শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
সম্প্রসারণ
১৭ নং লাইন:
| পুরস্কার =
}}
'''শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়''' (৩০ মার্চ ১৮৯৯ - ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৭০) ছিলেন একজন ভারতীয় [[বাঙালি]] লেখক। তাঁর জন্ম [[উত্তরপ্রদেশ|উত্তরপ্রদেশের]] জৌনপুর শহরে। আদিনিবাস উত্তর কোলকাতার বরানগর কুঠিঘাট অঞ্চল<ref>"https://archive.org/details/ByomkeshSamagra/page/n1"</ref>৷ তাঁর রচিত প্রথম সাহিত্য প্রকাশিত হয় তার ২০ বছর বয়সে, যখন তিনি কলকাতায় বিদ্যাসাগর কলেজে আইন নিয়ে পড়াশুনো করছিলেন। পড়াশুনোর সাথেই তিনি সাহিত্য চর্চাও করতে থাকেন। তার সৃষ্টি গোয়েন্দা চরিত্র [[ব্যোমকেশ বক্সী]] আত্মপ্রকাশ করে ১৯৩২ সালে।<ref name="১">{{সংবাদ উদ্ধৃতি | শিরোনাম=গোয়েন্দা কাহিনিকে সামাজিক উপন্যাসে উন্নীত করেছিলেন | লেখক=জাগরী বন্দ্যোপাধ্যায় | ইউআরএল=https://www.anandabazar.com/supplementary/patrika/article-on-famous-writer-sharadindu-bandyopadhyay-1.899214 | সংবাদপত্র=আনন্দবাজার পত্রিকা | তারিখ=১৭ নভেম্বর ২০১৮ | সংগ্রহের-তারিখ=২৯ মার্চ ২০২০}}</ref>
 
শরদিন্দু ১৯৩৮ সালে বম্বের [[বম্বে টকিজ]] এ চিত্রনাট্যকাররূপে কাজ শুরু করেন। ১৯৫২এ সিনেমার কাজ ছেড়ে স্থায়ীভাবে [[পুনে]]তে বসবাস করতে শুরু করেন। পরবর্তী ১৮ বছর তিনি সাহিত্য চর্চায় অতিবাহিত করেন। ১৯৭০ সালে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়।<ref>Bomokesh Shomogro,Sharadindu Bandyopadhyay, Ananda Publishers Pvt. Ltd. 45 Beniatola Lane, Calcutta</ref>
 
== সাহিত্যজীবন ==
শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় সৃষ্ট সবচেয়ে জনপ্রিয় চরিত্র হল ব্যোমকেশ বক্সী। ব্যোমকেশ একজন ডিটেকটিভ। নিজেকে তিনি সত্যান্বষী বলে পরিচয় দিতে পছন্দ করেন। ১৯৩২ এ 'পথের কাঁটা' উপন্যাসে ব্যোমকেশের আত্মপ্রকাশ।<ref name="১"/> প্রথমে শরদিন্দু অজিতের কলমে লিখতেন। কিন্তু পরে তিনি তৃতীয়পুরুষে লিখতে শুরু করেন। এছাড়া উল্লেখযোগ্য রচনার মধ্যে আছে বিভিন্ন ঐতিহাসিক উপন্যাস। যেমন 'কালের মন্দিরা', 'গৌর মল্লার', 'তুমি সন্ধ্যার মেঘ', 'তুঙ্গভদ্রার তীরে', ইত্যাদি। সামাজিক উপন্যাস যেমন 'জাতিস্মর', 'বিষের ধোঁয়া' বা অতিপ্রাকৃত নিয়ে তার '[[বরদা]] সিরিজ' ও অন্যান্য গল্প এখনো বেস্টসেলার। শরদিন্দু ছোটগল্প ও শিশুসাহিত্য রচনাতেও পারদর্শী ছিলেন। তার সৃষ্ট চরিত্র সদাশিব মারাঠা বীর শিবাজীর অভিযানের সাথে সম্পৃক্ত।
 
== শরদিন্দু ও সিনেমা ==
শরদিন্দুর জীবনে সিনেমার, বিশেষ করে বম্বের সিনেমার, খুব বড় ভূমিকা ছিল। ''ভাবী'', ''বচন'', ''দুর্গা'', ''কঙ্গন'', ''নবজীবন'', ''আজাদ'', ''পুনর্মিলন''— বম্বে টকিজ়ে সাতটি ছবির গল্প লিখেছিলেন শরদিন্দু।<ref name="১"/> ইংরেজিতে লিখতেন, হিন্দিতে রূপান্তরিত করে নেওয়া হত। তিনি যে ছবিগুলিতে চিত্রনাট্যকারের কাজ করেছেন সেগুলি হল দুর্গা (১৯৩৯), কঙ্গন (১৯৩৯), নবজীবন(১৯৩৯) ও আজাদ (১৯৪০)। তার বিভিন্ন রচনা থেকেও সিনেমা তৈরি হয়েছে, যেমন নিম্নলিখিত বাংলা সিনেমাগুলি
 
* [[চিড়িয়াখানা(চলচ্চিত্র)|চিড়িয়াখানা]] - নির্দেশক [[সত্যজিত রায়]]
৭৬ নং লাইন:
==শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহিত্যকর্ম অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্র==
===উপন্যাস===
* ''[[মনচোরা (চলচ্চিত্র)|মনচোরা]]'' (২০১৬) - ''[[মনচোরা (উপন্যাস)|মনচোরা]]'' উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত [[সন্দীপ রায়]] পরিচালিত চলচ্চিত্র। ব্যোমকেশ চরিত্রটি নিয়ে বাংলা এবং হিন্দী দুটো ভাষাতেই চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। বাংলায় নির্মিত আবার ব্যোমকেশ, ব্যোমকেশ ফিরে এলো ব্যোমকেশ বক্সী,হর হর ব্যোমকেশ, ব্যোমকেশ পর্ব এবং হিন্দীতে সুশান্ত সিং রাজপুতের চরিত্রায়নে ব্যোমকেশ বক্সী।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল = http://erosintl.com/%5CEros-In-News%5CEros-International-Bengali-film-Monchora---Christm.aspx|শিরোনাম = Eros International’s Bengali film Monchora directed by Sandip Ray to release this Christmas|তারিখ = |সংগ্রহের-তারিখ = |ওয়েবসাইট = |প্রকাশক = |শেষাংশ = |প্রথমাংশ = }}</ref> হিন্দিতে ডিটেকটিভ ব্যোমকেবক্সী নামে একটি ছবি করা হয়েছে।
হিন্দিতে ডিটেকটিভ ব্যোমকেবক্সী নামে একটি ছবি করা হয়েছে।
 
==তথ্যসূত্র==