খাজা আলীমুল্লাহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Great Hero32 (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
Great Hero32 (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
৪০ নং লাইন:
 
==কর্মকাণ্ড==
[[ঢাকা|শহরের]] সম্মিলিত কার্যক্রমে অংশ নেওয়া যেমন [[লালবাগ দুর্গ]] সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন ইত্যাদির মাধ্যমে তিনিনবাব আলীমুল্লাহ ঢাকা পৌর পরিষদে অংশ নেন। তিনি নিঃস্ব মানুষের কল্যাণে [[টাঙ্গাইল জেলা|টাঙ্গাইলের]] আতিয়া পরগনায় তার সম্পত্তির একটি ওয়াকফ তৈরি করেছিলেন।
 
১৮৪৩ সালে [[ঢাকার নায়েব নাজিম|ঢাকার শেষ নায়েব নাজিম]] গাজীউদ্দীন হায়দারের মৃত্যুর পর, আলিমুল্লাহআলীমুল্লাহ [[শিয়া]]দের কেন্দ্রীয় উৎসব [[মুহররম|মুহররমের]] সমস্ত ব্যয় বহন করেন এবং সরকার কর্তৃক ঢাকায় শিয়াদের তীর্থস্থান [[হুসেইনি দালান|দালানের]] ''মুতোয়াল্লি'' হিসেবে নিযুক্ত হন।
 
ইউরেশীয়া এবং ইউরোপীয় ব্যবসায়িক অংশীদারদের সাথে দীর্ঘ সহযোগিতার মাধ্যমে তিনিআলীমুল্লাহ তাদের জীবনধারা এবং অভ্যাস দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন।
তিনি দৌড় প্রতিযোগিতার জন্য তাগড়া ঘোড়া কিনেছিলেন এবং একটি আস্তাবল নির্মাণ করেন। তিনি [[রমনা রেসকোর্স]] এবং জিমখানা ক্লাব স্থাপন করে ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেন।
 
খেলাধুলার পাশাপাশি, [[জহরত|জহরতের]] প্রতিও আলিমুল্লাহরআলীমুল্লাহর আগ্রহ ছিল। তিনি একটিএক সরকার নিলামে বিখ্যাত হীরা [[দরিয়া-ই-নূর]] কিনেছিলেন। তিনি নায়েব নাজিম গাজীউদ্দিন হায়দারের বাড়ির অনেক অনুপম জহরত কিনেছিলেন, যখন গাজীউদ্দিনের অনৈতিক ক্রিয়াকলাপের অভিযোগে [[ব্রিটিশ রাজ|ইংরেজ সরকার]] তার ভাতা বন্ধ করে দেওয়ার কারণে ব্যাপকভাবে ঋণী হয়েছিলেন। আলিমুল্লাহআলীমুল্লাহ খাজা পরিবারকে নাচ, সঙ্গীত এবং ''মুশাইরহ'' (সাহিত্য সম্মেলন) পরিচয় করিয়ে দেন।
 
===আহসান মঞ্জিল===
{{মূল|আহসান মঞ্জিল}}
 
ঢাকা এবং ঢাকার আশপাশের জমি অধিগ্রহণের অংশ হিসেবে ১৮৩০ সালে, আলিমুল্লাহআলীমুল্লাহ [[বুড়িগঙ্গা নদী]]র তীরে কুমারটুলীতে অবস্থিত ফরাসী বাণিজ্যকুঠি কিনেছিলেন। ফরাসীরা এটি কিনেছিলো ''মতিউল্লাহ''র নিকট হতে যারাযার বাবা ''শেখ এনায়েতুল্লাহ'' মুঘল আমলে [[বরিশাল|বরিশালের]] জামালপুর পরগণার [[জমিদার]] ছিলেন। মতিউল্লাহ এই ভবনটিকে তার ''রঙ মহল'' (প্রমোদ ভবন) হিসেবে নির্মাণ করেন। আলিমুল্লাহআলীমুল্লাহ এই বাণিজ্যকুঠিকে পুনর্গঠন ও পুনর্নির্মাণের পর তার বাসভবনে রূপান্তরিত করেন। এই ছোট প্রাসাদ পরবর্তীতে [[ঢাকার নবাব]]দের আবাসিক প্রাসাদ এবং ''কাছারী'' (প্রশাসনিক কার্যালয়)- আহসান মঞ্জিলের কেন্দ্র হয়ে উঠে। বর্তমানে এটি একটি জাতীয় ঐতিহ্য জাদুঘর।
 
===বাইগুনবাড়ি শিকার কানন===
বাইগুনবাড়ির শিকারকানন [[সাভার উপজেলা|সাভারের]] [[বিরলিয়া ইউনিয়ন|বিরলিয়া ইউনিয়নের]] সাদুল্লাপুর মৌজায় অবস্থিত ঢাকার নবাবদের একটি শিকার ও প্রমোদ কানন। নবাব আলীমুল্লাহর সময় এ শিকার কাননটির কাজ শুরু হলেও [[খাজা আবদুল গণি|নবাব আবদুল গণির]] সময়েই তা পূর্ণতা পায়।নবাব আলীমুল্লাহ সাদুল্লাপুরের বিস্তৃত বনভূমিকে অভয়ারণ্য বলে ঘোষণা করেন এবং শিকার কাননের যাত্রা শুরু করেন (যা সম্পূর্ণ করে খাজা আবদুল গণি)।এ শিকার কাননে দেশ-বিদেশ থেকে উন্নত জাতের হরিণ, ময়ূর, বনমোরগ, তিতির, খরগোস প্রভৃতি পশুপাখি এনে ঢাকার নবাবগণ সংরক্ষিত বনে ছেড়ে দিয়ে তাদের বংশ বিস্তারের ব্যবস্থা করতেন।  শিকারযোগ্য শুকর এবং বিভিন্ন প্রকারের পাখি বন হ্রদের তীরে বসবাস করতো।
বিভিন্ন সময়ে নওয়াবগণনবাবগণ উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের সেখানে নিয়ে শিকারের আনন্দ উপভোগ করাতেন। ১৮৯৫ সাল নাগাদ, নবাব ও তার অতিথিদের জন্য একচেটিয়া শিকার স্থল হওয়ার পাশাপাশি এলাকাটি শিকারীদের জন্য আকর্ষণ হয়ে ওঠে।
 
===দরিয়া-ই-নূর===
{{মূল|দরিয়া-ই-নূর}}
১৮৫২ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ সরকারের তরফ থেকে হ্যামিল্টন ও কলকাতা কোম্পানী কর্তৃক নিলাম প্রকাশিত হওয়ার সময় আলিমুল্লাহআলীমুল্লাহ ৭৫ হাজার রুপি দিয়ে ''[[দরিয়া-ই-নূর]]'' [''আলোর সমুদ্র''; [[ফার্সি ভাষা|ফার্সি]]: دريا (''দরিয়া'' মানে সমুদ্র), [[ফার্সি ভাষা|ফার্সি]]: نور (''নুর'', মানে আলো)] কিনেছিলেন। ১৮৫০ সালে [[রাণী ভিক্টোরিয়া]]র সম্মানে আয়োজিত হাইড পার্কের জমকালো প্রদর্শনীতে এ হীরাটি, আরেকটি বিখ্যাত ভারতীয় হীরক ''[[কোহিনূর হীরা|কোহ-ই-নূর]]'' (''আলোর পর্বত'') এর সাথে প্রদর্শিত হয়েছিল। প্রদর্শনীতে এটি প্রত্যাশিত দাম না পাওয়ায় দরিয়া-ই-নূরকে নিলামে বিক্রি করার জন্য ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
 
২৬ ক্যারেট (৫.২ গ্রাম) আয়তন টেবিল আকৃতির এই হীরাটি বাংলাদেশে বৃহত্তম এবং সবচেয়ে মূল্যবান রত্নপাথর। ধারণা করা হয় যে, কোহিনূর হীরার মত এ হীরাটিও একটি দক্ষিণ ভারতীয় খনি হতে উত্তোলন করা হয়েছে। ঢাকার নবাবগণ দ্বারা ব্যবহৃত এ হীরা একটি সোনার তাগার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত, যার চারপাশে দশটি ৫-ক্যারেটের (১ গ্রাম) ডিম্বাকৃতির ছোট হীরা রয়েছে। নবাবরা এটি পাগড়ির উপর একটি অলঙ্কার হিসেবে ব্যবহার করতেন। এটি এখন [[সোনালী ব্যাংক|সোনালী ব্যাংকের]] কোষাগারে সংরক্ষিত আছে।
৬৬ নং লাইন:
===শাহবাগ===
{{মূল|শাহবাগ}}
১৮৪০ সালে খাজা আলিমুল্লাহআলীমুল্লাহ সুজাতপুর এলাকায় আরাতুন নামক আর্মেনীয় ব্যবসায়ী ব্রিটিশ বিচারপতি গ্রিফিথ কুক দ্বারা প্রতিষ্ঠিত দুটি বাগানবাড়ি কিনেছিলেন। তিনি ক্রয়কৃত এলাকাটিকে "শাহবাগ" (শাহ-এর বাগান বা রাজার বাগান) নামকরণ করেন এবং [[মুঘল আমল|মুঘল আমলে]] বাগ-এ-বাদশাহী (''বাদশাহ'র বাগান'') হিসেবে পরিচিত অঞ্চলটির জাঁকজমক ফিরিয়ে আনার একটি প্রকল্প শুরু করেন। এছাড়াও তিনি নূরখান বাজারের পার্শ্বস্থ বাগানবাড়ি এবং সুজাতপুর প্রাসাদের মধ্যে অবস্থিত ''রমনা'' নামে পরিচিত, বিশাল তৃণভূমির অধিকাংশই ক্রয় করেন যা বর্তমানে [[রমনা উদ্যান]] নামে পরিচিত।
 
==তথ্যসূত্র==