আর্মেনিয়ার ভূগোল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন:
[[আর্মেনিয়া|'''আর্মেনিয়া''']] হলো চারদিকে আবদ্ধ ট্রান্সককেশিয়া অঞ্চলের একটি দেশ। এটি [[কৃষ্ণ সাগর|কৃষ্ণ]] ও [[কাস্পিয়ান সাগর|কাস্পিয়ান সমুদ্রের]] মধ্যে অবস্থিত। এটি [[জর্জিয়া]] ও [[আজারবাইজান]] দ্বারা উত্তর এ পূর্বদিকে এবং দক্ষিণ ও পশ্চিমে [[ইরান]] এবং [[তুরস্ক|তুরস্কের]] সীমানাযুক্ত।
[[চিত্র:Koppen-Geiger Map ARM present.svg|থাম্ব|কোপেন জলবায়ু শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী আর্মেনিয়ার মানচিত্র।]]
অঞ্চলটি বেশিরভাগ পার্বত্য এবং সমতল। এখানে দ্রুত প্রবাহিত নদী ও কয়েকটি বনভূমিতে অনেক গাছ রয়েছে। [[কোপেন জলবায়ু শ্রেণিবিন্যাস]] অনুযায়ী দেশটির জলবায়ু উষ্ণ গ্রীষ্ম এবং শীতল শীতকালযুক্ত উচ্চভূমি মহাদেশীয় জলবায়ু। [[মাউন্ট আরাগাটস]] সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪,০৯০ মিটার উপরে উঠেছে।
=== অবস্থান ও পরিবেশ ===
১৬ ⟶ ১৪ নং লাইন:
আর্মেনিয়ার ২৯,৭৪৩ বর্গকিলোমিটার (১১,৪৮৩.৮ বর্গ মাইল) ক্ষেত্রফলের প্রায় অর্ধেকের উচ্চতা কমপক্ষে ২ হাজার মিটার (৬,৫৬২ ফুট) এবং দেশের মোট জায়গার কেবলমাত্র ৩% ৬৫০ মিটার (২,১৩৩ ফুট) এর নিচে অবস্থিত। নিম্নতম প্রান্তগুলো হলো সুদূর উত্তরে আরাস নদী এবং দেবেদ নদীর উপত্যকায়, যার উচ্চতা যথাক্রমে ৩৮০ এবং ৪৩০ মিটার (১,২৪৭ এবং ১,৪১১ ফুট)। লেসার ককাসাসের উচ্চতা ২,৬৪০ থেকে ৩,২৮০ মিটার (৮,৬৬১ এবং ১০,৭৬১ ফুট) এর মধ্যে। সীমাটির দক্ষিণ-পশ্চিমে রয়েছে আর্মেনিয়ান মালভূমি, যা তুরস্কের সীমান্তে [[আরাস (নদী)|আরাস নদীর]] দিকে দক্ষিণ-পশ্চিমে। মধ্যবর্তী পর্বতমালা এবং বিলুপ্ত আগ্নেয়গিরির সাহায্যে মালভূমিটি আচ্ছাদিত। এর মধ্যে বৃহত্তম, মাউন্ট আরগাটস এর উচ্চতা ৪,০৯০ মিটার (১৩,৪১৯ ফুট) এটি আর্মেনিয়ার সর্বোচ্চ চূড়া। বেশিরভাগ বাসিন্দা দেশের পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বাস করে, যেখানে দুটি প্রধান শহর অবস্থিত, [[ইয়েরেভান]] এবং গিউম্রি।
দেবেদ ও আকস্তাফা নদীর উপত্যকাগুলো পাহাড়ের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় উত্তর থেকে আর্মেনিয়ায় যাওয়ার প্রধান পথ তৈরি করে। [[লেক সেভান]] এর সর্বোচ্চ প্রস্থ ৭২.৫ কিমি (৪৫ মাইল) এবং ৩৬৭ কিলোমিটার (২৩৩ মাইল) দীর্ঘ, যা এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় হ্রদ। এটি মালভূমিতে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১,৯০০ মিটার (২৩৪ ফুট) উপরে অবস্থিত এবং এটি ১,২৭৯.১৮ বর্গ কিমি
ভূখণ্ডটি দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি উঁচুনিচু, যা বারগুশাত নদী দ্বারা নিষ্কাশিত হয়। ভূখণ্ডটি আরাস নদীর উপত্যকা থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে মৃদু। আর্মেনিয়ার বেশিরভাগ পানি আরাস বা তার শাখা নদী হ্রযদান দ্বারা প্রবাহিত, যা সেভান লেক থেকে প্রবাহিত হয়েছিল। আরাস তুরস্ক ও ইরানের সাথে আর্মেনিয়ার বেশিরভাগ সীমানা গঠন করে। জাঙ্গেজুর পর্বতমালা আর্মেনিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ সিউনিক এবং আজারবাইজানের সংলগ্ন নাখচিভান স্বায়ত্তশাসিত প্রজাতন্ত্রের মধ্যে সীমানা তৈরি করে।
২৭ ⟶ ২৫ নং লাইন:
'''ক্ষেত্রফল:'''
মোট: ২৯,৭৪৩ বর্গ কিলোমিটার<ref name=":0" />
বিশ্বে অবস্থান: ১৪৩তম
স্থল: ২৮,২০৩ বর্গ কিলোমিটার
জল: ১,৫৪০ বর্গ কিলোমিটার
'''স্থল সীমানা:'''
মোট: ১,৫৭০ কিলোমিটার
সীমানা দেশসমূহ: [[আজারবাইজান]] ও [[নাগর্নো-কারাবাখ|নাগর্নো-কারাবাখ প্রজাতন্ত্র]] (৫৬৬ কিমি), আজারবাইজান-নাখচিভান (২২১ কিমি), জর্জিয়া (২১৯ কিমি), ইরান (৪৪ কিমি) এবং তুরস্ক (৩১১ কিমি)।
উপকূল: ০ কিমি (চারদিকে আবদ্ধ থাকায়)
'''নিম্নতম প্রান্ত
'''সর্বোচ্চ প্রান্ত:''' মাউন্ট আরাগাটস (৪,৯০০ মিটার)<ref name=":0" />
'''প্রান্তবিন্দু:'''
প্রান্তবিন্দু (extreme points) হলো উচ্চতম ও নিম্নতম স্থানসহ এমন স্থানসমূহ যা অন্যান্য সব স্থান থেকে সবচেয়ে উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিমে অবস্থিত।
৬০ ⟶ ৫৮ নং লাইন:
=== সম্পদ ও ভুমির ব্যবহার ===
'''প্রাকৃতিক সম্পদ:''' সোনা, তামা, মলিবডেনাম, জিঙ্ক ও বক্সাইটের খনি
'''ভূমির ব্যবহার:'''
* আবাদি জমি: ৪.৪৫৬ বর্গ কিমি<ref name=":0" /> (১৫.৮%)
* স্থায়ী ফসল: ১.৯%▼
* স্থায়ী চারণভূমি: ৪.২%▼
* বনাঞ্চল: ১১.২%<ref name=":0" /> (২০১৮)
* অন্যান্য: ৩১.২% (২০১১)▼
'''সেচ সম্পন্ন ভূমি:''' ২.০৮৪ বর্গ কিমি▼
▲স্থায়ী ফসল
'''মোট নবায়নযোগ্য পানিসম্পদ:''' ৭.৭৭ ঘন মিটার▼
▲স্থায়ী চারণভূমি
আরমেনিয়াকে ক্যাস্পিয়ান সাগরের একটি বড় জল "সরবরাহকারী" হিসাবে বিবেচিত হয়; ফলস্বরূপ, দেশে জলের অভাব হয়, বিশেষত গ্রীষ্মে যখন বাষ্পীভবনের হার বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অতিক্রম করে। এটাই মূল কারণ যে প্রাচীন কাল থেকেই বাসিন্দারা এলাকায় জলাশয় এবং সেচ খাল তৈরি করেছে। লেক
'''মিঠাপানি উত্তোলন (গার্হস্থ্য / শিল্প / কৃষি):''' ▼
▲অন্যান্য
মোট: ২.৮৬ ঘন কিমি/বছর
▲সেচ সম্পন্ন ভূমি
মাথাপিছু: ৯২৯.৭ ঘন কিমি/বছর
▲মোট নবায়নযোগ্য পানিসম্পদ
▲আরমেনিয়াকে ক্যাস্পিয়ান সাগরের একটি বড় জল "সরবরাহকারী" হিসাবে বিবেচিত হয়; ফলস্বরূপ, দেশে জলের অভাব হয়, বিশেষত গ্রীষ্মে যখন বাষ্পীভবনের হার বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অতিক্রম করে। এটাই মূল কারণ যে প্রাচীন কাল থেকেই বাসিন্দারা এলাকায় জলাশয় এবং সেচ খাল তৈরি করেছে। লেক সেভেনে দেশের সর্বাধিক পরিমাণে জল রয়েছে।
▲মিঠাপানি উত্তোলন (গার্হস্থ্য / শিল্প / কৃষি)
=== পরিবেশসংক্রান্ত সমস্যা ===
১৯৮০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে পরিবেশ সমস্যার বিষয়ে একটি বিস্তৃত প্রকাশ্য আলোচনা শুরু হয়েছিল, যখন ১৯৮৬ সালে চেরনোবিলের চুল্লি বিস্ফোরণের পরে পরিবেশ সংক্রান্ত দলগুলো ইয়েরেভেনের তীব্র শিল্প বায়ু দূষণের এবং পারমাণবিক
ডিডিটির মতো বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ থেকে দূষণ দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে মাটির নিম্নমানকে আরও খারাপ করেছে।
আর্মেনিয়া তার পরিবেশগত সমস্যাগুলো সমাধান করার চেষ্টা করছে।
=== আরো দেখুন ===
[[ইউরোপের ভূগোল]]
[[আর্মেনিয়া]]
[[আর্মেনিয়ার ইতিহাস]]
=== তথ্যসূত্র ===
<references />
*{{loc}}
*{{CIA World Factbook}}
*এই নিবন্ধটিতে [[:en:United_States_Department_of_State|United_States_Department_of_State]] এর ওয়েবসাইট https://www.state.gov/countries-areas/ থেকে তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে।
|