সিলেটি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[অপরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৪৭ নং লাইন:
'''সিলেটি জনগোষ্ঠী''' পরিচিত শব্দ হিসেবে '''সিলেটি জাতি''' নামে খ্যাত; যার মধ্যে ভারতের [[আসাম|দক্ষিণ আসামের]] [[বরাক উপত্যকা]]র জনগণ, এবং বাংলাদেশের [[সিলেট বিভাগ|সিলেট বিভাগের]] [[সুরমা উপত্যকা]]র জনগণ অন্তর্গত। সিলেটি জাতির মধ্যে বিভিন্ন ধর্মের লোক, যেমন- মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান, দেবদেবীর উপাসক এবং নাস্তিকরা অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশে একটি গুঁজব ছড়ায় যে দক্ষিণ আসাম, [[মেঘালয়]], ত্রিপুরা, বৃহত্তর [[ময়মনসিংহ]], বৃহত্তর [[ঢাকা]], বৃহত্তর [[কুমিল্লা]], বৃহত্তর [[নোয়াখালী]], বৃহত্তর [[চট্টগ্রাম]] এবং পার্বত্য চট্টগ্রামকে সিলেট উপকেন্দ্রের সাথে নিয়ে সিলেটের লোকজন [[সিলেট]]কে একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ভারতের সাথে সম্মিলিত পরিকল্পনা করেছে। এই কাল্পনিক ধারনাটি লন্ডনে একটি বেনামী দল বা ব্যক্তি বিশেষের দ্বারা ছড়িয়ে পড়ে এবং এরফলে এটি বাংলাদেশে সিলেটি জাতিকে ভোগান্তিতে ফেলে। সিলেটি জাতি বাংলাদেশের বাইরে [[ইউরোপ|ইউরোপীয়]] দেশ বিশেষ করে [[যুক্তরাজ্য]], এবং [[যুক্তরাষ্ট্র|যুক্তরাষ্ট্রে]] জনসংখ্যা এবং মানবাধিকার বৃদ্ধির কারণে ব্যাপক স্বীকৃতি এবং গুরুত্ব পেয়েছে। সিলেটিদের একটি জাতি হিসেবে সিলেটবিদ এবং মানবাধিকার কর্মীরা প্রচার করছে।<ref>Jagaran Patrika, P.16, London (1984)</ref>
 
১৯৪৭১৮৯০-১৯৪৭ এর দেশ ভাগের আগমুহূর্ত পর্যন্ত, সিলেটিরা [[ব্রিটিশ ভারত|ব্রিটিশ ভারতের]] উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আসামের সাথে ছিল।<ref>Zia Haider Rahman, A Community Without Aspirations, The Guardian, 2 May 2007, https://www.theguardian.com/commentisfree/2007/may/02/yesterdaysawthepublication,</ref>
উল্লেখ্য যে সিলেটি জাতি বাংলা ভাষার জন্য ১৯৬১ সনে আসামে আন্দোলন করে।
 
 
 
১৯৪৭-এর দেশ ভাগের আগমুহূর্ত পর্যন্ত, সিলেটিরা [[ব্রিটিশ ভারত|ব্রিটিশ ভারতের]] উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আসামের সাথে ছিল।<ref>Zia Haider Rahman, A Community Without Aspirations, The Guardian, 2 May 2007, https://www.theguardian.com/commentisfree/2007/may/02/yesterdaysawthepublication,</ref>
==প্রাথমিক ইতিহাস==
সিলেটি প্রবাসী মূলত অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছলতার প্রয়োজনে আবির্ভূত হয়, অন্যদিকে উন্নততর কর্মসংস্থান সন্ধানী অল্পবয়সী যুবকেরা সিলেটি প্রবাসী প্রতিষ্ঠার নেতৃত্ব দেন।<ref name="prothom-alo২" >{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.prothomalo.com/northamerica/article/1326386/আপন-মহিমায়-টিকে-থাকুক-সিলেটি-ভাষা |শিরোনাম=আপন মহিমায় টিকে থাকুক সিলেটি ভাষা |প্রকাশক=প্রথম আলো |তারিখ=১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ |সংগ্রহের-তারিখ=১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ }}</ref> [[ব্রিটিশ রাজ|ব্রিটিশ রাজের]] অস্থিরতার সময়, সিলেটের যেসব যুবকেরা ব্রিটিশ বণিক হিসেবে কাজ করত, তারা উন্নততর জীবন সন্ধানের জন্য জাহাজ ছেড়ে [[লন্ডন|লন্ডনে]] নেমে পড়ে এবং অন্যরা মাতৃভূমিতে প্রবেশের জন্য বিকল্প পথ খুঁজে পায়, যা শৃঙ্খল স্থানান্তর ঘটায় এবং লন্ডনের পূর্ব প্রান্তে কর্মক্ষেত্রের আশেপাশে তাদের স্থান করে দেয়। ফলে লুটন, [[বার্মিংহাম]], [[ম্যানচেস্টার]], [[লিডস]], [[ব্র্যাডফোর্ড]], [[ওল্ডহ্যাম]] ইত্যাদির মতো শিল্প নগরী এবং শহরগুলিতে ভাল কাজের পরিবেশ লাভ করায় বিপুল পরিমান সিলেটি এসব জায়গায় আসতে থাকে।<ref>Claire Alexander, Joya Chaterji and Annu Jalais, The Bengal Diaspora: Rethinking Muslim Migration, p.2, Routledge (2015) London.</ref> সিলেটিরা একটি নাবিক জাতি; [[সমুদ্র]] যাত্রা সমস্ত সিলেটিদের রক্তে সমাহিত হয়ে আছে, এবং যা সিলেটের যুবকদের জন্য একটি দুঃসাহসিক অভিযান ছিল; এবং [[ব্রিটিশ রাজ]] কর্তৃক ১৭৯৩ সালের [[চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত]] আইন অনুসারে তাদের জমিদারি পুনর্বিবেচনা না করা পর্যন্ত দেশের সমগ্র [[সমাজ|সামাজিক]], [[রাজনীতি|রাজনৈতিক]] এবং [[অর্থনীতি|অর্থনৈতিক]] অবস্থা পরিবর্তন এবং সমুদ্রে যাওয়া প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে। সিলেটের তরুণরা প্রধানত [[কলকাতা]], [[মুম্বাই]] এবং [[সিঙ্গাপুর]] থেকে জাহাজে উঠে। প্রথম দিককার কিছু সিলেটি নাবিক [[ব্রিটেন]] এবং [[আমেরিকা]] পরিদর্শন করে এবং কর্মসংস্থান চায়; যদিও [[ম্যাগনা কার্টা]] লিবার্টটামের অনুসারে, তাদের উপর কোন আইনানুগ নিষেধাজ্ঞা ছিল না যাতে তারা স্বাধীনভাবে ব্রিটেন প্রবেশ করতে বা বের হতে পারে; কিছু লেখক বিক্ষিপ্তভাবে বলেন যে সিলেটি নাবিকরা জানত যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে যেরূপ প্রয়োজন ছিল, মাতৃভূমিতে প্রবেশে তেমন অভিপ্রায় ঘোষণা করতে হয় না। প্রথম দিকের সংগৃহীত [[ইতিহাস]] সিলেটি প্রবাসী এবং সিলেটি [[নাবিক]]দের মধ্যে একটি শক্তিশালী সংযোগ নির্দেশ করে।<ref>Across Seven Seas and Thirteen Rivers: Life Stories of Pioneer Sylheti Settlers in Britain, Caroline Adams, Tassaduq Ahmed and Dan Jones, THAP (1987), London, {{ISBN|978-0906698143}}</ref>