গৌড়ীয় বৈষ্ণববাদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১ নং লাইন:
[[চিত্র:Panca-tattva Altar.jpg|thumb|300px|বৈষ্ণব [[পঞ্চতত্ত্ব (বৈষ্ণবধর্ম)|পঞ্চতত্ত্বের]] দেবগণ: [[চৈতন্য মহাপ্রভু]], [[নিত্যানন্দ]], [[অদ্বৈত আচার্য]], [[গদাধর পণ্ডিত]] ও [[শ্রীবাস পণ্ডিত]]]]
'''গৌড়েশ্বর(গৌড়ীয়) ভাগবত(বৈষ্ণব) মত''' [[হিন্দু]] [[বৈষ্ণবধর্ম|বৈষ্ণব]]সম্প্রদায় মত। খ্রিষ্টীয় ষোড়শ শতাব্দীতে পূর্ব ভারতে [[চৈতন্যশ্রীমন্মহাপ্রভু মহাপ্রভুচৈতন্যদেব]] (১৪৮৬ – ১৫৩৪) এই ধর্মান্দোলনের সূত্রপাত করেন। এই কারণে এই ধর্ম্ '''চৈতন্য বৈষ্ণবধর্মভাগবত মত''' নামেও পরিচিত। "গৌড়ীয়" শব্দটির উৎস [[বঙ্গ|পশ্চিমবঙ্গের]] দক্ষিণাঞ্চলের প্রাচীন নাম "গৌড়" শব্দটি থেকে। গৌড়ীয় মত "অচিন্ত্য অদ্বৈতাদ্বৈত(ভেদাভেদ)" দর্শন ভিত্তি মূলত ঃঃঃ [[শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরাণ]] ও [[শ্রীমদ্ভগবদগীতার]] যথাযথ রূপ। শ্রীমন্মহাপ্রভু চৈতন্যদেব নিজের মত প্রতিষ্ঠার জন্য ব্রহ্মসূত্রের উপর কোন ভাষ্য লেখে নেই। কেনোনা কৃষ্ণদ্বৈপায়ন ব্যাসদেব শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরাণ কেই ব্রহ্মসূত্রের ভাষ্য রূপে স্বীকার করেছেন। অতঃপর শ্রীমন্মহাপ্রভু চৈতন্যদেব ব্রহ্মসূত্রের অপর ভাষা লেখার কোন প্রয়োজনীয় ভাবেন না। কিন্তু পরবর্তীকালে মত-মতান্তরের সরল সমাধান হেতু গৌড়ীয়াচার্য়্য পণ্ডিত বলদেবভূষণ গৌড়ীয় মত (অচিন্ত্য অদ্বৈতাদ্বৈত) অনুযায়ী ব্রহ্মসূত্রের উপরে "শ্রীগোবিন্দভাষ্য" নামে ভাষ্য লেখে বা মতে দৃঢ়তা আনে । তবুও বহু গৌড়ীয় বৈষ্ণবগণ শ্রীমদ্ভাগবত পুরাণ কেই গৌড়ীয় মতের মূল ব্রহ্মসূত্রের ভাষ্য রূপে গণ্য করে।
 
গৌড়ীয় মত "অচিন্ত্য অদ্বৈতাদ্বৈত(ভেদাভেদ)" দর্শনের ভিত্তি মূলতঃ [[শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরাণের]] ও [[শ্রীমদ্ভগবদগীতার]] যথাযথ রূপ। শ্রীমন্মহাপ্রভু চৈতন্যদেব নিজের মত প্রতিষ্ঠার জন্য ব্রহ্মসূত্রের উপর কোন ভাষ্য লেখে নেই। কেনোনা শ্রীকৃষ্ণদ্বৈপায়ন ব্যাসদেব শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরাণ কেই ব্রহ্মসূত্রের ভাষ্য রূপে স্বীকার করেছেন। অতঃপর শ্রীমন্মহাপ্রভু চৈতন্যদেব ব্রহ্মসূত্রের অপর ভাষা লেখার কোন প্রয়োজনীয় ভাবেন না। কিন্তু পরবর্তীকালে মত-মতান্তরের সরল সমাধান হেতু গৌড়ীয়াচার্য়্য পণ্ডিত বলদেবভূষণ গৌড়ীয় মত (অচিন্ত্য অদ্বৈতাদ্বৈত) অনুযায়ী ব্রহ্মসূত্রের উপরে "শ্রীগোবিন্দভাষ্য" নামে ভাষ্য লেখে বা মতে দৃঢ়তা আনে । তবুও বহু গৌড়ীয় বৈষ্ণবগণ শ্রীমদ্ভাগবত পুরাণ কেই গৌড়ীয় মতের মূল ব্রহ্মসূত্রের ভাষ্য রূপে গণ্য করে।
 
 
 
গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মোপাসনার কেন্দ্রীয় বিষয় হল [[রাধা]] ও [[কৃষ্ণ]] এবং তাদের বিভিন্ন দৈব [[অবতার]]কে ''[[স্বয়ং ভগবান]]'' বা সর্বোচ্চ ঈশ্বর রূপে পূজা করা। এই ধর্মের প্রধান প্রতিপাদ্য বিষয় হল [[ভক্তি]]। এই ধর্মেমতের পূজারআরাধনা এক বিশিষ্ট অঙ্গ হল গুরু প্রদত্ত''[[হরে কৃষ্ণগোপাল]]'' [[মন্ত্রমন্ত্ররাজ]]এর গোপনীয় জহ সহ [[রাধাহরে কৃষ্ণ,হরে রাম]] ও [[কৃষ্ণবিষ্ণু|কৃষ্ণেরশ্রীহরির]] নানান পবিত্রনানা নাম জপ এবং মৃদঙ্গ (শ্রীখোল)ও করতাল সহকারে [[কীর্তনসঙ্কীর্তন]]। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, এই ধর্মেরমতের আদিগুরুগুরুমন্ত্র শ্রীহরি চতুরানন ্[[ব্রহ্মা]] সেইপ্রদান কারণেকরেছিলেন এবং তাহার থেকে এই সম্প্রদায়কেজগতে [[ব্রহ্মা]]-[[মাধ্ব]]-গৌড়ীয়তার সম্প্রদায়ও বলাপ্রসার হয়। এইসেই ধর্মকারণে মূলতএই সম্প্রদায়কে [[একেশ্বরবাদীব্রহ্ম]]; কারণ এই ধর্মে -[[বিষ্ণুমাধ্ব]]র বিভিন্ন রূপকে একক সর্বোচ্চ ঈশ্বর ''-[[আদিপুরুষগৌড়েশ্বর(গৌড়ীয়)]]''-এর রূপভেদসম্প্রদায়ও মনে করাবলা হয়।
বর্তমানে
 
নবদ্বীপ হলো এই গৌড়ীয় বৈষ্ঞ সমাজের মূল শিকর, এখানেই রয়েছে গৌরের প্রধান পার্শদ প্রভু নিত্যানন্দের বংশধরেরা তাছারা গৌড়ীয় মঠ এবং (আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ) - ইস্কন গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্ম পালন করেন
বর্তমানে নবদ্বীপ হলো এই গৌড়ীয় সমাজের মূল শিখর, এখানেই রয়েছে শ্রীমন্মহাপ্রভু চৈতন্যদেব এর প্রধান পার্শদ অদ্বৈত আচার্য্য ও নিত্যানন্দ প্রভুর অবিরল আচার্য্য পরম্পরায় ও পরিবার,
বিষ্ণুপুর ও মল্লভূম অঞ্চলে শ্রীনিবাসআচার্য্য পরিবারের আচার্যপরম্পরা তাছাড়া বৃন্দাবনে ষড্ গোস্বামীর অন্যতম গোপালভট্ট পরিবার আচার্যপরম্পরা ও প্রখ্যাত শ্রীরাধারমণ মন্দির এবং মেদনীপুর উড়িষ্যা অঞ্চলে নরোত্তম দাস ও শ্যামানন্দ পরিবারের আচার্যপরম্পরা। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যেমন মনিপুর, উড়িষ্যা, রাজস্থান মত বিভিন্ন স্থানে আচার্য্যপরিবার দ্বারা প্রাচীন মন্দির বা মত প্রসারিত ও সংরক্ষিত আছে।।
 
== দার্শনিক তত্ত্ব ==