মূলনীতি কমিটি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Preetidipto.21 (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
৭ নং লাইন:
মূলনীতি কমিটির রিপোর্ট
 
মূলনীতি কমিটির যুক্তরাষ্ট্রীয় ও প্রাদেশিক সরকার বিষয়ক সাব-কমিটি ১৯৫০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তাদের অন্তর্তীকালীন রিপোর্ট গণপরিষদে পেশ করে। এই রিপোর্টে উপস্থাপিত বিষয় ছিল, ১) উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া। ২) যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ৩) কেন্দ্রীয় আইন সভাকে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভায় রুপান্তরিত করা। ৪) কেন্দ্রীয় আইনসভার নিন্মকক্ষে বিভিন্ন প্রদেশগুলোর জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার প্রদান করা। ৫) কেন্দ্রীয় আইন সভার উচ্চকক্ষে প্রতি প্রদেশ থেকে সমান প্রতিনিধিত্ব প্রদান করা। ৬) কেন্দ্রীয় আইনসভার উচ্চকক্ষ ও নিন্মকক্ষের বিরোধ পূর্নবিরোধপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি হলে উভয় কক্ষের যৌথ অধিবেশনের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। ৭) কেন্দ্রীয় আইনসভার উভয় কক্ষে সমান ক্ষমতা প্রদান করা বাজেট ও অর্থবিলসহ অন্য সকল বিষয়ের ক্ষেত্রে।
 
মূলনীতি কমিটির রিপোর্ট প্রদানের পর পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ প্রচন্ড বিক্ষোভ শুরু করে। যার প্রধান কারণ, পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উর্দূকে গ্রহণের প্রস্তাব দেয়ার মধ্য দিয়ে। এছাড়া কেন্দ্রীয় আইনসভায় পূর্ব পাকিস্তানের প্রতিনিধিগণ পশ্চিম পাকিস্তান থেকে কম হওয়ার আশংকা দেখা দেয়। এর পরিপেক্ষিতে পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতাগণ আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের প্রস্তাব করে। পরিশেষে পূর্ব পাকিস্তানের প্রচন্ড বিরোধিতার কারণে প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান মূলনীতি কমিটির অন্তর্বতীকালীন রিপোর্ট গণপরিষদ থেকে প্রত্যাহার করে নেয়।
 
== তথ্যসূত্র ==