ইস্পাহানি পরিবার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
||
২৪ নং লাইন:
[[চিত্র:ইস্পাহানি পরিবার.jpg|thumb|বাম থেকে: মির্জা মেহেদী ইস্পাহানি, মির্জা মুহাম্মদ ইস্পাহানি , [[মির্জা আহমেদ ইস্পাহানি]], মির্জা মেহেদী ইস্পাহানি, মির্জা আলী বেহরোজ ইস্পাহানি]]
[[পারস্য|পারস্যের]] হাজী মুহাম্মদ হাশেম ইস্পাহানি (১৭৮৯-১৮৫০) হচ্ছেন ইস্পাহানি পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ১৮২০ সালে [[পারস্য|পারস্যের]] [[
মুহাম্মদ হাশিমের নাতি [[মির্জা মেহেদী ইস্পাহানি]] (১৮১৪-১৯১৩) [[মুম্বাই|বোম্বে]] থেকে [[চেন্নাই|মাদ্রাজে]] প্রতিষ্ঠানটির সদর দপ্তর স্থানান্তর করেন। তিনি দীর্ঘ ১২ বছর [[মিসর|মিসরের]] [[কায়রো]]তে অবস্থান করেন। সেখানে তিনি চা, চামড়া, মসলা এবং অন্যান্য ভারতীয় পণ্যের বিশাল ব্যবসা গড়ে তোলেন। পরবর্তীতে ১৮৮৮ সালে তিনি [[ঢাকা]]য়
১৮৭১ সালে মির্জা মেহেদী ইস্পাহানির পুত্র মির্জা মুহাম্মদ ইস্পাহানি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯০০ সালে এম.এম. ইস্পাহানি অ্যান্ড সন্স-এর [[কলকাতা]] অফিস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। একই বছর লন্ডনেও একটি শাখা অফিস প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। <ref>{{cite book |last=চ্যাটার্জী |first=জয়া |date=১৯৯৪ |title= বাংলা বিভক্ত: হিন্দু সাম্প্রদায়িকতা এবং দেশভাগ, ১৯৩২-১৯৪৭ (Bengal Divided: Hindu Communalism and Partition, 1932-1947) |url=https://books.google.com/books?id=iDNAQcoVqoMC&pg=PA80 |publisher=ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস |page=৮০ |isbn=0-521-52328-1}}</ref> ১৯২৫ সালে তিনি মারা যান।
তাঁর বড় ছেলে [[মির্জা আহমেদ ইস্পাহানি]] (১৮৯৮-১৯৮৬) ১৯১৮ সালে তাদের ব্যাবসার অংশীদারিতে যোগ দেন। তিনি ১৯৩৪ সালে [[কলকাতা]]য় তাঁর ছোট ভাই আবুল হাসান ইস্পাহানি এবং মির্জা মাহমুদ ইস্পাহানিকে নিয়ে এম.এম. ইস্পাহানি লিমিটেড নামক লিমিটেড সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। আবুল হাসান ১৯৩৬ সালে বঙ্গীয় প্রাদেশিক [[নিখিল ভারত মুসলিম লীগ|মুসলিম লীগের]] যুগ্ম-সচিব হওয়ার পর পারিবারিক ব্যবসা ছেড়ে দেন। পরের বছর, তিনি [[বঙ্গীয় আইনসভা]]র সদস্য হন। এরপরে তিনি ১৯৪১ সালে [[কলকাতা পৌরসংস্থা|কলকাতা পৌর কর্পোরেশনের]] ডেপুটি মেয়র হন। ১৯৪৫ সালে তাঁকে [[কলকাতা]]র মুসলিম চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি করা হয়। ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত তিনি এই পদে ছিলেন। তাঁর দায়িত্ব ছিল [[মধ্য প্রাচ্য|মধ্য প্রাচ্যে]] বাণিজ্য প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেওয়া। ১৯৪৬ সালে তিনি ভারতের গণপরিষদের সদস্য হন। তিনি ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত মুসলিম লীগের কোষাধ্যক্ষও ছিলেন। [[ভারত বিভাজন|পাকিস্তানের স্বাধীনতা]]র পর তিনি ১৯৫২ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছর [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র|মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে]] [[পাকিস্তান|পাকিস্তানের]] রাষ্ট্রদূত হন। পরবর্তীতে ১৯৫৪ সাল থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত তিনি [[পাকিস্তান সরকার|পাকিস্তান সরকারের]] শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন। <ref name="বাংলাপিডিয়া"/>
১৯৪৭ সালে [[ভারত বিভাজন|পাকিস্তানের স্বাধীনতার]] পর নতুন সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত [[পাকিস্তান অধিরাজ্য|ডোমিনিয়নে]] কর্পোরেট সদর দপ্তর [[কলকাতা]] থেকে [[চট্টগ্রাম|চট্টগ্রামে]] স্থানান্তরিত করা হয়। যা এখনো সেখানেই আছে। <ref name="ইত্তেফাক"/> <ref name=star1>{{cite news |title=The four winners of Bangladesh Business Awards 2003 |url=http://www.thedailystar.net/2004/03/20/d40320050247.htm |work=[[দ্য ডেইলি স্টার]] |date=2004-03-20 |accessdate=2008-02-10 }}</ref>
[[ভারত সরকার]] কর্তৃক [[ভারত|ভারতে]] এর পরিচালনার ভার নিজের কর্তৃত্বে নেওয়ার আগে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত এই সংস্থাটি [[কলকাতা]]য় একটি বিদেশী সংস্থা হিসাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল।
পরবর্তীতে [[মির্জা আহমেদ ইস্পাহানি]]র পুত্র
এই সংস্থাটির [[চট্টগ্রাম]], [[ঢাকা]] এবং [[খুলনা]]য় কর্পোরেট অফিস রয়েছে যেখানে এটি চা, টেক্সটাইল, রিয়েল এস্টেট, ক্রিস্পস, পোল্ট্রি, শিপিং এবং ইন্টারনেট পরিষেবাদির মতো অনেক সেক্টরে ২০,০০০ এরও বেশি লোককে নিয়োগ দিয়েছে। <ref name=star1/>
|