মরাল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
|||
২৩ নং লাইন:
[[File:Trumpeter Swaw (Cygnus buccinator) RWD1.jpg|thumb|জেকসন হোলে, একটি প্রাপ্তবয়স্ক ভেরিবাদক মরাল]]
মরালরা হচ্ছে জলমোরগের [[অ্যানাটিডি]] পরিবারের সবথেকে বড় সদস্য, এবং সবথেকে বড় উড়ন্ত পাখি। মূক মরাল, ভেরীবাদক মরাল,
উত্তর গোলার্ধের মরাল প্রজাতির পালক
দক্ষিণ আমেরিকার দুটি প্রজাতি বাদে, যাদের পায়ের রং গোলাপি, বাকি সব মরালদের পা-দুটি সাধারণত ঘন কালো ধূসর রঙের হয়। ঠোঁটের রঙে ভিন্নতা রয়েছেঃ চারটি উপ-সুমেরু প্রজাতির হলুদ রঙের কিছু বৈচিত্র্যতা সহ কালো ঠোঁট রয়েছে, এবং বাকি সবার আদর্শরূপ হিসেবে লাল এবং কালো ঠোঁট আছে। যদিও পাখিদের দাঁত নেই, তবে মরালদের দন্তবন্ত কিনারার ঠোঁট রয়েছে যা দেখতে ছোট ছোট খাঁজকাটা “দাঁতের” মতো, যেগুলো তাদের ঠোঁটেরই অংশ, যা দিয়ে তারা জলজ উদ্ভিদ এবং শেওলা ছাড়াও খোলকী, ছোট মাছ, ব্যাঙ এবং কীটপতঙ্গ ধরতে ও খেতে ব্যবহার করে।<ref>[http://www.rspb.org.uk/discoverandenjoynature/discoverandlearn/birdguide/name/m/muteswan/feeding.aspx "Mute Swan. Feeding"], Royal Society for the Protection of Birds</ref> [[মূক মরাল]] এবং
==ব্যাপ্তি এবং চলাফেরা==
৩৪ নং লাইন:
মরালদের সাধারণত উষ্ণপ্রধান পরিবেশে দেখতে পাওয়া যায়, তবে ক্রান্তীয় অঞ্চলে কদাচিৎ দেখা মিলে। উড়ার সময় মরালদের দলকে যুত বলা হয়। চারটি (অথবা পাঁচটি) প্রজাতি [[উত্তর গোলার্ধ|উত্তর গোলার্ধে]] পাওয়া যায়, একটি প্রজাতিকে [[অস্ট্রেলিয়া]] এবং [[নিউজিল্যান্ড]]-এ দেখা যায় এবং একটি প্রজাতিকে দক্ষিণ আমেরিকার দক্ষিণাঞ্চলে বিচরণ করতে দেখা যায়।তারা- ক্রান্তীয় [[এশিয়া]], [[মধ্য আমেরিকা]], [[দক্ষিণ আমেরিকা]]র উত্তরাঞ্চল এবং সমগ্র [[আফ্রিকা]]য় অনুপস্থিত। মূক মরাল, একটি প্রজাতিকে [[উত্তর আমেরিকা]], অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়।<ref name = "Ducks"/>
কয়েকটি প্রজাতি, পুরোপুরি বা আংশিকভাবে [[পাখি পরিযান|পরিযায়ী]]। পশ্চিম ইউরোপের এলাকা জুড়ে বিচরণ করলেও পূর্ব ইউরোপ এবং এশিয়ায় সম্পূর্ণরূপে পরিযায়ী হয়ে থাকার জন্য, তাদেরকে আংশিক পরিযায়ী পাখি বলে।
==আচরণ==
৪২ নং লাইন:
[[File:The swan attacks man.Hokkaido-toyako,人を襲う洞爺湖の白鳥P6200258モザイク.jpg|thumb|right|[[জাপান|জাপানের]] [[টোকিও]]তে, একটি 'মূক মরাল' একজন ফটোগ্রাফারকে তাড়িয়ে নিচ্ছে।]]
যদিও মরালরা ৪ এবং ৭ বছর বয়সে যৌনপরিপক্কতায় পৌঁছে, তারা সামাজিকভাবে একগামি বন্ধন গঠন করতে পারে তাদের ২০ মাস বয়সের সময় যা অনেক বছর দীর্ঘস্থায়ী হয়,<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |শেষাংশ=Ross |প্রথমাংশ=Drew |ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=AYyqe06fpS0C&pg=PA35 |সাময়িকী=National Parks |তারিখ=March–April 1998 |খণ্ড=72 |সংখ্যা নং=3–4 |পাতা=35 |শিরোনাম=Gaining Ground: A Swan's Song}}</ref> এবং কিছু ক্ষেত্রে এটা সারা জীবনের জন্য ঠিকে থাকে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ=Rees |প্রথমাংশ=Eileen |শিরোনাম=Partnerships in birds |সম্পাদক=Jeffrey M. Black, Mark Hulme |প্রকাশক=Oxford University Press |অবস্থান=Oxford |পাতাসমূহ=118–122 |অধ্যায়=6: Swans are one of the few species that can divert to homosexuality in times of loneliness. Mate fidelity in swans, an interspecific comparison |আইএসবিএন=0-19-854860-5}}</ref> 'মূক মরালের' জীবনকাল প্রায় ১০ বছরের বেশি, এবং মাঝেমাঝে এটা ২০ বছরেরও বেশি হয়, অপরদিকে
মরালরা আক্রমণাত্মকভাবে তাদের বাসা রক্ষা করার জন্য পরিচিত। এরকম একটি আক্রমণে এক ব্যক্তি ডুবে গিয়েছিল বলে মনে করা হয়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শেষাংশ=Waldren |প্রথমাংশ=Ben |তারিখ=16 April 2012 |ইউআরএল=https://news.yahoo.com/blogs/abc-blogs/killer-swan-blamed-mans-drowning-120835237--abc-news-topstories.html |শিরোনাম=Killer Swan Blamed for Man's Drowning |প্রকাশক=Yahoo News}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি| ইউআরএল=http://www.bbc.co.uk/news/magazine-17736292 | প্রকাশক=BBC News | শিরোনাম=Who, What, Why: How dangerous are swans? | তারিখ=17 April 2012}}</ref>
৪৮ নং লাইন:
==নিয়মানুগ এবং বিবর্তন==
[[File:Malgratecigno.JPG|thumb|ম্যালগ্রেট, [[ইতালি]]তে মূক মরাল]]
[[File:Black Swan and Cygnet.jpg|thumb|
[[File:Black-necked swan 745r.jpg|thumb|লন্ডন ওয়েটল্যান্ড সেন্টারে
[[File:Labod Grbec 01.jpg|thumb|লেক ব্লেড, [[স্লোভেনিয়া]]য় মূক মরাল]]
[[File:Granja comary Cisne - Escalavrado e Dedo De Deus ao fundo -Teresópolis.jpg|thumb|[[ব্রাজিল|ব্রাজিলের]] টেরেসোপোলিসে 'কালো মরাল']]
৬১ নং লাইন:
|label1=Cygnina
|1={{clade
|1=''[[Black-necked swan|Sthenelides melancoryphus]]'' (
|label2=''Cygnus''
|2={{clade
|label1=(''Chenopis'')
|1=''[[Cygnus atratus|C. atratus]]'' <small>(Latham, 1790)</small> (কৃষ্ণমরাল বা কালো মরাল)
|2={{clade
|label1=(''Cygnus'')
৮৩ নং লাইন:
'''বর্গ ''সিগনাস'''''
* উপবর্গ ''সিগনাস''
**[[মূক মরাল]], ''সিগনাস অলর (Cygnus olor)'', হচ্ছে একটি ইউরেশিয়ান প্রজাতি যা ইউরোপ জুড়ে দক্ষিণ রাশিয়া , চীন এবং রাশিয়ার উপকূলবর্তী অঞ্চলের
* উপবর্গ ''ছেনপিস''
**[[কৃষ্ণ মরাল]] বা ব্ল্যাক সোয়ান, অস্ট্রেলিয়ার ''সিগনাস অ্যাট্রাটাস(Cygnus atratus)'' , এটি নিউজিল্যান্ডেও পরিচিত।
৯১ নং লাইন:
* উপবর্গ ''অলর''
**[[রাজ মরাল]] বা হোপার সোয়ান, ''সিগনাস সিগনাস(Cygnus Cygnus)'' [[আইসল্যান্ড]] এবং উপ-সুমেরু ইউরোপ ও এশিয়ায় বংশ বিস্তার করে, শীতকালে ইউরোপের উষ্ণপ্রধান অঞ্চল এবং এশিয়ায় চলে আসে
**ভেরীবাদক মরাল, ''Cygnus buccinator'' হচ্ছে সবচেয়ে বড় উত্তর আমেরিকার মরাল। হোপার
**থুন্দ্রা মরাল, ''সিগনাস কলম্বিয়ানাস(Cygnus columbianus)'' হচ্ছে একটি ক্ষুদ্র মরাল প্রজাতি যা উত্তর আমেরিকার থুন্দ্রা অঞ্চলে বংশবৃদ্ধি করে , ভেরীবাদক মরালের চেয়ে অধিকতর উত্তরে। এরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শীতকাল কাটায়।
***বিউয়িক মরাল, সিগনাস বিউয়িক (''Cygnus'' (''columbianus'') ''bewickii'') হচ্ছে একটি ইউরেশিয়ান প্রজাতি যা শীতকালে আর্কটিক-রাশিয়া থেকে পশ্চিম ইউরোপ এবং পূর্ব এশিয়া (চীন, জাপান) পাড়ি জমায়। থুন্দ্রা মরাল প্রজাতি গঠন করে, এটাকে প্রায় ''সি কলম্বিয়ানাস (C. Columbianus)'' উপপ্রজাতি মনে করা হয়।
১২২ নং লাইন:
[[File:Herb Łabędź 1.svg|thumb|left|upright|"লেব্জ" ("মরালের" [[পোলীয় ভাষা|পোলীয়]] নাম) হচ্ছে একটি পোলীয়–লিথুয়ানিয়ান প্রতীক যা পোলীয়–লিথুয়ানিয়ান কমনওয়েলথের অধীনে অনেক পোলীয় ''[[szlachta]]'' এবং লিথুয়ানিয়ান ''[[Bajorai]]'' (মহৎ) পরিবারে ব্যবহার হয়। প্রদত্ত বৈকল্পিক প্রতীকীটি [[হেনরিক শিন্কিয়েউইচ]] এর পরিবারের।]]
পৌরাণিক কাহিনীতে মরাল খুব শক্তপুক্তভাবে স্থান করে নিয়েছে। [[গ্রিক পুরাণ|গ্রিক পুরাণে]], ‘লেডা এবং মরাল’ কাহিনীতে বর্ণনা করা হয়েছে যে [[হেলেন]],[[জিউস|জিউসের]] একটি ইউনিয়নে গর্ভবতী হয়েছিল এবং মরালের ছদ্মবেশে ছিল এবং লেডা [[স্পার্টা]]র রাণী হিসাবে ছিল।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ১=Young |প্রথমাংশ১=Peter|শিরোনাম=Swan|তারিখ=2008|প্রকাশক=Reaktion|অবস্থান=London|আইএসবিএন=978-1-86189-349-9|পাতা=70}}</ref> অন্যান্য ধ্রুপদী সাহিত্যের তথ্য থেকে বিশ্বাস করা হয় যে মৃত্যুতে মূক-মরাল চমৎকার গাইত, অন্যথায় নীরব থাকত—এভাবে ‘মরাল গান’ শব্দবাক্য আসে;<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=What is the origin of the phrase 'Swan song'?|ইউআরএল=http://www.phrases.org.uk/meanings/swan-song.html |প্রকাশক=phrases.org.uk|সংগ্রহের-তারিখ=2 December 2016}}</ref> এমনকি জুভেনালের ব্যঙ্গাত্মক তথ্যমতে ভালো নারীজাতি নির্দেশ করতে "দুর্লভ পাখি,
লির সন্তানদের সম্পর্কে কথিত [[আয়ারল্যান্ড|আইরিশ]] কিংবদন্তি এক বিমাতা তার সন্তানদের ৯০০ বছর মরালে রূপান্তর করে রাখে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=The Fate of the Children of Lir|ইউআরএল=http://www.ancienttexts.org/library/celtic/ctexts/lir.html|ওয়েবসাইট=www.ancienttexts.org|সংগ্রহের-তারিখ=2 December 2016}}</ref> কিংবদন্তী ‘‘টকমার্ক ইটেইন’’ এ, সিঢের রাজা (অন্তঃসলিলা-বাসস্থান, অতিপ্রাকৃত স্বত্বা) নিজেকে এবং আয়ারল্যান্ডের সবচেয়ে সুন্দরী নারী, ইটেইন, আয়ারল্যান্ডের রাজা ও সৈন্যবাহিনীর কাছ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য নিজেদের মরালে রূপান্তরিত করেন। মরালকে সম্প্রতি একটি আইরিশ স্মারক মুদ্রার উপর ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
১৩০ নং লাইন:
[[নর্স পুরাণ|নর্স পুরাণে]], দুটা মরাল রয়েছে যেগুলো আসগার্ডের রাজত্বে, [[ইসির|দেবতাদের]] ভূমিতে, পবিত্র কুপ উর্ড থেকে পানি পান করত। প্রস এডার অনুযায়ী, এই কূপের পানি এতো বিশুদ্ধ এবং পবিত্র যে যা-ই এই পানি স্পর্শ করে তা-ই একদম সাদা হয়ে যায়, এমনকি এই মরাল-যুগল এবং তাদের বংশধররাও এরকম হয়ে যায়। ''ভলানডার্কভিদা'', বা ''লে অফ ভলান্ড'' কবিতা, এডা কবিতার অংশবিশেষ, এটাতেও মরালের বিশুদ্ধতার বর্ণনা করা হয়।
[[ফিনল্যান্ড|ফিনিশ]] মহাকাব্য ''কালেভালা''তে আছে, একটি মরাল মৃত্যুপুরীর টৌনেলার টৌনি নদীতে বাস করত। এই গল্প অনুযায়ী, যে-ই এই মরালকে মারতে গিয়েছে, সে-ই ধ্বংস হয়ে গেছে। কালেভালা’র উপর ভিত্তি করে জীন সাইবেলাস ''লেমিংকাইনেন সয়টে'' রচনা করেন, যার দ্বিতীয় খণ্ডটি ''টৌনেলার মরাল'' ''(Tuonelan joutsen)'' শিরোনামে ছিল। বর্তমান সময়ে, পাঁচটি উড়ন্ত মরালকে [[নর্ডীয় রাষ্ট্রসমূহ]] প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করে, হোপার
ফরাসি ব্যঙ্গ-রচয়িতা [[ফ্রাঁসোয়া রাবলে]] তার ‘গারগান্তুয়া এন্ড পান্তাগ্রুয়েল’ এর মধ্যে লিখেছেন যে তার সম্মুখীন হওয়া সবথেকে সেরা টয়লেট পেপার হচ্ছে মরালের গলা।
১৪০ নং লাইন:
ল্যাটিন আমেরিকান সাহিত্যে, [[নিকারাগুয়া]]র কবি রুবেন দারিও (১৮৬৭–১৯১৬) মরালকে পবিত্র বলে শৈল্পিক অনুপ্রেরণার প্রতীক হিসেবে [[পাশ্চাত্য সংস্কৃতি]]তে কল্পিত মরালের দৃঢ়তায় নজর কাড়তে,‘রেপ অফ লেডা’ দিয়ে শুরু হয় এবং [[রিশার্ড ভাগনার|ভাগনারের]] ''লোহেনগ্রিন '' দিয়ে শেষ হয়। এ নিয়ে দারিওর সবথেকে জনপ্রিয় কবিতা হচ্ছে ''ব্লাসন – "কোট অব আর্মস"'' (১৮৯৬), এবং তার মরলারে ব্যবহার এটাকে আধুনিক কাব্য আন্দোলনে রূপ দেয় যা ১৮৮০-থেকে প্রথম বিশ্ব যুদ্ধ পর্যন্ত স্প্যানীয় ভাষার কবিতায় আধিপত্য বিস্তার করে। এটা ছিল স্প্যানীয় ভাষার কবিতায় একটি আধিপত্য যেটাকে মেক্সিকান কবি এনরিক গঞ্জালেজ মার্টিনেজ ''Tuércele el cuello al cisne – "মরালের গলায় মোচড়"'' (১৯১০) নামের একটি শিরোনামে [[চতুর্দশপদী]] কবিতার আধুনিকতা শেষের ঘোষণা দেয়ার প্রয়াস চালান।
মরালকে [[হিন্দুধর্ম|হিন্দুধর্মে]] খুব সম্মান করা হয়, এবং একে ঋষিতুল্য মনে করা হয়, যার প্রধান চরিত্রগত বৈশিষ্ট্য দুনিয়ার সাথে লেগে থাকা নয়, যেমনটি তাদের পালক জলের মধ্যে ভিজে না, ঠিক যেমনটি তুলনা করা হয়। মরালের [[সংস্কৃত]] শব্দ হচ্ছে
{| style="width=100%;"
১৫৯ নং লাইন:
==আরও পড়ুন==
* [[রাজকীয় মরাল]]
==বহিঃসংযোগ==
|