দৈনিক ইত্তেফাক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
২৪ নং লাইন:
 
===দৈনিক ইত্তেফাক (১৯৫৩ - বর্তমান)===
১৯৫৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর সাপ্তাহিক ইত্তেফাক দৈনিক পত্রিকা হিসেবে যাত্রা শুরু করে এবং ২৫ ডিসেম্বর দৈনিকের প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়। এসময় পত্রিকাটিতে পশ্চিম পাকিস্তান সরকার কর্তৃক পূর্ব পাকিস্তানীদেরপাকিস্তানিদের উপর বিভিন্ন নির্যাতন ও বৈষম্যের সংবাদ নিয়মিত প্রকাশ করা হত যা [[পূর্ব পাকিস্তানের আইনপরিষদ নির্বাচন, ১৯৫৪|১৯৫৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে]] [[যুক্তফ্রন্ট]]কে বিজয়ী করতে ভূমিকা রাখে। [[আইয়ুব খান]] হতে [[ইয়াহিয়া খান]] পর্যন্ত সকল সামরিক শাসনের বিরোধিতা করে। ১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর সামরিক শাসন জারি হওয়ার পর সম্পাদক মানিক মিয়া সামরিক শাসনের সমালোচনা করে বিভিন্ন কলাম লেখা শুরু করেন। ফলশ্রুতিতে ১৯৫৯ সালে তিনি গ্রেফতার হন এবং পরবর্তীতে ১৯৬২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি পুনরায় শেখ মুজিবুর রহমান ও তাকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯৬২ সালের ৪ অক্টোবর মানিক মিয়া মুক্তি পান। ১৯৬৪ সালের জানুয়ারিতে পূর্ব পাকিস্তানে দাঙ্গা শুরু হলে ১৬ জানুয়ারি মানিক মিয়া পত্রিকা অফিসে সভা করে 'পূর্ব পাকিস্তান রুখিয়া দাঁড়াও' শীর্ষক প্রচারণা শুরু করেন এবং ইত্তেফাকের মাধ্যমে হিন্দুদের নিরাপত্তা প্রদানের জন্য আহ্বান জানান।
 
১৯৬৬ সালে ইত্তেফাক [[ছয় দফা আন্দোলন|ছয় দফা দাবীরদাবির]] পক্ষে অবস্থান নিয়ে মুখপত্র হিসেবে কাজ করে। ১৫ জুন মানিক মিয়াকে পুনরায় গ্রেফতার করা হয় এবং ১৬ জুন সরকার ইত্তেফাক পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ করে দেয় ও নিউ নেশন প্রিন্টিং প্রেস বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করে। ১৯৬৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি পত্রিকাটি পুনঃপ্রকাশের অনুমতি পায়। [[ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান|ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের]] সময়ও দৈনিক ইত্তেফাক বাঙালির জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে সমর্থন করে। একই বছরের ১ জুন মানিক মিয়া মৃত্যুবরণ করার পর তার দুই ছেলে [[মইনুল হোসেন]] ও [[আনোয়ার হোসেন মঞ্জু]] ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব হাতে নেন।
 
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ২৫শে মার্চ পাকিস্তান সেনাবাহিনী ইত্তেফাকের কার্যালয় পুড়িয়ে দেয়। ২১ মে পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের তত্বাবধানেতত্ত্বাবধানে পত্রিকাটি প্রকাশের অনুমতি লাভ করে।<ref name="ইনকিলাব">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.dailyinqilab.com/article/97581/বাংলাদেশের-প্রথম-মুদ্রণযন্ত্র-ও-সংবাদপত্র |শিরোনাম= দৈনিক ইত্তেফাক |লেখক=[[দৈনিক ইনকিলাব]] |তারিখ=}}</ref> বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭৫ সনের ১৭ জুন ইত্তেফাককে জাতীয়করণ করা হয়,হয়। [[নুরুল ইসলাম পাটোয়ারী]] এর প্রধান সম্পাদক হন এবং পত্রিকাটি ঢাকার ১ রামকৃষ্ণ মিশনস্থ নিউ নেশন প্রেস হতে প্রকাশিত হতে থাকে। ১৯৭৫ সনের ২৪ অগাস্ট মইনুল হোসেন ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জু মালিকানা ফেরত পান।
 
পত্রিকাটি বর্তমানে ইত্তেফাক গ্রুপ অব পাবলিকেশন্স লিঃ-এর পক্ষে তারিন হোসেন কর্তৃক ৪০, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ থেকে প্রকাশিত ও মুহিবুল আহসান কর্তৃক নিউ নেশন প্রিন্টিং প্রেস, কাজলারপাড়, ডেমরা রোড, ঢাকা-১২৩২ থেকে মুদ্রিত হচ্ছে। আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর স্ত্রী [[তাসমিমা হোসেন]] পত্রিকাটির সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তারিন হোসেন হলেন আনোয়ার ও তাসমিমা দম্পতির কন্যা।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=রাজনৈতিক ক্যারিয়ারকে ভবিষ্যতের উপর ছেড়ে রেখেছেন ভাগ্যে বিশ্বাসী তারিন |ইউআরএল=https://www.channelionline.com/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%88%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A6%AC%E0%A6%BF/ |ওয়েবসাইট=চ্যানেল আই |সংগ্রহের-তারিখ=২৪ ডিসেম্বর ২০১৯}}</ref>