মাহমুদ হাসান গাঙ্গুহি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
সম্প্রসারণ
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
১৮ নং লাইন:
 
[[কানপুর|কানপুরবাসীর]] ওপর মুফতি মাহমুদের তাকওয়া, পরহেজগারী বিশেষভাবে প্রভাব বিস্তার করেছিলেন। জামেউল উলুম কানপুর কর্তৃপক্ষ চেয়েছিলেন তিনি যেন এই মাদ্রাসায় থাকে। কিন্তু ১৩৮৫ হিজরিতে তিনি [[দারুল উলুম দেওবন্দ|দারুল উলুম দেওবন্দের]] প্রধান মুফতি হিসেবে চলে আসেন। দারুল উলুম দেওবন্দে মুফতি মাহমুদ ফতওয়া প্রদানের কাজ ছাড়াও দীর্ঘদিন পর্যন্ত [[সহীহ বুখারী|সহীহ বুখারীর]] দরস প্রদান করেন। এসব খেদমতের বিনিময়ে তিনি যে বেতন পেতেন, তা কখনো গ্রহণ করতেন না, এর সাথে আরো কিছু মিলিয়ে তিনি তা মাদরাসায় দান করে দিতেন। ১৩৮৬ হিজরিতে তাকে [[মাজাহির উলুম, সাহারানপুর|মাজাহির উলুম, সাহারানপুরের]] পৃষ্ঠপোষক নির্বাচন করা হয়। <ref name="Gangohi67">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://archive.org/stream/akabir/HadhratMuftiMahmoodHasanGangohi-HisLifeAndWorksByTalimiBoardKzn#page/n90/mode/1up|শিরোনাম=Hadhrat Mufti Mahmood HasanGangohi - His Life And Works|প্রকাশক=Talimi Board|পাতা=67|সংগ্রহের-তারিখ=16 April 2020}}</ref><ref name="history">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://archive.org/download/2VolumeBookOnTheHistoryOfDarAlUlumDeoband/HistoryOfTheDarulUloomDeoband-VolumeTwo1981.pdf|শিরোনাম=History of The Dar al-Ulum Deoband (Volume 2)|শেষাংশ=[[Syed Mehboob Rizwi]]|প্রকাশক=Idara-e-Ehtemam, [[Darul Uloom Deoband|Dar al-Ulum Deoband]]|পাতা=194|সংগ্রহের-তারিখ=25 April 2020|সংস্করণ=1981}}</ref>
 
== তাসাউফ ==
মুফতি মাহমুদ ছিলেন শায়খুল হাদিস মাওলানা [[মুহাম্মদ জাকারিয়া কান্ধলভি|মুহাম্মাদ যাকারিয়া কান্ধলভীর]] উল্লেখযোগ্য খলিফাদের একজন। নিজের বাইআতের ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন,
{{উক্তি|text=আমার বাইআতের ঘটনাটি ছিল ১৩৪৯ হিজরিতে। তখন আমি দেওবন্দে পড়তাম। আর আমি যখনই হযরত রায়পুরী এবং হযরত দেহলভীর খেদমতে উপস্থিত হতাম তখন আখেরাতের প্রতি আগ্রহ খুব বেশি হত। আর দুনিয়ার প্রতি অনাগ্রহ বেড়ে যেত। আর যখন জাকারিয়া কান্ধলভীর নিকট যেতাম, তখন স্বীয় গুনাহ এবং দোষগুলো সামনে চলে আসত। আমি মনে করতাম আমার সংশোধন তার দ্বারাই হবে। শায়খকে প্রাধান্য দেওয়ার দ্বিতীয় কারণ হলো, বয়সের বিবেচনায় শায়খ অন্যান্যদের থেকে ছোট ছিলেন, যার দরুন বেশ কিছু সময় হযরতের খেদমতে কাটানোর সুযোগ হয়ে যাবে। অতঃপর আমি শায়খের নিকট বাইআত হওয়ার দরখাস্ত করলাম। তখন তিনি শায়খুল হাদীস [[হুসাইন আহমেদ মাদানি]]র নিকট আমাকে বাইআত হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বললেন, ইস্তেখারা করে নাও, অথবা নিযামুদ্দিন,রায়পুর ও থানাভবন সফর কর এবং তিনজনের মজলিসে চুপিসারে বস, অতঃপর সিদ্ধান্ত গ্রহণ কর। আমি কোথাও যাইনি। তখন শায়খ আমাকে বাইআত করে নিলেন। বাইআতের পূর্বে ''কছদুস সাবীল'' দেখে জিকির শুরু করেছিলাম। বাইআত হওয়ার পরে শায়খ জিকির ছাড়িয়ে দিয়ে তাসবিহাত বাতলে দিলেন। দীর্ঘ দিন রিয়াযত ও মোজাহাদার পর খেলাফত লাভ করলাম।|sign=|source=}}
শায়খুল হাদিস জাকারিয়া কান্ধলভীর ইন্তেকালের পর তিনি তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। [[দারুল উলুম দেওবন্দ|দারুল উলুম দেওবন্দের]] ছাত্তা মসজিদে তাঁর খানকাহ ছিল। খানকাতে রিয়াযাত- মুজাহাদার কাজ করতেন। দেওবন্দ ছাড়াও ভারতের বিভিন্ন জায়গাতে খানকাহ ছিল। এমনি ভাবে [[বাংলাদেশ]], [[পাকিস্তান]], [[আফ্রিকা]], [[লন্ডন]], বিভিন্ন দেশে তাঁর খানকাহ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এসব খানকাতে হাজার হাজার আলেম এবং সাধারণ মানুষের ইসলাহী কাজ করতেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://m.dailyinqilab.com/article/13927/%E0%A6%86%E0%A6%89%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A6%A8-%E0%A6%B9%E0%A6%AF%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%AB%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%A6-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B9%E0%A7%80-%28%E0%A6%B0%E0%A6%B9%29|শিরোনাম=আউলিয়াদের জীবন - হযরত মুফতি মাহমুদ হাসান গাঙ্গুহী (রহ.)|শেষাংশ=প্রতিবেদক|প্রথমাংশ=নিজস্ব|ওয়েবসাইট=DailyInqilabOnline|ভাষা=en|সংগ্রহের-তারিখ=2020-07-02}}</ref>
 
''মুফতি মাহমুদ'' প্রতি রমজানে ইতিকাফ করতেন। রমজান পুরোটা ইতিকাফে কাটাতেন প্রতি বছর। এই ইতিকাফ ছিল তাঁর আরেক ইসলাহী মিশন। তাঁর সাথে হাজারো আলেম- উলামা ইতিকাফে শরীক থাকতেন।
 
একেক রমজান একেক জায়গায় [[ইতিকাফ|ইতিকাফের]] প্রোগ্রাম থাকত। কখনো [[দেওবন্দ শহর|দেওবন্দ]], কখনো ভারতের অন্য কোন জায়গায়, কখনো আফ্রিকাতে, কখনো বাংলাদেশে ইতিকাফ করেছেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://patheo24.com/%e0%a6%9c%e0%a7%80%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%a0%e0%a6%be%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%ab%e0%a6%a4%e0%a7%80-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b9/|শিরোনাম=জীবন্ত পাঠাগার মুফতী মাহমুদ হাসান গাঙ্গুহী রহ.|তারিখ=2019-09-02|ওয়েবসাইট=Patheo24|ভাষা=en-US|সংগ্রহের-তারিখ=2020-07-02}}</ref>
 
বাংলাদেশে ১৯৯৫ সনে ঢাকা [[মালিবাগ]] মাদ্রাসায় ইতিকাফ করেছিলেন। প্রায় হাজারের ঊর্ধ্বে আলেম এবং সাধারণ মানুষ শরীক ছিল সে ইতিকাফে। বাংলাদেশের শীর্ষ স্থানীয় বহু উলামায়ে কেরাম তখন সেখানে ইতিকাফে অংশ গ্রহন করে ছিলেন।
 
মুফতি মাহমুদের খলিফাদের মধ্যে [[আবুল কাসেম নোমানী]],[[ইব্রাহিম দেশাই]] ,[[রহমতুল্লাহ মীর কাসেমি]] প্রমুখ উল্ললেখযোগ্য। বাংলাদেশে ওনার খলিফাদের মধ্যে রয়েছেন [[নূর হুসাইন কাসেমী]], মুফতি শফিকুল ইসলাম,মুফতি মামুনুর রশীদ, মাওলানা মোস্তাফাসহ অনেকেই। তাঁর খানকাও এখনো বাংলাদেশে বিদ্যমান। <ref name="Gangohi67">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://archive.org/stream/akabir/HadhratMuftiMahmoodHasanGangohi-HisLifeAndWorksByTalimiBoardKzn#page/n90/mode/1up|শিরোনাম=Hadhrat Mufti Mahmood HasanGangohi - His Life And Works|প্রকাশক=Talimi Board|পাতা=67|সংগ্রহের-তারিখ=16 April 2020}}</ref>
 
== সাহিত্য কর্ম ==
২৮ ⟶ ৪১ নং লাইন:
* ফাতাওয়া-এ-মাহমুদদিয়া (৩২ খণ্ড)
* পার্থক্যের সীমানা <ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Boundaries of Differences|প্রকাশক=Idara Impex, Jamia Nagar, New Delhi|পাতাসমূহ=184|ভাষা=English|আইএসবিএন=81-7101--683-9}}</ref>
 
== শিষ্য ==
তাঁর শিষ্যরা [[আবুল কাসেম নোমানী|আবুল কাসিম নোমানী]], ইব্রাহিম দেশাই এবং রহমতউল্লাহ মীর কাসমী অন্তর্ভুক্ত ছিল । <ref name="Gangohi67">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://archive.org/stream/akabir/HadhratMuftiMahmoodHasanGangohi-HisLifeAndWorksByTalimiBoardKzn#page/n90/mode/1up|শিরোনাম=Hadhrat Mufti Mahmood HasanGangohi - His Life And Works|প্রকাশক=Talimi Board|পাতা=67|সংগ্রহের-তারিখ=16 April 2020}}</ref>
 
== মৃত্যু ==