টিকটিকি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Aureum doxadius (আলোচনা | অবদান)
অসম্পূর্ণ ট্যাগ বাদ দেয়া হয়েছে
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
মাছরাঙা (আলোচনা | অবদান)
রচনাশৈলী
১৯ নং লাইন:
[[File:শিকারি টিকটিকি.jpg|thumb|150px|টিকটিকির আরশোলা শিকার]]'''
 
টিকটিকি (বৈজ্ঞানিক নাম: ''Hemidactylus frenatus'') (ভূমধ্যসাগরীয় প্রজাতিপ্রজাতিঃ ''Hemidactylus turcicusturcicus। এশিয় টিকটিকিকে ভূ'' ভূমধ্যসাগরীয়মধ্যসাগরীয় গৃহটিকটিকির সাথে উলটাপালটাউল্টাপাল্টা করা যাবে না) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি স্থানীয় টিকটিকি।সরীসৃপ। এটি '''প্রশান্ত মহাসাগরীয় গৃহটিকটিকি''', '''এশিয় গৃহটিকটিকি''','''দেয়াল টিকটিকি''','''গৃহগিরগিটি''',বা '''চন্দ্রগিরগিটি''' নামেও পরিচিত।
 
বেশিরভাগ টিকটিকিই নিশাচর, দিনের বেলা লুকিয়ে থাকে এবং রাতে পোকামাকড়ের সন্ধানে বের হয়। এগুলি বারান্দার আলোর প্রতি আকৃষ্ট পোকামাকড়ের সন্ধানে ঘরবাড়ি এবং বিভিন্ন ভবনের দেয়ালে চড়ে বেড়ায় এবং বিশেষ "টিক টিক" শব্দ শুনে এদের চিহ্নিত করা যায় ।
 
এরা দৈর্ঘ্যে ৭৫–১৫০ মিমি (৩–৬ ইঞ্চি) হয় এবং প্রায় ৫ বছর বেঁচে থাকে। এসব ছোট আকৃতির টিকটিকি গুলো সাধারণত বিষাক্ত নয় এবং এরা মানুষের ক্ষতি করে না। অধিকাংশ মাঝারি থেকে বৃহদাকারের টিকটিকি শান্ত প্রকৃতির হয়। কিন্ত বিপদের আভাস পেলে এরা কামড় দিতে পারে। Hemidactylus frenatus উষ্ণ ও আর্দ্র স্থানে থাকে যেখানে এরা পচা কাঠে পোকামাকড় খাওয়ার জন্য বুকে ভর দিয়ে হেঁটে বেড়ায় I এসব স্থানের পাশাপাশি শহুরে পরিবেশেও এদের দেখা যায়। প্রাণীটি খুব দ্রুত এর আশেপাশের পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে পারে । এরা পোকামাকড় ও মাকড়সা শিকার করে খায় এবং অন্যান্য টিকটিকির প্রজাতি ( যেমনঃ, যারা কম শক্তিশালী বা আচরণগত ভাবে আক্রমণাত্মক নয় ), তাদের বাস্তুচ্যুত করতে পারে।
 
== আবাস এবং খাদ্যাভ্যাস ==
'''গৃহটিকটিকি''' কোন নামের ভুল প্রয়োগ নয়,নয়। এরা নিঃসন্দেহে নাগরিক পরিবেশের প্রতি অনুরক্তি প্রদর্শন করে । "সিনানথ্রপিক" টিকটিকি শহুরে আলোর কাছাকাছি জায়গায় পোকামাকড়ের শিকার করার প্রবণতা প্রদর্শন করে।<ref> "Pest or Guest: The Zoology of Overabundance"; Royal Zoological Society of New South Wales. pp. 59–65. Newbery, Brock; Jones, Darryl N. (2007). Lunney, Daniel (ed.) https://research-repository.griffith.edu.au/handle/10072/18554 https://publications.rzsnsw.org.au/doi/10.7882/FS.2007.009 </ref> এগুলি ঝোপঝাড়ে পাওয়া গেছে, তবে বর্তমান প্রমাণগুলিতে মনে হয় যে এরা শহুরে পরিবেশে থাকতে পছন্দ করে ।
 
টিকটিকি এমন সব আলোকিত অঞ্চ্লেঅঞ্চলে থাকতে পছন্দ করে বলে মনে হয় (যা কোন ফাটলের কাছাকাছি অথবা যেখান থেকে সহজে পালানো যায়) থাকতে পছন্দ করে বলে মনে হয় । যেসব টিকটিকির সম্ভাব্য বিপদ থেকে দ্রুত পালানোর এই সুবিধাটুকু নেই তারা সাধারণত আচরণগত পরিবর্তন ঘটিয়ে রাতের শেষ দিকে খাদ্যের সন্ধানে বের হয় এবং ভোর হওয়ার আগেই নিরাপদ স্থানে চলে যায় । <ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.jstor.org/stable/1442631|শিরোনাম=Activity Patterns of the Gecko Hemidactylus frenatus|শেষাংশ=Marcellini|প্রথমাংশ=Dale L.|তারিখ=1971|সাময়িকী=Copeia|খণ্ড=1971|সংখ্যা নং=4|পাতাসমূহ=631–635|doi=10.2307/1442631|issn=0045-8511}}</ref>শহুরে পরিবেশে যারা থাকতে পারে না তারা তুলনামূলক ঘন বন অথবা ইউক্যালিপ্টাসের বনের আশেপাশে থাকতে পছন্দ করে।
 
শহুরে আবাস নির্বাচনের কারণে টিকটিকির পছন্দসই খাদ্যাভ্যাস গড়ে ওঠে। টিকটিকির খাদ্যতালিকার প্রধান অংশজুড়ে রয়েছে বিভিন্ন অমেরুদণ্ডী প্রাণী, যা মূলত শহুরে কাঠামোর চারপাশে শিকার করা হয়। টিকটিকি প্রধানত তেলাপোকা, উইপোকা, কিছু কিছু মৌমাছি ও ভিমরূল, প্রজাপতি, পতঙ্গ, মাছি, মাকড়সা এবং বিভিন্ন ধরনের গুবরে পোকা খায়। <ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://research-repository.griffith.edu.au/handle/10072/18554|শিরোনাম=Pest or Guest: The Zoology of Overabundance|শেষাংশ=Newbery|প্রথমাংশ=Brock|শেষাংশ২=Jones|প্রথমাংশ২=Darryl|তারিখ=2007|প্রকাশক=Royal Zoological Society of NSW|পাতাসমূহ=59–65|ভাষা=English|আইএসবিএন=978-0-9803272-1-2}}</ref> কিছু কিছু গবেষণায় স্বজাতিভক্ষণের স্বল্পবিস্তর প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। <ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.scielo.sa.cr/scielo.php?script=sci_abstract&pid=S0034-77441999000100023&lng=en&nrm=iso&tlng=en|শিরোনাম=Colonization of Socorro Island (Mexico), by the tropical house gecko Hemidactylus frenatus (Squamata: Gekkonidae)|শেষাংশ=Galina-Tessaro|প্রথমাংশ=Patricia|শেষাংশ২=Ortega-Rubio|প্রথমাংশ২=Alfredo|শেষাংশ৩=Alvarez-Cárdenas|প্রথমাংশ৩=Sergio|শেষাংশ৪=Arnaud|প্রথমাংশ৪=Gustavo|তারিখ=জুন ১৯৯৯|সাময়িকী=Revista de Biología Tropical|খণ্ড=৪৭|সংখ্যা নং=১-২|পাতাসমূহ=২৩৭–২৩৮|ভাষা=en|issn=0034-7744|সংগ্রহের-তারিখ=২০ জুলাই ২০২০}}</ref>