ত্রিপুরসুন্দরী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
119.30.46.89 (আলাপ)-এর সম্পাদিত 4327123 নম্বর সংশোধনটি বাতিল করা হয়েছে (পূর্বাবস্থায় ফেরত) ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা |
বানান সঠিকীকরণ ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
||
১১ নং লাইন:
[[কাশ্মীরি পণ্ডিত]]রা ত্রিপুরাসুন্দরীর পাঁচটি স্তবগান সংকলন করেছেন। পঞ্চস্তবী নামে পরিচিত এই স্তবগানগুলি উক্ত সম্প্রদায়ের মধ্যে আজও জনপ্রিয়।
'''পৌরাণিক উপাখ্যান'''
ব্রহ্মাণ্ড পুরাণ মতে,দেবী ললিতা ত্রিপুরসুন্দরী আদি পরাশক্তি। কামদেবের ভস্মোদ্ভুত ভণ্ডাসুর নামে অসুরকে বিণাশ করতে তাঁর
১৬ ⟶ ১৮ নং লাইন:
থাকে। মহাদেব তার তপস্যায় তুষ্ট হয়ে বর প্রার্থনা করতে বলেন। সে তখন বর প্রার্থনা করে যে, তার প্রতিদ্বন্দীর অস্ত্রের আঘাতে সে যেন আবদ্ধ না হয় এবং সে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীর অর্ধ বল হরণ করে নিজের বল বৃদ্ধি করতে পারে। মহাদেব তাঁকে বরদান করেন এবং সাথে ষাট হাজার বছর রাজত্ব করার বর দেন। মহাদেব তখন প্রস্থান করলেন। সে বিস্মিত ও শঙ্কিত হল। পরে সব ভুলে গেল। ব্রহ্মা সকল কিছুর সাক্ষী ছিলেন। তিনি হতাশ হন এবং তাকে ভণ্ড ভণ্ড বলতে লাগলেন।কারণ, সে ধর্মচ্যুত হয়েছিল। তার মধ্যে আসুরিক প্রবৃত্তি দেখা দেয়। তাই তার নাম হয় ভণ্ডাসুর। কামদেবের অবশেষ ভস্ম থেকে তার দুই ভাই বিশুক্র ও বিশঙ্গের জন্ম হয়। পড়ে থাকা ভস্ম তিনশ' অক্ষৌহিণী সেনায় পরিণত হয়। শুক্রাচার্য সবকিছু শুনে তাদের গুরুর দ্বায়িত্ব পালন করেন।তিনি দৈত্যপ্রকৌশলী ময়কে মহেন্দ্র পর্বতের উপর এক পুরী নির্মাণ করতে বলেন। যার নাম হয় শোণ্যক পুরী। শুক্রাচার্য প্রতি ঘরে নিয়মিত যজ্ঞানুষ্ঠানের, বেদাধ্যয়ন ও তপস্যার পরামর্শ দেন।তিনি ভণ্ডাসুরকে শোণ্যক পুরের রাজা,বিশুক্র ও বিশঙ্গকে যুবরাজ পদে অভিষিক্ত করেন। ভণ্ডাসুরের সন্মোহিনী,কুমুদিনী,চিত্রাঙ্গী ও সুন্দরী নামে চারজন স্ত্রী ছিলেন। ভণ্ডাসুর তাদের থেকে ত্রিশজন পুত্র প্রাপ্ত হন।
একবার ভণ্ডাসুর তার ভাই ও অন্যান্য রাক্ষসদের নিয়ে বায়ুরূপ নিয়ে ত্রিলোকের সকল স্বর্গের দেবতা, মর্ত্যের মানুষ ও পাতালের নাগেদের দেহে প্রবেশ করে তাদের দেহ থেকে বীর্য, রস সহ অন্যান্য তরল পদার্থ শোষণ করে ও তাদের রূপ হরণ করে কুরূপ, নপুংসক ও শক্তিহীন করে তোলেন। তাদের মধ্যে আর একে অপরের প্রতি প্রেমভাব রইল না। তারা তখন ব্রহ্মাকে নিয়ে বিষ্ণুর কাছে গেলেন। বিষ্ণু ছিলেন যোগনিদ্রায় মগ্ন। পরে তারা বিষ্ণুর স্তব করে করে তাকে জাগরিত করে। বিষ্ণু তখন তাদের পরম পুরুষ মহাশম্ভুর তপস্যা করতে বলেন। তপস্যায় তুষ্ট হয়ে মহাশম্ভু দেবী আদি পরাশক্তিকে নিয়ে আবির্ভুতা হন। মহাশম্ভু ছিলেন মেঘের মতো কৃষ্ণবর্ণ। তার দক্ষিণ হস্তে শূল ও বামহস্তে নরকপাল। অন্যদিকে দেবী আদি পরাশক্তি ছিলেন চন্দ্রমার মতো কোমলাভা। তার হস্তে ছিল পুস্তক ও অক্ষমালা।মহাশম্ভু তখন বললেন যে তিনি সব অবগত। মহাপ্রলয় থেকে মহাশম্ভু ও অবন্তর প্রলয় থেকে বিষ্ণু রক্ষা করেন। তখন ভণ্ডাসুর সৃষ্ট কামপ্রলয় থেকে স্বয়ং আদি পরাশক্তি ললিতা ত্রিপুরসুন্দরী উদ্ধার করবেন। দেবতাদের তিনি দেবী ললিতার শরণাপন্ন হতে বলেন। দেবতারা কী করবেন তা জানতেন না।তখন তারা পুনরায় মহাশম্ভুর স্তব করেন। মহাশম্ভু তাদের
দেবগণ হোমকুণ্ডে প্রবেশ করতেই দেবী ললিতা ত্রিপুরাসুন্দরী হোমকুণ্ড হতে চক্ররাজ রথে আবির্ভুত হলেন। তিনি নিজের থেকে কামেশ্বর শিবকে সৃষ্টি করলেন। দেবী নিজের ইচ্ছাশক্তি থেকে পাশ, অঙ্কুশ, পঞ্চ পুষ্পবাণ ও ইক্ষুদণ্ড নির্মাণ করলেন। তিনি পুনরায় সৃষ্টিকার্য করলেন। তার বাম চক্ষু থেকে ব্রহ্মা ও লক্ষ্মী, দক্ষিণ চক্ষু থেকে বিষ্ণু ও পার্বতী এবং ঊর্ধ্ব চক্ষু থেকে মহাদেব ও সরস্বতী উৎপন্ন হল। দেবী ললিতা ব্রহ্মা ও সরস্বতীকে ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি, বিষ্ণু ও লক্ষ্মীকে ব্রহ্মাণ্ড পালন এবং মহাদেব ও পার্বতী প্রলয়কালে ব্রহ্মাণ্ড ধ্বংসের ভার দিলেন। দেবী তার কেশ হতে অন্ধকার, ত্রিনেত্র হতে চন্দ্র, সূর্য ও অগ্নি, কপালের সামনের অলঙ্কার হতে নক্ষত্রসকল, কপালের উপরের অলঙ্কার হতে নবগ্রহ, দশটি নখ হতে বিষ্ণুর দশ অবতার, ভ্রূ হতে দণ্ডবিধি, নিশ্বাস হতে বেদ, বচন হতে কবিত্ব ও ক্রিড়াসকল, স্তন হতে পর্বত, করতল হতে সন্ধ্যা, ঘাড়ের ত্রিরেখা হতে শাস্ত্রসমূহ, থুতনি হতে বেদাঙ্গ ও মন হতে তিনি সুখশক্তি উৎপন্ন করলেন। দেবী তার হৃদয় হতে বালাদেবীকে সৃষ্টি করলেন; ভণ্ডাসুরের ত্রিশ পুত্রকে বধ করেছিলেন। দেবী তার বুদ্ধি হতে শ্যামলা দেবী ও অহং হতে বারাহী দেবীকে সৃষ্টি করেন। শ্যামলা দেবীকে মুখ্যমন্ত্রী ও বারাহী দেবীকে সেনানায়িকা পদে অভিষিক্ত করা হয়। শ্যামলা দেবীকে মন্ত্রীনীও বলা হয়। দেবী তাকে তার অঙ্গুরীয় প্রদান করেছিলেন। ইনি ভণ্ডাসুরের ভাই
== সাহিত্যে ত্রিপুরসুন্দরী ==
|