[[File:Krishna give life to dead child of Uttara.jpg|thumb|কৃষ্ণ উত্তরার মৃত পুত্রকে পুনর্জীবিত করেন]]
পরীক্ষিৎতৃতীয় পাণ্ডুপুত্রপাণ্ডব [[অর্জুন]] ও বৃষ্ণি রাজকন্যাযাদবকন্যা সুভদ্রার পৌত্র এবং [[অভিমন্যু]] ও মৎস্য রাজকন্যা উত্তরার পুত্র।<ref>{{বইউদ্ধৃতি|শেষাংশ= Dowson|প্রথমাংশ= John|শিরোনাম=A Classical Dictionary of Hindu Mythology and Religion, Geography, History, and Literature|ইউআরএল=http://www.archive.org/stream/aclassicaldictio00dowsuoft#page/n45/mode/2up|বছর=1888|প্রকাশক=Trubner & Co., London|পাতা=1}}</ref> [[কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ|কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের]] অবসানের পর তার জন্ম হয়। কিশোরবয়সের অজ্ঞানতাবশত পঞ্চদশবর্ষী অভিমন্যু ও ত্রয়োদশী উত্তরা বিবাহের কালরাত্রেই শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। যুদ্ধের ত্রয়োদশ দিবসে বালক অভিমন্যু ছয় রথী দ্বারা অন্যায় যুদ্ধে নিহত হন। পরেকুরুক্ষেত্রের [[অশ্বত্থামা]]যুদ্ধের পিতৃহত্যারশেষে প্রতিশোধঅশ্বত্থামা পাণ্ডব নেওয়ারনিধনের জন্যউদ্দেশ্যে ব্রহ্মশির অস্ত্র পাণ্ডবপ্রয়োগ নারীদেরকরেন। গর্ভেকৃষ্ণের নিক্ষেপনির্দেশে করারঅর্জুনও প্রতিষেধক হিসাবে একই অস্ত্র প্রয়োগ করলে, উভয় অস্ত্রের কারণে পৃথিবী ধ্বংসের উপক্রম হয়। সে কারণে দেবর্ষি নারদ ও মহর্ষি কৃষ্ণ-দ্বৈপায়ন এই দুই অস্ত্রের মাঝখানে দাঁড়িয়ে উভয়ের অস্ত্র সংবরণ করতে বলেন। অর্জুন ব্রহ্মচর্য পালনের কারণে তাঁর অস্ত্র প্রতিহারে সমর্থ হলেও, অশ্বত্থামা সদা সৎপথে না থাকায় তিনি তাঁর অস্ত্র প্রত্যাহার করতে ব্যর্থ হন। ফলে [[উত্তরা]]উক্ত একটিঅস্ত্র মৃতউত্তরার সন্তানগর্ভস্থ প্রসবপরীক্ষিৎকে করেন।হত্যা করে। কিন্তু [[কৃষ্ণ]] তাকে পুনর্জীবিত করেন এবং ভরতবংশ পরীক্ষণ হওয়ার পর জন্ম বলে অভিমন্যুর পুত্রের নামকরণ করা হয় পরীক্ষিৎ। তিনি পাণ্ডবগণের প্রাণস্বরূপ ছিলেন।