পার্বতী ছাড়াও রথ, শিকল, [[শঙ্খ]], ঘন্টা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
 
[[পৌরাণিক]] চিত্রগুলো ছাড়াও নারী ও পুরুষ, দেবতা ও কিন্নর, যোদ্ধা ও শিকারী, গায়ক ও বাদক, ডাব আহরণরত কৃষক, ভাড়সহ গোয়ালা, বিশ্রামরত গৃহিণী, নৌকার মাঝি, গাছপালা, ফলমূল, লতাপাতা, কোরক ও [[হীরক|হীরাপান্না]] ইত্যাদি।
 
চিত্রফলকগুলোর আয়তর ও আকার বিভিন্ন সাইজের হলেও দেখে মনে হয় চিত্রফলকগুলো যেন অখন্ড। সর্বনিম্ন ৬ ইঞ্চি হতে সর্বোচ্চ ২০ ইঞ্চি আকারের ফলক বিদ্যমান।
 
মন্দিরের সমগ্র অংশের অসাধারণ শিল্পকর্মের মধ্যে রয়েছে ইউরোপীয় বণিক মূর্তি, ফিরিঙ্গিদের ব্যবসা বাণিজ্যের চিত্র, ১৫ টি দস্যুপ্রকৃতির [[ইউরোপীয় দস্যু|ইউরোপীয়]] বণিক মূর্তি। উত্তর দেয়ালে বম্বেটে দস্যুসম্বলিত জাহাজ রয়েছে। দক্ষিণ দেয়ালের পূর্বাংশের কার্নিশের নিচ থেকে বারান্দার উচ্চতা পর্যন্ত কিছু সৈনিক দ্বারা বিভিন্ন ভংগিতে নারীদের [[ধর্ষণের প্রকারভেদ|ধর্ষণের]] চিত্র অংকিত যা মন্দিরের পবিত্রতার অসংগতি। ধারণা করা হয়,এটি [[লংকা যুদ্ধের]] নারীদের প্রতি সহিংসতার ঘটনা চিত্রিত হয়েছে<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://runwaybirds.com/bn/archives/2615|শিরোনাম=কান্তমন্দির|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref>।
 
==কলকাতা বইমেলায় প্যাভিলিয়ন==