যশপাল শর্মা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি!
Suvray (আলোচনা | অবদান)
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট - নতুন অনুচ্ছেদ!
১০৪ নং লাইন:
}}
 
'''যশপাল শর্মা''' ({{অডিও|Yashpal Sharma.ogg|উচ্চারণ}}; {{lang-mr|यशपाल शर्मा}}; জন্ম: [[১১ আগস্ট]], ১৯৫৪) পাঞ্জাবের লুধিয়ানা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও আম্পায়ার। [[ভারত জাতীয় ক্রিকেট দল|ভারত ক্রিকেট দলের]] অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৫ সময়কালে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। ১৯৮৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের শিরোপা বিজয়ী ভারত দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।
 
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে [[Haryana cricket team|হরিয়ানা]], পাঞ্জাব ও রেলওয়েজ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, দলের প্রয়োজনে মাঝে-মধ্যে [[উইকেট-রক্ষক|উইকেট-রক্ষণের]] দায়িত্ব পালনে অগ্রসর হতেন। পাশাপাশি, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিং করতে পারতেন।
 
== প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট ==
১৯৭২ সালে পাঞ্জাবের বিদ্যালয় দলের সদস্যরূপে জম্মু ও কাশ্মীরের বিদ্যালয় দলের বিপক্ষে ২৬০ রানের ইনিংস খেলে সকলের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে উপনীত হন। দুই বছরের মধ্যেই রাজ্য দলের পক্ষে খেলার সুযোগ পান। উত্তর অঞ্চলের পক্ষে খেলে ভিজ্জি ট্রফির শিরোপা বিজয়ে ভূমিকা রাখেন।
১৯৭৩-৭৪ মৌসুম থেকে ১৯৯২-৯৩ মৌসুম পর্যন্ত যশপাল শর্মা’র [[প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট|প্রথম-শ্রেণীর]] খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ক্রিকেটে কিছু ত্রুটি লক্ষ্য করা গিয়েছিল যশপাল শর্মার। কিন্তু, সাহস গুণে, মনোযোগ, আত্মপ্রত্যয়ী মনোভাব ও ধৈর্যশীলতার কারণে ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত সীমাবদ্ধতার সীমারেখা অতিক্রম করে ভারত দলে খেলেছেন। দলের বিপর্যয়ে নিজেকে মেলে ধরেছেন সঙ্কোচহীন চিত্তে। খাঁটিমানের আত্মরক্ষার্থমূলক ভাব বজায় রেখে যে-কোন ধরনের বোলিং আক্রমণে সমুচিত জবাব দিতেন তিনি। তবে, তার খেলার ধরন তেমন আকর্ষণীয় ছিল না। তাসত্ত্বেও, দলে তার অমূল্য ভূমিকা নিয়ে কেউই দ্বিমত পোষণ করতেন না।
 
১৯৭৩-৭৪ মৌসুম থেকে ১৯৯২-৯৩ মৌসুম পর্যন্ত যশপাল শর্মা’র [[প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট|প্রথম-শ্রেণীর]] খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ক্রিকেটে কিছু ত্রুটি লক্ষ্য করা গিয়েছিল যশপাল শর্মার। কিন্তু, সাহস গুণে, মনোযোগ, আত্মপ্রত্যয়ী মনোভাব ও ধৈর্যশীলতার কারণে ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত সীমাবদ্ধতার সীমারেখা অতিক্রম করে ভারত দলে খেলেছেন। দলের বিপর্যয়ে নিজেকে মেলে ধরেছেন সঙ্কোচহীন চিত্তে। খাঁটিমানের আত্মরক্ষার্থমূলক ভাব বজায় রেখে যে-কোন ধরনের বোলিং আক্রমণে সমুচিত জবাব দিতেন তিনি। তবে, তার খেলার ধরন তেমন আকর্ষণীয় ছিল না। তাসত্ত্বেও, দলে তার অমূল্য ভূমিকা নিয়ে কেউই দ্বিমত পোষণ করতেন না। ১৯৮০-এর দশকে মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে মেলে ধরতে ব্যাপকভাবে সচেষ্ট ছিলেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে সাঁইত্রিশটি [[টেস্ট ক্রিকেট|টেস্ট]] ও বিয়াল্লিশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন যশপাল শর্মা। ২ আগস্ট, ১৯৭৯ তারিখে লর্ডসে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৯ অক্টোবর, ১৯৮৩ তারিখে দিল্লিতে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
 
প্রথমবারের মতো প্রথম-শ্রেণীর ইনিংস খেলেন ১৭৩ রান সংগ্রহের মাধ্যমে। দিলীপ ট্রফিতে উত্তর অঞ্চলের সদস্যরূপে দক্ষিণ অঞ্চলের বিপক্ষে এ ইনিংস খেলাকালীন [[ভাগবত চন্দ্রশেখর]], [[ইরাপল্লী প্রসন্ন]] ও [[শ্রীনিবাসরাঘবন ভেঙ্কটরাঘবন|শ্রীনিবাসরাঘবন ভেঙ্কটরাঘবনের]] বোলিং মোকাবেলান্তে অগ্রসর হয়েছিলেন তিনি। তবে এর পরপরই অস্ট্রেলিয়া গমনার্থে ভারতে দলের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্তি হতে পারেননি তিনি।
 
পরের বছর ইরানী ট্রফিতে ৯৯ রান তুলেন। ফলশ্রুতিতে, কয়েকবছর পর পাকিস্তান গমনের উদ্দেশ্যে ভারত দলে তাকে ঠাঁই দেয়া হয়। এ সফরে তিনি কেবলমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিক খেলার সুযোগ পান। দুইটি ওডিআইয়ে অংশ নেন তিনি। ১৯৭৯ সালে ইংল্যান্ড গমন করেন। বিশ্বকাপে অংশ নেন। এর পরপরই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন টেস্টের সিরিজের আয়োজন করা হলেও তিনি খেলার সুযোগ পাননি। এ সফরের প্রস্তুতিমূলক খেলায় অংশ নিয়ে ৫৮ গড়ে ৮৮৪ রান তুলেন।
 
== আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ==
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে সাঁইত্রিশটি [[টেস্ট ক্রিকেট|টেস্ট]] ও বিয়াল্লিশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন যশপাল শর্মা। ২ আগস্ট, ১৯৭৯ তারিখে লর্ডসে স্বাগতিক [[ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল|ইংল্যান্ড দলের]] বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৯ অক্টোবর, ১৯৮৩ তারিখে দিল্লিতে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
 
ইংল্যান্ডে তার সুন্দর খেলায় প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ পরবর্তীতে কয়েকটি টেস্ট খেলার সুযোগ পান। এ পর্যায়ে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের মুখোমুখি হন। কানপুরের [[Green Park Stadium|গ্রীন পার্ক স্টেডিয়ামে]] অনুষ্ঠিত [[টেস্ট ও প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে জোড়া শূন্য রান|টেস্টে জোড়া শূন্য রানের]] সন্ধান পান। তবে, পরের খেলাতেই প্রথমবারের মতো শতরানের ইনিংস খেলেন। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে পরের টেস্টেই আরেকটি শতরানের ইনিংস খেলার দোরগোড়ায় উপনীত হয়েছিলেন। তবে, আলোকস্বল্পতার কারণে ৩.৪ ওভারে পূর্বেই খেলা শেষ হয়ে যায়। এ বিষয়ে আপত্তি উত্থাপন করেছিলেন তিনি।
 
১৯৭৯-৮০ মৌসুমের পুরোটা সময় জুড়ে তার খেলার মান স্থির পর্যায়ের ছিল। কিন্তু প্রায়শই ব্যতিক্রমী পন্থায় প্রধান ব্যাটসম্যানদেরকে সহায়তাকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন তিনি। মূলতঃ রক্ষণাত্মক ধাঁচের ব্যাটিং করতেন। কিন্তু দলের প্রয়োজনে মারমুখী ভঙ্গীমায় অগ্রসর হতে দ্বিধাবোধ করতেন না।
 
অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড গমনে খেলায় ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারেননি। তাসত্ত্বেও ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে অপরাজিত ২০১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। দলের নিয়মিত সদস্যরূপে ১৯৮২ সালে ইংল্যান্ড, ১৯৮২-৮৩ মৌসুমে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমন করেন। সর্বদাই নিজেকে স্থানচ্যুত হয়ে না পড়া ব্যাটসম্যানেরূপে পরিচিতি ঘটাতে সচেষ্ট থাকতেন।