ব্যবহারকারী:Ahm masum/খেলাঘর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
১ নং লাইন:
*এমনকি কোনব্যক্তি যদি '''''Screenshot''''' হাতে পায় সেক্ষেত্রেও [[foundation:Privacy policy|WP:PRIV]] নীতির কারনে কোন উইকিপিডিয়ায় প্রকাশ করতে পারবে না।
 
তাবলীগ জামাত মূল দেওবন্দী আন্দোলনের আত্নশুদ্ধী বিষয়টিকে বেশী গুরুত্ব দিয়ে আত্নপ্রকাশ করেছিল।
*হয়তোবা কেউ '''''এই আলোচনা''''' দেখে মনে করবে হয়তোবা সত্যিই গোপনে এমন কোন দাবী করা হয়েছিল। হয়তোবা সেই প্রশাসককে চিনেও ফেলবে। অথবা হয়তোবা এসবের কোনকিছুই ঘটবে না।
 
<দেওবন্দ আন্দোলন: ইতিহাস ঐতিহ্য অবদান
*দাবীগুলো দেখে মনে হয়েছে যে, এগুলোকে অনেক সময় নিয়ে খুঁজে বের করতে হয়েছে, তবে আমার কাছে মনে হয়নি যে [[:en:Wikipedia:Paid-contribution disclosure|WP:PAID]] প্রমান করা গেছে। আর [[:en:Wikipedia:Sockpuppetry|WP:SOCK]] কে '''''আরও সুনির্দিষ্টভাবে''''' প্রমান করা দরকার, যদি থেকে থাকে৷
লেখক: আবুল ফাতাহ মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া
প্রকাশনী:আল-আমিন রিসার্চ একাডেমী, বাংলাদেশ >
 
প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ ইলিয়াস এমন একটি সংঘবদ্ধ আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন যারা কুরআনে নির্দেশিত সঠিক কাজ ও নিষেধ কে বাস্তবায়ন করবে ঠিক যেমনটি বাস্তবায়নের স্বপ্ন তার দেওবন্দের শিক্ষক রশিদ আহমেদ গাঙ্গোহী ব্যক্ত করেছিলেন। ১৯২৬ সালে মক্কায় তার দ্বিতীয় তীর্থযাত্রাতে (হজ্জ্ব) তিনি এই আন্দোলন বাস্তবায়নের মূল অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন ৷ প্রতিষ্ঠার সময় তিনি তার বক্তব্য দক্ষতা, পান্ডিত্য বিষয়ে নিজের মধ্যে অনেক সীমাবদ্ধতা অনুধাবন করেছিলেন তবে দৃঢ প্রতিজ্ঞ ছিলেন। শুরুতে তিনি একগুচ্ছ মসজিদ-ভিত্তিক ইসলামি পাঠশালা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছিলেন যাতে মেও অঞ্চলের অশিক্ষিত মুসলিমদেরকে সঠিক আকিদা ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দিতে পারেন৷ তবে কিছুকাল পর তিনি অনুধাবণ করেন যে এ পদ্ধতিতে বেশকিছু নতুন ইসলামি পন্ডিত তৈরী হলেও কোন ধর্মপ্রচারক তৈরী হচ্ছে না।
 
 
এই ধর্মপ্রচার আন্দোলন শুরু করার জন্য ইলিয়াস মাদ্রাসা মাজহারুল উলুমে তার শিক্ষকতার চাকরীটি ছেড়ে দেন যাতে মুসলিমদের আত্নশুদ্ধির কার্যক্রমে নিজেকে পুরোপুরি আত্ননিয়োগ করতে পারেন। অতঃপর তিনি দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকাতে চলে আসেন এবং ১৯২৬ বা ১৯২৭ সালে আন্দোলনটি শুরু করেন। ইসলামের প্রাথমিক যুগে মুহাম্মদ যে কর্মপদ্ধতী অনুসরণ করেছিলেন, আন্দোলনের নীতিনির্ধারণ করার সময় ইলিয়াস তা থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন। এই স্লোগানটিকে তিনি সামনে রেখেছিলেন; উর্দু: "!اﮮ مسلمانو مسلمان بنو"‎, "হে মুসলমান, [সত্যিকারের] মুসলমান হও!"
যা তাবলীগ জামাতের মূল লক্ষ্যকে প্রকাশ করে।
পুনঃজাগরণ ঘটিয়ে সর্বোক্ষেত্রে মুহাম্মাদের জীবনপদ্ধতীকে দৃঢভাবে অনুসরণ করে মুসলিম সমাজকে একত্রিত করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য বলে তারা দাবী করেন।
এই আন্দোলন দ্রুতই গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে পেরেছিল এবং জানা গিয়েছিল যে, ১৯৪১ সালে তাদের বার্ষীক আলোচনাসভায় ২৫,০০০ জন অনুসারী অংশগ্রহণ করেছিলেন।
 
আন্দোলনটি এমন সময়কালে শুরু হয়েছিল যেসময় কিছু ভারতীয় মুসলিম নেতা আশঙ্কা করছিলেন যে মুসলিমরা তাদের ধর্মীয় পরিচয় হারিয়ে ফেলছেন এবং ধর্মীয় প্রথা-প্রার্থনাও (প্রধানত নামাজ) ঠিকমতো মান্য করতে পারছেন না। এই আন্দোলনটিকে কখনোই প্রাতিষ্ঠানিক রূপ ও নাম দেয়া হয়নি, তবে ইলিয়াস এটিকে 'তাহরিক-ই-ঈমান' বলতেন।
 
উৎপত্তিস্থান দিল্লির মেওয়াত অঞ্চলটিতে মেও নৃগোষ্ঠীর কৃষিসংশ্লিষ্ট দরিদ্র জনগন বসবাস করতেন যারা রাজপুত জাতীগোষ্ঠীর অর্ন্তভুক্ত। ভারতে ইসলামপ্রচার শুরু হওয়ার পর এবং মুঘল আমলে তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন তবে পরবর্তীতে রাষ্ট্রের রাজনৈতিক পালাবদল ঘটার সময়কালে অনেকেই পুনরায় সনাতন ধর্মাবলম্বন ও সংখ্যাগরিষ্ঠ সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের মুখে পড়েন। লেখক ব্যলার্ড এর মতানুসারে, তৎকালীন সময়ে বাঁকী মেও জনগোষ্ঠীর পক্ষেও তাদের জনজীবনে এই সাংস্কৃতিক আগ্রাসন রোধ করা সম্ভব হতনা যদিনা তাবলীগ জামাত আন্দোলনের উত্তান ঘটতো।