সঠিকতা ও সূক্ষ্মতা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
উদাহরণ যোগ |
উদাহরণ যোগ |
||
৪ নং লাইন:
আরও সহজ ভাষায় বললে একই রাশিকে বারংবার পরিমাপ করার পরে প্রাপ্ত উপাত্তগুলির গড় মান যদি রাশিটির প্রকৃত মান অর্থাৎ বাস্তবিকভাবে সত্য মানের অনেক কাছাকাছি হয়, তাহলে বলা হয় এই রাশিটির পরিমাপ অনেক সঠিক (বা নির্ভুল বা অভ্রান্ত বা ভ্রমশূন্য) হয়েছে। আর একই রাশিকে বারংবার পরিমাপ করে প্রাপ্ত মানগুলি যদি একে অপরের অনেক কাছাকাছি হয়, তাহলে বলা হয় যে রাশিটির পরিমাপ অনেক সুক্ষ্ম, (সুসমঞ্জস বা সুসংহত) হয়েছে।
যেমন ধরা যাক, কোনও বস্তুর প্রকৃত (বাস্তবিকভাবে সত্য) দৈর্ঘ্য ১.০০ মিটার। এখন একটি মাপনী ''ক'' দিয়ে বস্তুটির দৈর্ঘ্য তিন বার মেপে দৈর্ঘ্য পাওয়া গেল ১.০২ মিটার, ১.০৯ মিটার ও ১.০১ মিটার, যাদের গড় মান (১.০২+১.০৯+১.০১)/৩= ১.০৪ মিটার, যার সাথে প্রকৃত মানের ব্যবধান ০.০৪ মিটার। আবার দ্বিতীয় একটি মাপনী ''খ'' দিয়ে ঐ একই বস্তুর দৈর্ঘ্য তিন বার মেপে দৈর্ঘ্য পাওয়া গেল ১.০৭ মিটার, ১.০৬ মিটার ও ১.০৮ মিটার, যাদের গড় মান (১.০৭+১.০৬+১.০৮)/৩= ১.০৭ মিটার, যার সাথে প্রকৃত মানের ব্যবধান ০.০৭ মিটার। সুতরাং এই উদাহরণে ''ক'' মাপনীটির সঠিকতা ''খ'' মাপনীর তুলনায় বেশি। ▼
সঠিকতা ও সুক্ষ্মতার ধারণা দুইটি একে অপর থেকে স্বতন্ত্র, তাই একটি পরিমাপকৃত উপাত্তের সংগ্রহ বা সেট চার রকম হতে পারে: ১) সঠিক কিন্তু সুক্ষ্ম নয়, ২) সুক্ষ্ম কিন্তু সঠিক নয়, ৩) একাধারে সঠিক ও সুক্ষ্ম, এবং ৪) সঠিক বা সুক্ষ্ম কোনওটিই নয়। যেমন যদি কোনও পরিমাপকারী ব্যবস্থাতে নিয়মানুগ ত্রুটি থাকে তাহলে নমুনা সংখ্যা বৃদ্ধি করলে সুক্ষ্মতা বৃদ্ধি পায়, কিন্তু সঠিকতা বৃদ্ধি পায় না। এক্ষেত্রে পরিমাপকৃত মানগুলি আরও বেশি সুসামঞ্জস্যপূর্ণ হবে বা সুক্ষ্মতর পার্থক্যবিশিষ্ট হবে, কিন্তু ব্যবস্থাটির সঠিকতায় কোনও হেরফের হবে না। আবার নমুনা সংখ্যা না বাড়িয়ে যদি নিয়মানুগ ত্রুটিটিকে দূর করে দেওয়া যায়, তাহলে সঠিকতা বাড়বে কিন্তু সুক্ষ্মতার কোনও পরিবর্তন হবে না।
তবে সঠিকতা ও সুক্ষ্মতার এই সাধারণ সংজ্ঞার সাথে আন্তর্জাতিক আদর্শ নির্ধারণী সংস্থা আইএসও-র সংজ্ঞার পার্থক্য আছে। উপরে সংজ্ঞায়িত "সঠিকতা"-র জন্য তারা "সত্যতা" পরিভাষাটি ব্যবহার করে থাকে। আইএসও-এ মতে "সঠিকতা" হল নিয়মানুগ ত্রুটি ও সমসম্ভব ত্রুটি, এই উভয় ধরনের [[পরিমাপগত ত্রুটি]]-র (পর্যবেক্ষণগত ত্রুটির) সামষ্টিক প্রভাব বর্ণনাকারী একটি ধারণা। সুতরাং আইএসও-সংজ্ঞায়িত "সঠিকতা" উচ্চ হতে হলে "সত্যতা" ও সুক্ষ্মতা উভয়কেই উচ্চ হতে হয়।
==উদাহরণ==
▲
এখন ''ক'' মাপনী দ্বারা পরিমাপকৃত মান তিনটির গড় (১.০৪ মিটার) থেকে প্রতিটি মানের পরম বিচ্যুতি হল যথাক্রমে ০.০২ মিটার, ০.০৫ মিটার, ০.০৩ মিটার; সুতরাং গড় মান থেকে মানগুলির গড় বিচ্যুতি হল (০.০২+০.০৫+০.০৩)/৩= ০.০৩৩ মিটার। আবার ''খ'' মাপনী দ্বারা পরিমাপকৃত মান তিনটির গড় (১.০৭ মিটার) থেকে প্রতিটি মানের পরম বিচ্যুতি হল যথাক্রমে ০.০০ মিটার, ০.০১ মিটার, ০.০১ মিটার; সুতরাং গড় মান থেকে মানগুলির গড় বিচ্যুতি হল (০.০০+০.০১+০.০১)/৩= ০.০০৬ মিটার। সুতরাং ''ক'' মাপনীর তুলনায় ''খ'' মাপনীর মানগুলির গড় বিচ্যুতি অনেক কম, অন্য ভাষায় এগুলি একে অপরের অনেক বেশি কাছাকাছি অবস্থিত, সুতরাং ''খ'' মাপনীর সুক্ষ্মতা ''ক'' মাপনীর তুলনায় বেশি।
==পরিভাষা (বাংলা বর্ণানুক্রমে)==
* অভ্রান্ততা = accuracy
* গড় বিচ্যুতি = average deviation
* নমুনা সংখ্যা = sample size
* নিয়মানুগ ত্রুটি = systematic error
৩০ ⟶ ৩৫ নং লাইন:
* সত্য মান= true value
* প্রকৃত মান = true value
* পরম বিচ্যুতি = absolute deviation
* সত্যতা = trueness
* সমসম্ভব ত্রুটি = random error
|