প্রাচ্যতত্ত্ব: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Mosesheron (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
Mosesheron (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
১৬ নং লাইন:
 
===সমালোচনামূলক অধ্যয়ন===
‘ওরিয়েন্টালিজম’ (১৯৭৮) নামক বইটিতে সংস্কৃতি সমালোচক এডওয়ার্ড সাঈদ পরিভাষাটিকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। তার মতে, প্রাচ্যতত্ত্ব হল প্রাচ্যকেন্দ্রিকপ্রাচ্যকে একটিকেন্দ্র একাডেমিককরে এবংগড়ে শৈল্পিকওঠা পশ্চিমা ঐতিহ্যঐতিহ্যের যাএমন প্রাচ্যেরএক কুসংস্কারযুক্ত একএকাডেমিক ও শৈল্পিক ধরণেরকিন্তু বহিরাগত-ব্যাখ্যা-যা আঠারো ও ঊনিশ শতকের ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদ থেকে উদ্ভূত সাংস্কৃতিক মনোভাবের দ্বারা প্রভাবিত।<ref>Tromans, 24</ref> প্রাচ্যতত্ত্বের প্রতিপাদ্যটি আন্তোনিও গ্রামসির সাংস্কৃতিক আধিপত্যের তত্ত্ব এবং মিশেল ফুকোর জ্ঞান/শক্তি সম্পর্কের তত্ত্বায়নকে পশ্চিমা জ্ঞানবাদী ঐতিহ্যকে সমালোচনা করার জন্য এগিয়ে নিয়ে যায়। সাইদ সেইসব সমকালীন পণ্ডিতদের সমালোচনা করেছেন যারা আরব-ইসলামী সংস্কৃতিকে বোঝার জন্য বাইরের লোকের ব্যাখ্যাকে স্থিরীকৃত করে ফেলেছেন। এর মধ্যে বার্নার্ড লুইস এবং ফুয়াদ আজামির মতো পণ্ডিতের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।<ref>''Orientalism'' (1978) Preface, 2003 ed. p. xv.</ref><ref name= Xypolia2011>{{cite journal|last=Xypolia|first=Ilia|title=Orientations and Orientalism: The Governor Sir Ronald Storrs|journal=Journal of IslamicJerusalem Studies|year=2011|volume=11|pages=25–43|url=https://dergipark.org.tr/en/download/article-file/294256}}</ref>
তার বিশ্লেষণগুলি অবশ্য ইউরোপীয় সাহিত্যে বিশেষত ফরাসী সাহিত্যে প্রাচ্যতত্ত্ব সম্পর্কিত ধারনাগুলোর উপর আলোকপাত করে। দৃশ্যশিল্প কিংবা প্রাচ্যকেন্দ্রিক চিত্রকর্মগুলো তার সমালোচনার আওতাভুক্ত নয়। এই বিষয়ে শিল্প ইতিহাসবিদ লিন্ডা নোচলিন সাইদের সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ পদ্ধতিগুলি "অসম ফলাফল সহ" প্রয়োগ করেছিলেন। [১৮] ২০১০ সালে ইবনে ওয়ারাক জিন-লিয়ন গারুমের ‘সাপুড়ে’ চিত্রকর্মটি নিয়ে নোচলিনের সমালোচনাকে খণ্ডন করার এবং সাধারণভাবে প্রাচ্যকেন্দ্রিক চিত্রকর্মের সাফাই গেয়ে ‘লিন্ডা নোচলিন এবং কাল্পনিক প্রাচ্য’ শিরোনামে একটি প্রবন্ধ রচনা করেন।
২৩ নং লাইন:
এ ছাড়াও, সাঈদের মতে, প্রাচ্যতত্ত্ব, ‘প্রতিনিধিত্বের ধারণা হিসাবে একটি তাত্ত্বিক ধারণা: যা প্রাচ্যের এমন একটি পর্যায়কে ইঙ্গিত করে যেখানে পুরো প্রাচ্য একটা ধারণার জগতে সীমাবদ্ধ। এই ধারণাটি পশ্চিমাদের কাছে প্রাচ্যকে ‘কম ভীতিকর’ হিসেবে উপস্থাপন করতে সহায়তা করে বলে সাইদ মত দিয়েছেন। পশ্চিমা বিশ্বের এ ধরণের চিন্তাভাবনাই উপনিবেশবাদের মূল কারণ বলে তিনি মনে করতেন। অধিকন্তু, ‘সাম্রাজ্য: সংক্ষিপ্ত পরিচিতি’ (২০০০), নামক বইয়ে স্টিফেন হো বলেছেন যে পশ্চিমা দেশগুলি এবং তাদের সাম্রাজ্য অনুন্নত দেশগুলির শোষণ এবং এক দেশ থেকে অন্য দেশে অবৈধভাবে সম্পদ ও শ্রম আহরণের মাধ্যমে দ্বারা নির্মিত হয়েছিল।<ref>{{cite book|last1=Howe|first1=Stephen|title=Empire:A Very Short Introduction|publisher=Oxford University press|pages=73–77}}</ref>
ইসলামী বিশ্বেও প্রাচ্যতত্ত্ব বিষয়ে এক ধরণের সমালোচনামূলক প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। অনুমান করা হয় যে ২০০২ সালে একমাত্র সৌদি আরবেই প্রাচ্যতত্ত্বের সমালোচনায় স্থানীয় বা বিদেশী পণ্ডিতদের দ্বারা প্রায় ২০০ টি বই এবং ২০০০ এরও বেশি নিবন্ধ লেখা হয়।<ref>{{Cite book |doi = 10.1163/9789004379183_018|chapter = Discussions on Orientalism in Present-Day Saudi Arabia|title = Modern Societies & the Science of Religions: Studies in Honour of Lammert Leertouwer|year = 2002|last1 = Al-Samarrai|first1 = Qasim|isbn = 9789004379183|editor-last1 = Wiegers|editor-first1 = Gerard|series=Numen Book Series|volume=95|pp=283–301}} Page 284.</ref>
 
==আরো দেখুন==