বিষয়শ্রেণী:প্রধান বিষয়শ্রেণী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Tapanbagchi (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Tapanbagchi (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
 
 
'''== বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মণি সিংহের অবদান =='''<br />
'''ড. তপন বাগচী'''<br />
উপমহাদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব কমরেড মণি সিংহ। মণি সিংহ এখন আর কেবল ব্যক্তি বা নাম নয়, রীতিমতো এক প্রতিষ্ঠান। মণি সিংহ এখন জীবনদর্শন আর জীবনাদর্শের প্রতিশব্দ। মণি সিংহ এখন সংগঠন ও সংগ্রামের প্রতীকী প্রতিরূপ। গোটা জীবনই তিনি বিনিয়োগ করেছেন মেহনতী মানুষের মুক্তির জন্য। তাঁর জীবনসংগ্রাম মানেই মানুষের মুক্তির সংগ্রাম। তাঁর প্রতিটি জীবনযুদ্ধ আর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পৃথক কোনো কর্মসূচি নয়। তবে কেবল স্বাধীনতা নয়, স্বাধীনতার সঙ্গেসঙ্গে মানুষের সার্বিক মুক্তি ও সাম্যবাদ প্রতিষ্ঠা ছিল তাঁর চূড়ান্ত লক্ষ্য। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানি শোষণের অবসান ঘটিয়ে একটি সাম্যের সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রত্যাশা করেছিলেন। সেই লক্ষ্যে তিনি বিশ শতকের শুরু থেকেই নিজেকে আন্দোলনে যুক্ত রেখেছেন একজন কর্মী হিসেবে। শতাব্দী জুড়েই তিনি ছিলেন আন্দোলন-সংগ্রামের প্রথম কাতারে। নেত্রকোণার সুসং-দুর্গাপুরের নিভৃত গ্রাম থেকে উঠে-আসা রাজনৈতিক মাঠের কর্মী সেই মনীন্দ্রকুমার সিংহ আজকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কমেরড মণি সিংহ নামে একজন সাম্যবাদী নেতা হিসেবে সম্মানিত।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মণি সিংহ (১৯০১-১৯৯০) নেত্রকোণা [তৎকালীন ময়মনসিংহ] জেলার সুসং-দুর্গাপুরে জন্মগ্রহণ করেন। সেখানে প্রাথমিক শিক্ষা শেষে তিনি মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহণের জন্য কলকাতায় যান। কলকাতায় ১৯১৪ সালে তিনি সশস্ত্র বিপ্লবী গোষ্ঠী ‘অনুশীলন’ দলে যোগ দেন। এক দশক পরে সন্ত্রাসবাদী আন্দোলন ত্যাগ করে ১৯২৫ সালে তিনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন।