উৎসব: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
৯২ নং লাইন:
ঔপনিবেশিক শাসনামলে খ্রিস্টানদের ক্রিস্টমাস বা যিশু এর জন্মদিন (বড়দিন) সাড়ম্বরে উদযাপিত হতো, বিশেষ করে কলকাতায়। এ উপলক্ষে দেশিয়রাও নানারকম অনুষ্ঠান করতেন। বড়দিনের উৎসব একদিনের। গির্জায় গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা, ভোজসভা এবং উপহার বিতরণ এ উৎসবের প্রধান বৈশিষ্ট্য। বর্তমানে বাংলাদেশে বৌদ্ধ বা খ্রিস্টানদের সংখ্যা নগণ্য, তাই তাদের উৎসবও পালিত হয় অনেকটা নীরবে।
 
==[[পহেলা বৈশাখ]]==
বর্তমান বাংলাদেশে বিকশিত হচ্ছে আরেকটি উৎসব যার সঙ্গে ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই, সেটি হলো বাংলা নববর্ষ। বাংলা বছরের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ মহাসমারোহে পালিত হয়। এর প্রধান বৈশিষ্ট্য এ যে, এটি ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে একটি সামাজিক উৎসব। এর চরিত্র সর্বজনীন। ধর্মভিত্তিক নয় অথচ সর্বজনীন এমন উৎসব পৃথিবীতে বিরল। বিগত ৪০০ বছরে কৃষি ও ঋতুর সঙ্গে যুক্ত অনেক অনুষ্ঠান এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ে এবং এভাবে আবর্তিত হয়ে পহেলা বৈশাখ রূপান্তরিত হয় নববর্ষে। বিশ শতকের ষাটের দশক থেকে বাংলা নববর্ষ এক নতুন মাত্রা লাভ করে। আইয়ুব আমলে (১৯৬৪) রবীন্দ্রসঙ্গীত ও বাঙালি সংস্কৃতির ওপর আক্রমণ শুরু হলে ছায়ানট পহেলা বৈশাখ নববর্ষ পালন উপলক্ষে রমনার বটমূলে আয়োজন করে রবীন্দ্রসঙ্গীতের অনুষ্ঠান। ছায়ানটের এ প্রচেষ্টা ক্রমশই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলা নববর্ষ ঘোষিত হয় সরকারি ছুটির দিন হিসেবে। বাংলা নববর্ষ এখন বাংলাদেশের একটি প্রধান সামাজিক উৎসব।
 
কালে কালে এ নববর্ষের সঙ্গে জড়িত হয়েছে আরও অনেক আনুষঙ্গিক বিষয়। সেসবের কোনোটি এখন বিলুপ্ত, কোনোটি লুপ্তপ্রায় এবং কোনো কোনোটি আবার অঞ্চলবিশেষে প্রচলিত আছে। লুপ্তপ্রায় একটি অনুষ্ঠান হচ্ছে পুণ্যাহ। এর উদ্ভবকাল সঠিকভাবে জানা যায় না, তবে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত বিলুপ্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এটি প্রচলিত ছিল। এদিন প্রজারা ভালো পোশাক-পরিচ্ছদ পরে জমিদারের কাচারিতে যেতেন খাজনা-নজরানা দিতে, যেন পুণ্য কাজ করতে যাচ্ছেন। তাই এর নাম হয়েছে পুণ্যাহ।
 
হালখাতা অনুষ্ঠানটি অবশ্য এখনও প্রচলিত আছে। প্রধানত ব্যবসায়ী মহল এটি পালন করে। নববর্ষের দিন ব্যবসায়ীরা পুরনো বছরের হিসাব-নিকাশ সমাধা করেন। এ জন্য অনেকে লাল কাপড়ের মলাটের এক বিশেষ খাতা ব্যবহার করেন, যাকে বলা হয় খেরো পাতা। এদিন ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের মিষ্টিমুখ করান। শুধু তাই নয়, সাধারণ লোকদের মধ্যেও অনেকেই আজকাল নববর্ষ পলক্ষে মিষ্টিসহ ভালো খাবারের আয়োজন করেন। এ উপলক্ষে আঞ্চলিক অনুষ্ঠানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে চট্টগ্রামের জববারের বলীখেলা বা কুস্তি। রাজশাহীর গম্ভীরাও এমনি একটি অনুষ্ঠান। ঢাকার মুন্সিগঞ্জে এক সময় গরু দৌড় প্রতিযোগিতার প্রচলন ছিল। তবে পহেলা বৈশাখের সবচেয়ে বড়ো অনুষ্ঠান মেলা। কোথাও কোথাও এ মেলা সপ্তাহ কিংবা পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়। নববর্ষের এ মেলাগুলি দেশের প্রাচীন আর্তব উৎসব, কৃষি উৎসব প্রভৃতির বিবর্তিত রূপ; কেননা এগুলিতে এখন পর্যন্ত স্থানীয় কৃষিজাত ও কুটিরশিল্পজাত দ্রব্যাদির বেচাকেনা হয়। বৈশাখী মেলার আরও একটি বৈশিষ্ট্য হলো অন্যান্য মেলার মতো এতে ধর্মীয় প্রভাব নেই। সমগ্র বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখ ও বৈশাখের প্রথম সপ্তাহে প্রায় ২০০ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকাসহ অন্যান্য শহর বা শহরাঞ্চলে আয়োজিত মেলায় মাটির ও কুটিরজাত পণ্যের সঙ্গে সঙ্গে গ্রন্থমেলারও আয়োজন করা হয়। অনেক প্রতিষ্ঠান নববর্ষের শুভেচ্ছা হিসেবে মক্কেলদের বই উপহার দেয়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.jugantor.com/todays-paper/sub-editorial/38242/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%89%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%AC|শিরোনাম=বাঙালির সামাজিক উৎসব|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|কর্ম=দৈনিক যুগান্তর|সংগ্রহের-তারিখ=|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref>
 
[[বিষয়শ্রেণী:উৎসব]]
'https://bn.wikipedia.org/wiki/উৎসব' থেকে আনীত