অ্যাংলো-স্যাক্সন পৌত্তলিকতাবাদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
২৪ নং লাইন:
[[File:The Venerable Bede translates John 1902.jpg|thumb|upright=1.2|left|[[বিড]], অ্যাংলো-স্যাক্সন পৌত্তলিকতাবাদ সম্পর্কে বহু পুথিগত তথ্য তাঁর রচনা থেকে জানা যায়। [[জে. ডয়েল পেনরোজ|জেমস ডয়েল পেনরোজ]] অঙ্কিত চিত্র, ১৯০২।]]
অ্যাংলো-স্যাক্সন ইংল্যান্ডের প্রাক্‌-খ্রিস্টীয় সমাজ ছিল নিরক্ষর।{{sfnm|1a1=Wilson|1y=1992|1p=2|2a1=Meaney|2y=1999|2p=351|3a1=Hutton|3y=2013|3p=297}} তাই অ্যাংলো-স্যাক্সন পৌত্তলিকবাদীরা সমসাময়িক কালের কোনও লিখিত প্রমাণ রেখে যায়নি।{{sfnm|1a1=Wilson|1y=1992|1p=173|2a1=Arnold|2y=1997|2p=149|3a1=Hutton|3y=2013|3p=297}} পরিবর্তে প্রাথমিক সাহিত্যিক সূত্র-উপাদান হিসাবে পাওয়া যায় পরবর্তীকালের লেখকদের রচনা। এঁদের অন্যতম হলেন [[বিড]] এবং ''[[লাইফ অফ সেন্ট উইলফ্রিড]]'' গ্রন্থের অজ্ঞাতনামা রচয়িতা, যিনি প্রাচীন ইংরেজির পরিবর্তে [[লাতিন|লাতিনে]] গ্রন্থরচনা করেছিলেন।{{sfnm|1a1=Meaney|1y=1999|1p=351|2a1=Welch|2y=2011|2p=864}} এই লেখকবৃন্দ অ্যাংলো-স্যাক্সনদের প্রাক্‌-খ্রিস্টীয় মতবিশ্বাসের পূর্ণাঙ্গ চিত্র অঙ্কনে আগ্রহী ছিলেন না। সেই কারণে তাঁদের রচনায় এই ধর্মবিশ্বাসের উল্লেখ অসম্পূর্ণ ও পরিমাণে অত্যল্প।{{sfn|Hutton|2013|p=297}} এতদ্ব্যতীত মহাদেশীয় ইউরোপের পৌত্তলিক সমাজগুলিকে ধর্মান্তরণের কাজে সক্রিয় খ্রিস্টান অ্যাংলো-স্যাক্সন ধর্মপ্রচারকদের লেখালিখিগুলিও সম্ভবত মূল্যবান উপাদান। এগুলির মধ্যে যেমন রয়েছে [[উইলিব্রোর্ড]] ও [[বনিফেস|বনিফেসের]] রচনাবলি,{{sfn|Wilson|1992|pp=39–43}} তেমনই রয়েছে খ্রিস্টীয় প্রথম শতাব্দীর রোমান লেখক [[ট্যাকিটাস|ট্যাকিটাসের]] রচনাও। উল্লেখ্য, ট্যাকিটাস মহাদেশীয় ইউরোপে অ্যাংলো-স্যাক্সনদের পূর্বপুরুষগণের আচরিত পৌত্তলিক ধর্মগুলির উপর টীকা রচনা করেছিলেন।{{sfn|Wilson|1992|pp=22–28}} ইতিহাসবিদ [[ফ্র্যাঙ্ক স্টেন্টন]] বলেছেন, লভ্য গ্রন্থগুলি থেকে অ্যাংলো-স্যাক্সন ইংল্যান্ডের পৌত্তলিক ধর্ম সম্পর্কে আমরা শুধু "একটি অস্পষ্ট আভাস"ই পেতে পারি।{{sfn|Stenton|1941|pp=1–2}} একই ভাবে প্রত্নতত্ত্ববিদ ডেভিড উইলসনও লিখেছেন যে, লিখিত সূত্রগুলিকে "সাবধানে ব্যবহার করা উচিত এবং চূড়ান্ত কিছু ধরে না নিয়ে শুধুমাত্র ইঙ্গিত হিসাবেই দেখা উচিত"।{{sfn|Wilson|1992|p=43|quote= …written sources "should be treated with caution and viewed as suggestive rather than in any way definitive".}}
 
নিকটবর্তী আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্সিয়া বা স্ক্যান্ডিনেভিয়ার প্রাক্‌-খ্রিস্টীয় মতবিশ্বাসের তুলনায় অ্যাংলো-স্যাক্সন পৌত্তলিকতাবাদ সম্পর্কে আলোচনা খুবই অল্প সংখ্যক নথিবদ্ধ রচনায় পাওয়া যায়।{{sfn|Blair|2005|p=167}} [[ধ্রুপদি পুরাণ]] ও [[নর্স পুরাণ|নর্স পুরাণের]] ক্ষেত্রে যেমন পরিচ্ছন্ন ও প্রণালীবদ্ধ বিবরণ পাওয়া যায়, অ্যাংলো-স্যাক্সন পৌত্তলিক ধর্মবিশ্বাস সম্পর্কে তেমন কিছুই পাওয়া যায় না।{{sfn|Herbert|1994|p=8}} অনেক গবেষক প্রাক্‌-খ্রিস্টীয় অ্যাংলো-স্যাক্সন ইংল্যান্ডের মতবিশ্বাসগুলিকে বোঝার জন্য নর্স পুরাণকে সহায়িকা হিসাবে ব্যবহার করলেও, এই উদ্যোগের উপযোগিতা নিয়েও সতর্কীকরণও করা হয়ে থাকে।{{sfnm|1a1=Stenton|1y=1971|1p=96|2a1=Meaney|2y=1999|2p=351|3a1=Jesch|3y=2004|3p=55|4a1=Dunn|4y=2009|4pp=58–59}} স্টেন্টনের অনুমান, অ্যাংলো-স্যাক্সন ও স্ক্যান্ডিনেভীয় পৌত্তলিকতাবাদের মধ্যে যোগাযোগটি ঘটেছিল "অতীতে যা ইতিমধ্যেই [অর্থাৎ, ব্রিটেনে অ্যাংলো-স্যাক্সন অভিপ্রয়াণের সময়ে] সুদূর অতীতে পরিণত হয়েছিল"।{{sfn|Stenton|1971|p=96}} তিনি দাবি করেন যে, স্ক্যান্ডিনেভিয়ার প্রাক্‌-খ্রিস্টীয় মতবিশ্বাসগুলিতেও স্পষ্ট বৈচিত্র্য ছিল, যার ফলে ইংল্যান্ডের মতটিকে বুঝতে স্ক্যান্ডিনেভীয় উপাদান ব্যবহার করলে আরও বেশি জটিলতা সৃষ্টি হয়।{{sfn|Page|1995|pp=99–100}} কিন্তু এই বক্তব্যের বিপরীতে ইতিহাসবিদ ব্রায়ান ব্র্যান্সটন বলেন যে, প্রাচীন নর্স উৎসসূত্র ব্যবহার করলে অ্যাংলো-স্যাক্সন পৌত্তলিক মতবিশ্বাসগুলিকে আরও ভালোভাবে বোঝা সম্ভব; কারণ, এই দুই জাতির পুরাণগত সাদৃশ্য তাদের একই পূর্বপুরুষদের ধর্মবিশ্বাসের মধ্যে নিহিত ছিল।{{sfn|Branston|1957|pp=6, 34–35}}
 
== তথ্যসূত্র ==