ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মাদ বিন বখতিয়ার খলজি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Mahedi181 (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Mahedi181 (আলোচনা | অবদান)
১৬ নং লাইন:
{{উইকিসংকলন|গৌড়রাজমালা/মহম্মদ-ই-বখ্‌তিয়ার|মহম্মদ-ই-বখ্‌তিয়ার}}
 
বখতিয়ার খলজি (ফারসি : اختيار الدين محمد بن بختيار الخلجي )যাকে 'মালিক গাজি ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বখতিয়ার খলজি হিসেবেও উল্লেখ করা হয়, ছিলেন মুসলিম খলজি উপজাতির একজন সদস্য।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/469652456|শিরোনাম=Medieval India : from Sultanat to the Mughals|শেষাংশ=Chandra, Satish, 1922- ...|প্রথমাংশ=|তারিখ=2005|বছর=|প্রকাশক=Har-Anand Publications|অবস্থান=New Delhi|পাতাসমূহ=৪১|আইএসবিএন=8124110646|oclc=469652456|সংস্করণ=সংশোধিত}}</ref> মুসলিম খলজি উপজাতি উত্তর-পূর্বের প্রায় সকল দখল-যুদ্ধে যোগদানকারী সেনাবাহিনীর অধিপতিদের কাজে নিযুক্ত ছিল।
 
ইখতিয়ার উদ্দিন বখতিয়ার খলজি ছিলেন জাতিতে তুর্কি আর পেশায় ভাগ্যান্বেষী সৈনিক। জীবনের প্রথম ভাগে তিনি ছিলেন [[আফগানিস্তান|আফগানিস্তানের]] গরমশির বা আধুনিক দশত-ই-মার্গের অধিবাসী<ref>Social History of the Muslim of Bengal, Abul Karim পৃষ্ঠাঃ ৮৬</ref>। তার বাল্যজীবন সম্বন্ধে বিশেষ কিছু জানা যায় না। তবে মনে করা হয় দারিদ্রের পীড়নে তিনি স্বদেশ ত্যাগ করেন এবং নিজের কর্মশক্তির উপর ভর করে অন্যান্য দেশবাসীর ন্যায় ভাগ্যান্বেষণে বের হন। প্রথমেই তিনি গজনির সুলতান মুহাম্মাদ ঘুরির সৈন্যবাহিনীতে চাকুরিপ্রার্থী হয়ে ব্যর্থ হন। আকারে খাটো, লম্বা হাত এবং কুৎসিত চেহারার অধিকারী হওয়ায় সেনাধ্যক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ব্যর্থ হন। গজনীতে ব্যর্থ হয়ে তিনি দিল্লিতে [[কুতুবুদ্দিন আইবেক|কুতুবউদ্দীন আইবেকের]] দরবারে হাজির হন। এখানেও তিনি চাকরি পেতে ব্যর্থ হন। অতঃপর তিনি বদাউনে যান। সেখানকার শাসনকর্তা মালিক হিজবর-উদ্দিন বখতিয়ার খলজিকে নগদ বেতনে সেনাবাহিনীতে চাকরি প্রদান করেন। কিন্তু উচ্চভিলাসি বখতিয়ার সামান্য বেতনভোগী সিপাহি হয়ে পরিতৃপ্ত হতে পারেন নি। অল্পকাল পর তিনি বদাউন ত্যাগ করে অযোদ্ধায় যান। অযোদ্ধার শাসনকর্তা হুসামউদ্দিন তাকে বর্তমান মির্জাপুর জেলার পূর্ব দক্ষিণ কোণে ভগবৎ ও ভিউলি নামক দুইটি পরগনার জায়গির প্রদান করেন। এখানেই বখতিয়ার তার ভবিষ্যৎ উন্নতির উৎস খুঁজে পান এবং এই দুটি পরগনাই পরবর্তীকালে তার শক্তির উৎস হয়ে ওঠে<ref>বাংলাদেশের ইতিহাস- ড. মুহাম্মদ আব্দুর রহিম। পৃষ্ঠাঃ ১৪৯</ref>।