ছিয়াত্তরের মন্বন্তর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[অপরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৩৭ নং লাইন:
'''ছিয়াত্তরের মন্বন্তর''' [[বাংলার ইতিহাস|বাংলার ইতিহাসে]] সর্বাপেক্ষা ভয়াবহ [[দুর্ভিক্ষ]] নামে পরিচিত। ১১৭৬ বঙ্গাব্দে ( খ্রি. ১৭৭০) এই দুর্ভিক্ষ হয়েছিল বলে একে 'ছিয়াত্তরের মন্বন্তর' বলা হয়।
 
== বর্বরতা ==-
১১০০ খ্রিস্টাব্দর আগে পর্যন্ত মুসলমান নামক কোনো জাতি ভারত ভূমি তে ছিলনা তার পর এই ৫০০ বছর পুরোনো ভাইরাস ১৫০০ বছর ধরে থাকা সনাতনী ধর্মীয় মানুষদের উপর নির্মম অত্যাচার শুরু করে মন্দির লুণ্ঠন করে আরব দেশে পাচার করে সব
১৭৫৭ সালের পলাশী বিপর্যয়ের মাধ্যমে বাঙালিদের জীবনে নেমে আসল এক কল্পনাতীত পরিবর্তন। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস, যে মুসলমানরা কিছু দিন আগেও ছিল শাসকগােষ্ঠী, জমিদার, অভিজাত ও উচ্চ শিক্ষিত শ্রেণীভুক্ত তখন অন্যধর্মাবলম্বীরাও সুযোগ সুবিধা ভোগ করতো হঠাৎ তাদের(মুসলিমদের) সে স্থান দখল করে নিল হিন্দুরা , মুসলমানরা বঞ্চিত হতে লাগল উচ্চ-নীচু সব ধরনের চাকুরী হতে, জমিদারী চলে গেল হিন্দুদের হাতে অধিকন্তু মানুষের মত মানুষ হয়ে বেঁচে থাকার মত প্রয়ােজনীয় শিক্ষা হতেও বঞ্চিত। এখন কৃষক প্রজা বলতে মুসলিম আর জমিদার, মহাজন এবং রাজা শব্দগুলাে বলতে হিন্দুদের বুঝায়।
সম্পদ তার পর ধীরে ধীরে তারা এই সনাতনী দের নামকরণ করে হিন্দু বলে এবং তাদের মেরে কেটে মুসলিম বানায় আজ তাদেরই বংশধররা বাংলাদেশ ও
 
পাকিস্তান এ বসবাস করে।এরা নিজের ধর্মের জন্য মারতে রাজি সব আত্নকবাদী এদের ধর্ম থেকে তৈরি হয়।আর এরা এদের ধর্ম নিয়ে খুব গর্ব করে এরা ভুলে গেছে যে এদের পূর্বপুরুষ রা এক কালে হিন্দু ছিল তাদের উপর খুব অত্যাচার করে মুসলমান করা হয়েছিল জোর করে আর বোকাচোদা এই বাল গুলো নিজেদের ছেলেপেলে দের ভুল ইতিহাস পড়ায় অশিক্ষিতের দল যতসব।
শুধু এই নয় ১৭৬৫ সালে [[ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি]] [[মুঘল সম্রাট]] হতে দেওয়ানী লাভ করে বাংলাদেশে রাজস্ব ক্ষমতা গ্রহণ করার সাথে শুরু হয়ে যায় মুসলমান তথা কৃষকদের উপর নির্যাতনের স্মরণাতীত কালের ভয়াবহতম অধ্যায়ের।শুরু হয়ে যায় ইংরেজ-হিন্দু মিলে বাঙ্গালী মুসলমানদের (কৃষকের) উৎপাদিত ফসল গুদামজাত করে কৃত্রিম পরিকল্পিত সংকটে ফেলে মুসলমানদের ভিটেমাটি থেকেও তাড়ানাের প্রতিযােগিতা।ফলে দেখা দিল ইতিহাসের ভয়াভহ দুর্ভিক্ষ, যা ১১৭৬ বাংলায় (১৭৬৯খ্রিঃ সন) হয়েছিল বলে ইতিহাসে ''ছিয়াত্তরের মন্বন্তর'' নামে পরিচিত।
 
এ দুর্ভিক্ষ বাংলার মােট জনসাধারণের এক তৃতীয়াংশের মৃত্যু ঘটলেও পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ইংরেজরা কৃষকদের নিকট থেকে জোর পূর্বক রাজস্ব আদায়ে পিছিয়ে ছিলনা।দুর্ভিক্ষের পূর্বে ১৭৬৮ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের রাজস্ব ছিলাে ১,৫২০৪৮৫৬ টাকা, কিন্তু দুর্ভিক্ষের পর ১৭৭১ খ্রিষ্টাব্দে প্রদেশের এক তৃতীয়াংশ মানুষ মৃত্যু মুখে পতিত হওয়ার পরও মােট রাজস্ব বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ১,৫৭২৬৫৭৬ টাকায়।<ref name="books.google.com.bd">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শেষাংশ1=Hunter |প্রথমাংশ1=William Wilson |শিরোনাম=The Annals of Rural Bengal |ইউআরএল=https://books.google.com.bd/books/about/The_Annals_of_Rural_Bengal.html?id=AX5CAAAAIAAJ&redir_esc=y |প্রকাশক=Smith, Elder |ভাষা=en |তারিখ=১৮৬৮}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শেষাংশ1=Hunter |প্রথমাংশ1=William Wilson |শিরোনাম=The annals of rural Bengal |ইউআরএল=https://archive.org/details/annalsofruralben01hunt |প্রকাশক=New York : Leypoldt and Holt |তারিখ=১৮৬৮}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Annals of rural Bengal: Hunter William Wilson: 9785518450332: Amazon.com: Books |ইউআরএল=https://www.amazon.com/Annals-Bengal-Hunter-William-Wilson/dp/5518450338 |ওয়েবসাইট=www.amazon.com}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=ভারতের কৃষকের-বিদ্রোহ ও গণতান্ত্রিক সংগ্রাম - সুপ্রকাশ রায় |ইউআরএল=https://www.rokomari.com/book/169486/varoter-krishoker-bidryaho-o-gonotantrik-songram |ওয়েবসাইট=www.rokomari.com |ভাষা=en}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=ভারতের কৃষক-বিদ্রোহ ও গণতান্ত্রিক সংগ্রাম |ইউআরএল=http://opac.rbu.net.in/cgi-bin/koha/opac-detail.pl?biblionumber=41520&shelfbrowse_itemnumber=53991#shelfbrowser |প্রকাশক=ডি এন বি এ ব্রাদার্স |ভাষা=Bengali }}{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=অক্টোবর ২০১৯ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}</ref>
 
এরপরও সন্তুষ্ট নয় ইংরেজরা, তাই প্রথমে [[একশালা বন্দোবস্ত]] এরপর [[পাঁচশালা বন্দোবস্ত]], [[দশশালা বন্দোবস্ত]] এবং শেষ পর্যন্ত ১৭৯৩ খ্রিষ্টাব্দে গভর্নর জেনারেল লর্ড কর্নওয়ালিশ [[চার্লস কর্নওয়ালিস]] কর্তৃক বাংলার মুসলমানদের শােষণ ও নির্যাতনের স্থায়ী ব্যবস্থা হিসেবে [[চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত]] প্রতিষ্ঠা করা হয়।
 
এ বন্দোবস্ত অনুযায়ী জমিদাররা আদায়কৃত রাজস্বের নয়দশমাংশ কোম্পানীর কাছে প্রদানের ব্যবস্থা হয়। যেহেতু কৃষকরা ছিল মুসলমান আর জমীদাররা ছিল হিন্দু।সুতরাং হিন্দু কর্তৃক মুসলমান শােষণ নির্যাতনের স্থায়ী ব্যবস্থা করে দিল ইংরেজরা।সুতরাং শারীরিক মানসিক নির্যাতনের মাধ্যমে সর্বশক্তি নিয়ােগ করে চলতে লাগলাে জমিদার কর্তৃক রাজস্ব আদায়ের অমানবিক মহড়া।জমিদার, ইজারাদার, পত্তনিদার, প্রভৃতি রংবেরং এর মধ্যসত্বভােগী (ইংরেজ দালাল হিন্দু অভিজাত শ্রেণী) শােষকরা মুসলিম কৃষকদের ওপর যত প্রকার নির্যাতন চালাতাে তার বর্ণনা নিম্নলিখিত তত্ত্ববােধিনী পত্রিকা ৮৪ সংখ্যার ১১৭ পৃষ্ঠায় সংযােজিত হয়েছে
 
হরেক প্রকার নির্যাতনের মধ্যে ছিলঃ-
দণ্ডাঘাত ও বেত্রাঘাত, চর্ম পাদুকা প্রহার, বাঁশ ও কাঠ দিয়ে বক্ষমল দালান।, খাপরা দিয়ে নাসিকা কর্ণ মসৃণ, মাটিতে নাসিকা ঘর্ষণ।, পিঠে হাত বেঁকিয়ে বেঁধে বংশদও দিয়ে মােড়া দেওয়া, গায়ে বিছুটি দেওয়া, হাত পা নিতাও বন্ধ করা, কান ধরে দৌড় করানাে, ফাটা দু’খানা বাধা বাখারি দিয়ে হাত দলন করা, [[গ্রীষ্ম কালে]] খাঁ খা রৌদ্রে পা ফাক করে দাঁড় করিয়ে, পিঠ বাকিয়ে পিঠের উপর ও হাতের উপর ইট চাপিয়ে রাখা, প্রচণ্ড শীতে জলমগ্ন করা ও গায়ে জল নিক্ষেপ করা, গােনী বন্ধ করে জলমগ্ন করা, [[বৃক্ষে]] ও অন্যত্র বেঁধে লম্বা করা, ভাদ্র-আশ্বিন মাসে ধানের গােলায় পুতে রাখা, চুনের ঘরে বন্ধ করে রাখা, কারারুদ্ধ করে উপােস রাখা, গৃহবন্দী করে লম্বা মরিচের ধােয়া দেয়া ইত্যাদি।
 
এছাড়া চাকুরীর ক্ষেত্রে বৈষম্যে তুলে ধরা হয়েছিল [[William Wilson Hunter]] এর ''The Indian Musalmans'' গ্রন্থের ১৪৮ পৃষ্ঠায় লিপিবদ্ধ হয়েছে।<ref name="books.google.com.bd"/>
শুধু তাই নয়, গত শতাব্দির মধ্যভাগেও এদেশে [[গরু]] [[কোরবানী]] করলে [[মৃত্যুদণ্ড]] দেওয়া হতাে।দাঁডি রাখলে খাজনা দিতে হতাে। জুমার [[নামাজ]] পড়া নিষিদ্ধ ছিল। এমন কি [[আরবী]] [[ফারসী]] শব্দে মুসলমানদের ভাল [[নাম]] রাখা নিষিদ্ধ ছিল, কালী পূজা এবং [[দুর্গা পূজা]]র কর দেওয়া মুসলমানদের জন্য বাধ্যতামূলক ছিল (ইনকিলাব ১৪০৩, ৩ কার্তিক), পূনার [[জমিদার]] কৃষ্ণদেব রায় তার জমিদারীতে হুকুম জারি করেছিলেন -
 
# যারা দাঁড়ি রাখিবে ও গােফ ছাটিবে তাদের প্রত্যেককে ফি দাড়ির উপর আড়াই টাকা, ফি গােফের উপর পাঁচ সিকা খাজনা দিতে হইবে।
# মসজিদ প্রস্তুত করিলে প্রত্যেক কাঁচা মসজিদের জন্য পাঁচশত টাকা ও প্রত্যেক পাকা মসজিদের জন্য এক সহস্র টাকা জমিদার সরকারে নজর দিতে হইবে।
# পিতাপিতামহ আরবী নাম রাখিলে প্রত্যেক নামের জন্য পঞ্চাশ টাকা জমিদার সরকারে জমা দিতে হইবে।
# গাে হত্যা করিলে হত্যাকারীর দক্ষিণ হস্ত কাটিয়া দেওয়া হইবে, যেন সে ব্যক্তি আর গাে হত্যা করিতে পারে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.boibazar.com/book/bangali-buddijibi-o-bicchinnotabad|শিরোনাম=বাঙালী বুদ্ধিজীবি ও বিচ্ছিন্নতাবাদ|শেষাংশ=দে|প্রথমাংশ=অমলেন্দু|তারিখ=|ওয়েবসাইট=BoiBazar.com|ভাষা=bn|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref>
 
== কারণ ==