আলজেরিয়া: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Zaheen (আলোচনা | অবদান)
ভূমিকা সম্প্রসারণ
৬৭ নং লাইন:
|calling_code = ২১৩
|languages_type=|languages2_type=|leader_name3=|leader_name4=|leader_name5=|leader_name6=|leader_name7=|leader_name8=|leader_name9=|FR_total_population_estimate_year=|FR_foot=|FR_total_population_estimate=|FR_total_population_estimate_rank=|FR_metropole_population_estimate_rank=}}
'''আলজেরিয়া''' উত্তর-পশ্চিম [[আফ্রিকা|আফ্রিকায়]] [[ভূমধ্যসাগর|ভূমধ্যসাগরের]] দক্ষিণ উপকূলে অবস্থিত একটি [[রাষ্ট্র]]। এর পূর্ণ সরকারী নাম '''আলজেরিয়া গণতান্ত্রিক গণপ্রজাতন্ত্র'''। দেশটির আয়তন প্রায় ২৩ লক্ষ ৮১ হাজার ৭৪১ বর্গকিলোমিটার (বাংলাদেশের আয়তনের প্রায় ১৭ গুণ)। আয়তনের বিচারে আলজেরিয়া আফ্রিকা মহাদেশের বৃহত্তম ও বিশ্বের ১০ম বৃহত্তম রাষ্ট্র। আলজেরিয়ার জনসংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ৩৬ লক্ষ; জনঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৪৬ জন। আলজেরিয়ার [[আরবি ভাষা|আরবি]] নাম আলজাজাইর (অর্থাৎ দ্বীপসমূহ); নামটি রাজধানীর তীর সংলগ্ন দ্বীপগুলিকে নির্দেশ করছে। ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত আলজিয়ার্স দেশটির বৃহত্তম [[শহর]] ও [[রাজধানী]]; এছাড়া [[ওরান]], [[কন্সটান্টিন]] ও [[আন্নাবা]] কিছু গুরুত্বপূর্ণ নগরী। ইতিহাস, সংস্কৃতি, ভাষা ও ধর্মের কারণে আলজেরিয়াকে [[আরব বিশ্ব|আরব বিশ্বের]] অংশ হিসেবে গণ্য করা হয়। আলজেরিয়ার উত্তর-পূর্ব সীমান্তে [[তিউনিসিয়া]], পূর্বে [[লিবিয়া]]। পশ্চিমে [[মরক্কো]] ও [[পশ্চিম সাহারা]] প্রজাতন্ত্র, এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে [[মালি]] ও [[মোরিতানিয়া]] এবং দক্ষিণ-পূর্বে [[নাইজার]] অবস্থিত। আলজেরিয়ার নাগরিকদেরকে আলজেরীয় বলা হয়।
'''আলজেরিয়া''' উত্তর-পশ্চিম [[আফ্রিকা|আফ্রিকায়]] [[ভূমধ্যসাগর|ভূমধ্যসাগরের]] তীরে অবস্থিত [[রাষ্ট্র]]। আলজেরিয়া [[আফ্রিকা|আফ্রিকা মহাদেশের]] দ্বিতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্র ([[সুদান|সুদানের]] পরেই)। দেশটির নয়-দশমাংশ জুড়ে [[সাহারা মরুভূমি]] অবস্থিত। ভূমধ্যসাগরের তীরে উপকূলীয় সমভূমি রয়েছে। আলজেরিয়ার প্রায় সব মানুষ দেশটির উত্তরাঞ্চলে উপকূলের কাছে বাস করে। ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত আলজিয়ার্স দেশটির বৃহত্তম [[শহর]] ও [[রাজধানী]]। আলজেরিয়ার [[আরবি ভাষা|আরবি]] নাম আলজাজাইর (অর্থাৎ দ্বীপসমূহ); নামটি রাজধানীর তীর সংলগ্ন দ্বীপগুলিকে নির্দেশ করছে।
 
উত্তর আলজেরিয়ার ভূমধ্যসাগরের উপকূলীয় অঞ্চলটির নাম তেল। এখানেই দেশের সিংহভাগ লোক বাস করে। আলজেরিয়ার তটরেখায় অনেক খাঁড়ি ও উপসাগর আছে। এখানে উর্বর সমভূমি ও অনুচ্চ পাহাড় আছে। নদীগুলি ক্ষুদ্র ও মৌসুমী ধরনের। উত্তর আলজেরিয়াতে গ্রীষ্মকালীন জলবায়ু উষ্ণ ও শুষ্ক এবং শীতকালগুলি মৃদু ও বৃষ্টিবহুল। উত্তরের তেল অঞ্চলটির ঠিক দক্ষিণে অ্যাটলাস পর্বতমালা উত্তর আলজেরিয়ার পূর্ব থেকে পশ্চিমে প্রসারিত হয়েছে; এর সর্বোচ্চ বিন্দু চেলিয়া পর্বত (২৩২৮ মিটার)। অ্যাটলাস পর্বতমালা দুইটি সমান্তরাল পর্বতমালা নিয়ে গঠিত, উত্তরের তেলীয় অ্যাটলাস এবং দক্ষিণের সাহারা অ্যাটলাস। অ্যাটলাস পর্বতমালার দক্ষিণে অবস্থিত মধ্য ও দক্ষিণ আলজেরিয়া মূলত সাহারা মরুভূমির উত্তরাংশ নিয়ে গঠিত। সাহারা মরুভূমি আলজেরিয়ার প্রায় নয়-দশমাংশ এলাকা গঠন করেছে। সাহারাতে কিছু মালভূমি এবং মধ্য আলজেরিয়াতে আর্গ নামের বিশাল সুউচ্চ অনেক বালিয়াড়ি (বালির পাহাড়) আছে। আলজেরিয়ার সর্বোচ্চ বিন্দু তাহাত পর্বত (২৯১৮ মিটার) এখানেই অবস্থিত। সাহারা মরুভূমির জলবায়ু ঋতু বা দিবসের অহ্ন অনুযায়ী অত্যন্ত শীতল বা অত্যন্ত উত্তপ্ত হতে পারে; এখানে বৃষ্টিপাত অত্যন্ত বিরল। আলজেরিয়ার উদ্ভিদগুলি পানি ছাড়াই বহুদিন বেঁচে থাকতে পারে। উত্তরের তেল অঞ্চলে চিরসবুজ গুল্ম ও অনুচ্চ বিভিন্ন বৃক্ষের দেখা মেলে। মরুভূমি অঞ্চলে গুচ্ছ গুচ্ছ ঘাস, গুল্ম, আকাসিয়া বৃক্ষ ও জুজুবে বৃক্ষের আবাস। আলজেরিয়ার স্থানীয় হায়েনা, খ্যাঁকশিয়াল, বানর, বাজপাখি ও সাপ আছে। আরও আছে অ্যান্টিলোপ হরিণ, বুনো খরগোশ, তীক্ষ্ণদন্তী প্রাণী ও বন্য শূকর। সাহারা কাঁকড়াবিছার উপস্থিতি খুবই সাধারণ।
আলজেরিয়ার বেশির ভাগ লোক আরব, বার্বার কিংবা এই দুইয়ের মিশ্রণ। বার্বারেরা প্রথম উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকায় বসতি স্থাপন করে। ৭ম শতকের শেষভাগে [[মুসলিম|আরব মুসলিমেরা]] উত্তর আফ্রিকা জয় করে এবং [[ইসলাম]] ও [[আরবি ভাষা|আরবি ভাষার]] প্রচলন করে। বর্তমানে আলজেরিয়ার প্রায় সবাই মুসলিম ও আরবিভাষী। সংখ্যালঘু বার্বারেরা ইসলাম গ্রহণ করলেও নিজ ভাষা ও রীতিনীতি বিসর্জন দেয় নি। আলজেরিয়াতে [[ফরাসি ভাষা|ফরাসি ভাষাও]] বহুল প্রচলিত।
 
আলজেরিয়ার সিংহভাগ (৭৫%) জনগণ নৃতাত্ত্বিকভাবে ও ভাষাগতভাবে আরব জাতির লোক; এছাড়া এখানে বার্বার (আমাজিগ) জাতির একটি বৃহৎ সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী বাস করে, যারা জনসংখ্যার প্রায় ২৪%। এখানে আরবদের আগমনের পূর্বে বার্বার জাতির লোকেরাই বাস করত। বর্তমানে বার্বার জাতির লোকেরা দেশের উত্তর-পূর্বভাগের কাবিলিয়া অঞ্চলে ঘনীভূত। সংখ্যালঘু বার্বারেরা ইসলাম গ্রহণ করলেও নিজ ভাষা ও রীতিনীতি বিসর্জন দেয় নি। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বার্বারদেরকে অধিকতর জাতিগত অধিকার প্রদান করা হয়েছে। সাহারা অঞ্চলে মাত্র ৫ লক্ষ লোক বাস করে। এরা হয় খনিজ তেলখনির শ্রমিক, অথবা মেষপালক বা ছাগলপালক যাযাবর তুয়ারেগ জাতির লোক। আরবি ও বার্বার (তামাজিগত) দুইটি সরকারী ভাষা। তবে ঔপনিবেশিক কারণে প্রশাসন, ব্যবসা ও উচ্চশিক্ষার ভাষা হিসেবে ফরাসি ভাষা এখনও বহুল প্রচলিত। সরকারী ধর্ম ইসলাম, প্রায় সবাই (৯৯%) মুসলমান এবং সিংহভাগ মুসলমান সুন্নি মতাদর্শী। কুসকুস (গমের সুজিভিত্তিক পদ) ও ত্বজিন (মাটির পাত্রে অল্প পানিতে সিদ্ধ মসলা, বাদাম ও শুকনো ফল দেয়া মাছ, মাংস ও সবজির মিশ্রণ) দুইটি প্রধান স্থানীয় পদ। আলজেরিয়া একটি প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র যার একটি দ্বিকাক্ষিক আইনসভা আছে। রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকারব্যবস্থাতে রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের প্রধান, অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী সরকার প্রধান।
আলজেরিয়া ১৯শ শতকের মাঝামাঝি থেকে ১৯৬২ সালে ইতিহাসের অন্যতম রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা লাভের আগ পর্যন্ত [[ফ্রান্স|ফ্রান্সের]] উপনিবেশ ছিল। আট বছর ধরে সংঘটিত স্বাধীনতা যুদ্ধে দেশটির অশেষ ক্ষতিসাধন হয়, এবং এখান থেকে বহু [[ইউরোপ|ইউরোপীয়]] চলে যায়।
 
আলজেরিয়া একটি উন্নয়নশীল দেশ, যার অর্থনীতি মূলত খনিজ তেল (পেট্রোলিয়াম) ও প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদন ও রপ্তানির উপরে নির্ভরশীল। দেশটির মুদ্রার নাম আলজেরীয় দিনার, যা আবার ১০০ সঁতিমে বিভক্ত। স্বাধীনতা লাভের পর দেশটি অর্থনীতির সিংহভাগ রাষ্ট্রায়ত্তধীন করলেও ১৯৮০-র দশক থেকে কিছু কিছু খাতের আংশিক বেসরকারীকরণ ঘটেছে। বেশিরভাগ আলজেরীয় সরকারী চাকুরি, সামরিক বাহিনী বা কৃষিখাতে নিয়োজিত। এখানে গম, আলু, টমেটো, যব, খেজুর, পেঁয়াজ, কমলা, জলপাই ও আঙুরের চাষ হয়। গবাদি পশু হিসেবে মূলত ভেড়া ও ছাগল পালন করা হয়। শিল্পখাতে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, তামাকজাত দ্রব্য, সিমেন্ট, ইট, টালি, লোহা ও ইস্পাতের দ্রব্য উৎপাদন করা হয়।.২০১৯ সালে মাথাপিছু স্থূল অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (জিডিপি) ছিল ৪২২৯ মার্কিন ডলার, যা বিশ্বে ১০৯তম। দেশটির মানব উন্নয়ন সূচক ০.৭৫৯ (অর্থাৎ উচ্চ), যা বিশ্বে ৮২তম।
স্বাধীনতার সময়ে আলজেরিয়ার [[অর্থনীতি]] ছিল অণুন্নত ও কৃষিনির্ভর, তবে সরকার শীঘ্রই এটি আধুনিকীকরণের উদ্যোগ নেন। বর্তমানে আলজেরিয়া আফ্রিকার ধনী দেশগুলির একটি, এবং এর অন্যতম কারণ [[খনিজ তেল|পেট্রোলিয়ামের]] রপ্তানি। ১৯৯০-এর দশকের শুরুতে [[সামরিক বাহিনী]] ও ইসলামী মৌলবাদীদের মধ্যে সংঘর্ষ দেশটিকে গৃহযুদ্ধে ঠেলে দেয়। তবে সরকারী উদ্যোগের ফলে ২১শ শতকের শুরুতে এই যুদ্ধ অনেকাংশেই দমন সম্ভব হয়েছে।
 
প্রাচীন যুগ থেকেই এখানে বার্বার জাতির লোকেরা বাস করত; বার্বারেরাই সম্ভবত প্রথম উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকায় বসতি স্থাপন করেছিল। এরপর এখানে পালাক্রমে বিভিন্ন আক্রমণকারী জাতিদের আগমন ঘটে। খ্রিস্টপূর্ব ১ম সহস্রাব্দে আলজেরিয়া অঞ্চলে ফিনিসীয় বণিকেরা বসতি স্থাপন করেছিল। এরপর কার্থেজীয় জাতিরাও এখানে আক্রমণ করে। এর কয়েক শতাব্দী পরে রোমানরা অঞ্চলটি আক্রমণ করে এবং খ্রিস্টপূর্ব ৪০ অব্দ নাগাদ সমগ্র ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলীয় অঞ্চলটি তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। খ্রিস্টীয় ৫ম শতকে রোমের পতন ঘটলে ভ্যান্ডাল জাতির লোকেরা অঞ্চলটি আক্রমণ করে। পরে বাইজেন্টীয় (পূর্ব রোমান) সাম্রাজ্য অঞ্চলটি পুনরায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। খ্রিস্টীয় ৭ম শতকে এখানে মুসলমানদের আক্রমণ শুরু হয় এবং ৭১১ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ সমগ্র দক্ষিণ আফ্রিকা উমাইদ রাজবংশীয় খলিফাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। [[মুসলিম|আরব মুসলমানেরা]] এখানে [[ইসলাম]] ধর্ম ও [[আরবি ভাষা|আরবি ভাষার]] প্রচলন করে। এরপর বেশ কয়েকটি বার্বার মুসলমান রাজবংশ অঞ্চলটি শাসন করে; এদের মধ্যে আলমোরাভিদ রাজবংশটি সবচেয়ে বেশি উল্লেখযোগ্য। আলমোরাভিদরা ১০৫৪ থেকে ১১৩০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত শাসন করেন এবং তাদের সাম্রাজ্য ইউরোপের স্পেন পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এরপরে আলমোহাদ রাজবংশটিও ১১৩০-১২৬৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত শাসন করেন। ১৫১৮ সালে তুর্কি উসমানীয় সাম্রাজ্য উত্তর আলজেরিয়া দখলে নেয়। বার্বার উপকূলের জলদস্যুরা বহু শতাব্দী ধরে ভূমধ্যসাগরীয় বাণিজ্যের জন্য হুমকি ছিল। জলদস্যুদের আক্রমণে অতিষ্ঠ হয়ে তাদেরকে দমনের মিথ্যা কারণ দেখিয়ে ফরাসিরা ১৮৩০ সালে আলজেরিয়া আক্রমণ করে। ১৮৪৭ সালের মধ্যে ফ্রান্স অঞ্চলটির সিংহভাগ এলাকায় সামরিক শাসন জারি করে; আলজেরিয়া একটি ফরাসি উপনিবেশে পরিণত হয়। ১৯শ শতকের শেষে এসে ফরাসিরা আলজেরিয়াতে বেসামরিক শাসন চালু করে। কিন্তু বিংশ শতাব্দীত ১৯২০-এর দশক থেকে ফরাসি ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে আলজেরীয়দের বিদ্রোহ দানা বেঁধে ওঠে, তারা আরও বেশি অধিকার দাবী করতে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত ১৯৫৪ সালে "ফ্রোঁ দ্য লিবেরাসিওঁ নাসিওনাল" (এফএলএন, "জাতীয় স্বাধীনতা ফ্রন্ট") নামের একটি দলের নেতৃত্বে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে আলজেরিয়ার স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৬১ সাল পর্যন্ত প্রায় ৮ বছর যুদ্ধ চলে। শেষ পর্যন্ত ১৯৬২ সালে একটি গণভোটের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জিত হয়। আট বছর ধরে সংঘটিত স্বাধীনতা যুদ্ধে দেশটির অশেষ ক্ষতিসাধন হয়, এবং এখান থেকে বহু [[ইউরোপ|ইউরোপীয়]] চলে যায়। ফ্রোঁ দ্য লিবেরাসিওঁ নাসিওনাল নতুন সরকার গঠন করে। স্বাধীনতার সময়ে আলজেরিয়ার [[অর্থনীতি]] ছিল অনুন্নত ও কৃষিনির্ভর, তবে সরকার শীঘ্রই এটি আধুনিকীকরণের উদ্যোগ নেন। বর্তমানে আলজেরিয়া আফ্রিকার ধনী দেশগুলির একটি, এবং এর অন্যতম কারণ [[খনিজ তেল|পেট্রোলিয়ামের]] রপ্তানি। ১৯৯১ সালে প্রথমবারের মতো আলজেরিয়াতে গণতান্ত্রিক নির্বাচন সম্পন্ন হয়। এদের মধ্যে একটি দল ছিল ইসলামপন্থী ফ্রোঁ ইসলামিক দে সালভাসিওঁ (এফইএস); তারা আলজেরিয়াতে একটি একটি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। যখন প্রতিভাত হয় যে এফইএস সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়লাভ করবে, তখন ক্ষমতাসীন সরকার সামরিক বাহিনীর সাহায্য নিয়ে নির্বাচন বাতিল করে দেয় এবং দেশের শাসন করায়ত্ত করে। এর ফলে দেশটিতে [[সামরিক বাহিনী]] ও ইসলামী মৌলবাদীদের মধ্যে এক বিধ্বংসী গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৯৯ সালে আরেকটি নির্বাচনে আলজেরীয়রা আবদেলাজিজ বুতেফিকাকে ১৯৬৫ সালের পরে প্রথমবারের মতো একজন বেসামরিক ব্যক্তি হিসেবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করে। কিন্তু বিভিন্ন চরমপন্থী ইসলামী দলগুলির সাথে সরকারের সংঘাত অব্যাহত থাকে। রাজনৈতিক গণ্ডগোলের কারণে বহুসংখ্যক দক্ষ বিদেশী শ্রমিক আলজেরিয়া ত্যাগ করেছে। তবে সরকারী উদ্যোগের ফলে ২১শ শতকের শুরুতে এই যুদ্ধ অনেকাংশেই দমন সম্ভব হয়েছে।
 
== ইতিহাস ==