মাধ্যমিক পরীক্ষা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
"Madhyamik Pariksha" পাতাটি অনুবাদ করে তৈরি করা হয়েছে
(কোনও পার্থক্য নেই)

১৩:২১, ৮ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

মাধ্যমিক পরীক্ষা অথবা সরল কথায় মাধ্যমিক হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম মানের শেষে পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদ কর্তৃক কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত এক পরীক্ষা। একইভাবে ত্রিপুরা রাজ্যেও সরকারি এবং সরকার পোষিত দশম মান বিদ্যালয়গুলির ছাত্রছাত্রীদের জন্যে ত্রিপুরা মধ্য শিক্ষা পর্ষদের অধীনে পরীক্ষা নেওয়া হয়। সংখ্যার দিক থেকে এটা ভারতের দশম মান পরীক্ষাগুলোর পরীক্ষার্থীদের মধ্যে একটা বড়ো অংশ। ২০০০ খ্রিস্টাব্দে ৬০০,০০০ সংখ্যক ছাত্রছাত্রী পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদের অধীনে পরীক্ষা দিয়েছিল, এবং তার পর থেকে এই সংখ্যা উত্তরোত্তর বাড়ছে। ২০১১ খ্রিস্টাব্দে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ১০ লক্ষের এক রেকর্ড ছুঁয়ে গিয়েছে। এই পরীক্ষার অত্যাবশ্যক বিষয়গুলোর মধ্যে আছে: প্রথম ভাষা, দ্বিতীয় ভাষা, ভৌত বিজ্ঞান (পদার্থবিদ্যা এবং রসায়ন দ্বৈতভাবে), জীবন বিজ্ঞান, গণিত, ইতিহাস এবং ভূবিজ্ঞান।

ইতিহাস

১৮৫৭ থেকে ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ম্যাট্রিকুলেশন এগজামিনেশন নাম দিয়ে এই মাধ্যমিক পরীক্ষা পরিচালিত হোত।ওয়েস্ট বেঙ্গল সেকেন্ডারি এডুকেশন অ্যাক্ট অফ ১৯৫০, এই আইন মোতাবেক ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন বা মধ্য শিক্ষা পর্ষদ। পরবর্তীকালে, ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন অ্যাক্ট ১৯৬৩, এই আইনের অধীনে ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম হয় পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদ। তখন থেকেই এই পরীক্ষার পরিবর্তিত নতুন নামকরণ হয় মাধ্যমিক পরীক্ষা (সেকেন্ডারি এগজামিনেশন, বাংলায় বললে মাধ্যমিক পরীক্ষা; মিডল লেভেল বা মধ্য স্তর থেকে বাংলা তর্জমা করে হয়েছে মাধ্যমিক)।

পরীক্ষা কাঠামো

প্রথম দিকে প্রথম ভাষার পাঠ্যক্রমে ৯০ নম্বরের দুটো পত্র ছিল, দ্বিতীয় ভাষা এবং গণিত বিষয় দুটোতে ১০০ নম্বর করে পরীক্ষা নেওয়া হোত; এছাড়া অন্যান্য বিষয়গুলোর প্রত্যেকটায় ৯০ নম্বর থাকত।

২০১১ খ্রিস্টাব্দ থেকে নম্বর বিভাজন পরিবর্তন করে সমস্ত অত্যাবশ্যকীয় বিষয়ের জন্যে ৯০ নম্বর ধার্য করা হয়। অধিকন্তু, প্রত্যেক বিষয়ের ক্ষেত্রে অনুরূপ ৯০ নম্বর (বলা ভালো ১০০ নম্বর) রাখা হয়, বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে ১০ নম্বর বরাদ্দ হয়। একটা অন্যথা হল যখন এক পরীক্ষার্থী কোনো বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা না-দেয়, সেক্ষেত্রে লিখিত পত্রে ১০ নম্বর অতিরিক্ত থাকে। পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উত্তীর্ণ হওয়ার নম্বর হল ২৫ শতাংশ। এবং প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে অবশ্যই প্রত্যেক বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হয়।