নওগাঁ শব্দর উৎপত্তি হয়েছে ‘নও’ (নতুন -ফরাসী শব্দ ) ও‘ গাঁ’ (গ্রাম ) শব্দ দু’টি হতে ।হতে। এই শব্দ দু’টির অর্থ হলো নতুন গ্রাম ।গ্রাম। অসংখ্য ছোট ছোট নদীর লীলাক্ষেত্র এ অঞ্চল ।অঞ্চল। [[আত্রাই নদী]] তীরবর্তী এলাকায় নদী বন্দর এলাকা ঘিরে নতুন যে গ্রাম গড়ে উঠে , কালক্রমে তা-ই নওগাঁ শহর এবং সর্বশেষ নওগাঁ জেলায় রুপান্তরিত হয়। নওগাঁ শহর ছিল [[রাজশাহী জেলারজেলা]]র অন্তর্গত ।অন্তর্গত। কালক্রমে এ এলাকাটি গ্রাম থেকে থানা এবং থানা থেকে মহকুমায় রুপ নেয় ।নেয়। ১৯৮৪ এর ১ মার্চ- এ নওগাঁ মহকুমা ১১টি উপজেলা নিয়ে জেলা হিসেবে ঘোষিত হয় ।হয়। বাংলাদেশ উত্তর -পশ্চিমভাগ [[বাংলাদেশ]] - [[ভারত]] আন্তর্জাতিক সীমা রেখা সংলগ্ন যে ভূখন্ডটি ১৯৮৪ খ্রিঃ এর ১ মার্চের পূর্ব পর্যন্ত অবিভক্ত [[রাজশাহী জেলারজেলা]]র অধীন নওগাঁ মহকুমা হিসেবে গণ্য হ-তো, তা - ই এখন হয়েছে বাংলাদেশের কন্ঠশোভা নওগাঁ জেলা ।জেলা। নওগাঁ প্রাচীন পৌন্ড্রবর্ধন[[পুণ্ড্রবর্ধন]] ভূক্ত অঞ্চল ছিল। অন্য দিকে এটি আবার [[বরেন্দ্র ভূমিরওভূমি]]রও একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ । নওগাঁর অধিবাসীরা ছিল প্রাচীন পুন্ড্র পুণ্ড্র জাতির বংশধর ।বংশধর। নৃতাত্বিকদের মতে, পুন্ড্ররা [[বিশ্বামিত্র|বিশ্বামিত্রের]] বংশধর এবং [[বৈদিক যুগ|বৈদিক যুগের]] মানুষ ।মানুষ। [[মহাভারত|মহাভারত্র]] পুন্ড্রদেরপুণ্ড্রদের অন্ধ ঋষি দীর্ঘতমার ঔরষজাত বলি রাজার বংশধর বলে উলেখ করা হয়েছে ।হয়েছে। আবার কারো মতে, বাংলার আদিম পাদদর বংশধর রুপে পুন্ড্রদের বলা হয়েছে ।হয়েছে। এদিক দিয়ে বিচার করলে নওগাঁ যে প্রাচীন জনগোষ্ঠীর আবাসস্থল ছিল তা সহজেই বলা যায় ।যায়।
নওগাঁ জেলাজেলায় আদিকাল হতেই বৈচিত্র ভরপুর ।ভরপুর। ছোট ছোট নদী বহুল এ জেলা প্রাচীনকাল হতেই কৃষি কাজের জন্য প্রসিদ্ধ ।প্রসিদ্ধ। কৃষি কাজের জন্য অত্যমত্ম উপযোগী এলাকায় বিভিন্ন অঞ্চল নিয়ে অসংখ্য জমিদার গোষ্ঠী গড়ে উঠে ।উঠে। এ জমিদার গোষ্ঠীর আশ্রয়েই কৃষি কাজ সহযোগী হিসেবে খ্যাত সাঁওতাল গোষ্ঠীর আগমন ঘটতে শুরু করে এ অঞ্চল ।অঞ্চল। [[সাঁওতাল]] গোষ্ঠীর মতে এ জেলায় বসবাসরত অন্যান্য আদিবাসীদের মধ্যে [[মাল পাহাড়িয়া]], কুর্মি, মহালী ও [[মুন্ডা]] বিশেষভাবে খ্যাত ।খ্যাত। নানা জাতি ও নানা ধর্মর মানুষের সমন্বয়ে গঠিত নওগাঁ জেলা মানব বৈচিত্র্য ভরপুর ।ভরপুর। অসংখ্য পুরাতন [[মসজিদ]], [[মন্দির]], [[গীর্জা]] ও জমিদার বাড়ি প্রমাণ কর নওগাঁ জেলা সভ্যতার ইতিহাস অনেক পুরাতন ।পুরাতন।