কারাইকল জেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
৭২ নং লাইন:
 
১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৩ই জুন কারাইকল ন্যাশনাল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা ও ঐ বছরই আরো পূর্বে ৩১শে জানুয়ারী প্রতিষ্ঠিত ছাত্র কংগ্রেস সংগঠনই পরবর্তীকালে ফরাসি শাসনমুক্ত স্বাধীন কারাইকলের সূত্রপাতকে সূচিত করে৷ ফরাসিরা ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দের ৩১শে অক্টোবর অবধি এই জেলার ওপর কর্তৃত্ব চালাতে সক্ষম ছিলেন৷ এর পর কারাআকলের সমস্ত সরকারী কার্যালয়গুলি থেকে ফরাসি ঔপনিবেশিকতার ধ্বজ নামিয়ে নেওয়া হয়৷ এই অনুষ্ঠানে দেশীয় সৈন্যবলসহ সরকারী বেসরকারী দেশি ও ফরাসি একাধিক কর্মকর্তা ও সাধারণ মানুষ যোগদান করেন৷ ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দের ১লা নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে কারাইকলের শাসনক্ষমতা হস্তান্তর করা হয় ও ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে ১৬ই আগষ্ট শাসন, আইনসহ সমস্ত সরকারী ব্যবস্থাপনা সরকারীভাবে হস্তান্তর করা হয়৷
 
==ভূগোল==
কারিগর জেলা ১৫৭ বর্গকিলোমিটার আয়তন জুড়ে বিস্তৃত।<ref name='Reference Annual'>{{cite book | last1 = Srivastava, Dayawanti et al. (ed.) | title = India 2010: A Reference Annual | chapter = States and Union Territories: Pondicherry: Government | edition = 54th | publisher = Additional Director General, Publications Division, [[Ministry of Information and Broadcasting (India)]], [[Government of India]] | year = 2010 | location = New Delhi, India | pages = 1222 | isbn = 978-81-230-1617-7}}</ref>
 
;অবস্থান
পূর্বতন [[ফরাসি ভারত]] সাম্রাজ্যের অন্তর্গত কারাইকল বা কারিকল ছিল একটি উপকূলীয় ছিটমহল। অন্যান্য ছিট মহল তথা [[পুদুচেরি জেলা]]র একাধিক ছিট মহল, [[ইয়ানম জেলা]] এবং [[মাহে জেলা]] নিয়ে গঠিত ছিল ফরাসি সাম্রাজ্যভুক্ত পুদুচেরি অঞ্চল,‌যা পরবর্তীকালে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা পায়। কারাইকল জেলার উত্তরে রয়েছে [[ময়িলাড়ুতুরাই জেলা]], দক্ষিণে রয়েছে [[নাগপত্তনম জেলা]] এবং পশ্চিমে রয়েছে [[তিরুভারুর জেলা]], প্রতিটিই [[তামিলনাড়ু]] রাজ্যে অন্তর্গত জেলা এছাড়া পূর্ব দিকে রয়েছে [[বঙ্গোপসাগর]]। ছিটমহলটি [[পুদুচেরি শহর|পুদুচেরি শহরের]] থেকে ১৩২ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত এবং সাংস্কৃতিক কারণে উল্লেখযোগ্য।
 
;২০০৪ খ্রিস্টাব্দের সুনামি
সাম্প্রতিককালে কারাইকল সর্বাধিক পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ২৬শে ডিসেম্বর ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে হওয়া সুনামির জন্য। ওই সময় মরণ ঢেউয়ের কারণে জেলাটিতে প্রায় ৫০০ এবং ততোধিক মৎস্যজীবী এবং তাদের পরিবারের একাধিক সদস্য নিখোঁজ হন এবং মারা যান।
 
;নদ-নদী
জেলাটির জলের উৎস মূলত কাবেরী নদী। কাবেরী নদীর মূলস্রোত গ্র্যান্ড আনিকটের দক্ষিণ দিকের শাখা কোড়ামুরুত্তি, আরাসালার, বীরচোলনার এবং বিক্রমনার উল্লেখযোগ্য। আরাসালার নদী এবং তার একাধিক শাখা নদী মূলত কারাইকলে বিস্তৃত হলেও কোড়ামুরুত্তি এবং বীরচোলনার নদী দুটি সেচের কাজে জন্য জলের যোগান দেয়।
 
;ভূসংস্থান
কাবেরী নদীর কৃষি উর্বর বদ্বীপ এ অবস্থানের দরুন জেলাটির চতুর্দিকে কাবেরী নদীর শাখা নদীগুলি প্রবহমান। সামান্য উঁচু নিচু জমি, পলি পড়া মাটি এবং বিভিন্ন জায়গায় ভিন্ন পলির গভীরতাস্তর যুক্ত এই অঞ্চলটি মূলত সমতল ভূমি হলেও পূর্ব দিকে বঙ্গোপসাগরের দিকে সামান্য হেলানো। উত্তরে নন্দলার এবং দক্ষিণ-পূর্বে বেট্টার দ্বারা ইহা সীমাবদ্ধ। কডলুর জেলার শিলাময় ভূমি ধীরে ধীরে কারাইকল অঞ্চল অতিক্রম করে নাগপত্তনম জেলার দিকে বিস্তৃত।
 
==তথ্যসূত্র==