ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
সম্প্রসারিত রূপ!
Suvray (আলোচনা | অবদান)
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট - নতুন অনুচ্ছেদ!
৬৯ নং লাইন:
অস্ট্রেলীয় উপকথার অংশ হিসেবে তরুণ ব্র্যাডম্যানকে একাকী একটি [[ক্রিকেট]] স্ট্যাম্প ও গল্ফ বল নিয়ে অনুশীলন করা কথা গল্প আকারে বর্ণিত হয়েছে।<ref>{{cite web |url=http://www.hansard.act.gov.au/hansard/2001/week02/351.htm |date=28 February 2001 |title=Legislative Assembly of ACT |work=Hansard |accessdate=23 August 2008}}</ref> নিরিবিলি এলাকায় ক্রিকেট খেলায় অভ্যস্ত ডন ব্র্যাডম্যানের দ্রুতলয়ে উত্থানপর্বটি মাত্র দুই বছরের মধ্যে অস্ট্রেলীয় দলে প্রবেশের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছিল। নিজস্ব ২২শ জন্মদিনের পূর্বেই শীর্ষ রান সংগ্রহের অনেকগুলো রেকর্ডের সাথে নিজেকে যুক্ত করেন। এগুলোর কয়েকটি এখনো টিকে রয়েছে ও অস্ট্রেলিয়ার মহামন্দাকালীন তিনি সেরা ক্রীড়া তারকার মর্যাদা লাভ করেছিলেন।
 
== প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট ==
== খেলোয়াড়ী জীবন ==
নিউ সাউথ ওয়েলসের বাউরালে জন্মগ্রহণকারী ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান ২৩৪টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় ৯৫.১৪ গড়ে ২৮,০৬৭ রান এবং ৫২ টেস্টে অংশ নিয়ে ৯৯.৯৪ গড়ে ৬,৯৯৬ রান সংগ্রহ করেছিলেন। নিজস্ব দশম প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় ডন ব্র্যাডম্যানকে দলীয় সঙ্গীরা ব্র্যাডেলস ডাকনামে আখ্যায়িত করেন।<ref name="Braddles">{{cite web| url = http://www.bradman.org.au/html/s03_faq/faqItem.asp?id=427| archiveurl = https://web.archive.org/web/20070901134518/http://www.bradman.org.au/html/s03_faq/faqItem.asp?id=427| archivedate=1 September 2007| title = FAQs| work = Bradman Museum| accessdate = 23 August 2008}}</ref>
 
১৯ বছর বয়েসে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেকের পর নিউ সাউথ ওয়েলসের পক্ষে ব্যাট হাতে নিয়ে একের পর এক দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করতে থাকেন 'বাউরালের বিস্ময়-বালক'। অবশেষে দুই বছরের মধ্যেই জাতীয় দলে খেলার জন্যে আহুত হন।
 
== আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ==
ডাক পেলেন ১৯২৮-২৯ মৌসুমে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের দলে। ব্রিসবেনের ঐ টেস্টে অস্ট্রেলিয়া পরাজিত হলো ৬৭৫ রানের সুবিশাল ব্যবধানে। ডন করলেন দু ইনিংসে ১৮ এবং ১। বাদ পড়লেন দ্বিতীয় টেস্টের দল থেকে- সেই প্রথম এবং সেই শেষ। তৃতীয় টেস্টের দলে ডাক পেয়ে করলেন ৭৯ এবং ১১২।
১৯৩০ সালের অভিষেক টেস্টে তিক্ত অভিজ্ঞতায় সিক্ত হন। পোতানো উইকেটে কট আউটে বিদেয় নেন। অস্ট্রেলিয়া দল দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৬৬ রানে গুটিয়ে যায় ও ৬৭৫ রানের সুবিশাল ব্যবধানে পরাজিত হয়। অদ্যপি, এ ব্যবধানটি টেস্ট রেকর্ড হিসেবে টিকে আছে।<ref>{{cite web| url = http://content-aus.cricinfo.com/wisdenalmanack/content/story/151729.html| year = 1930 | work = Wisden| title = 1st Test Australia v England, match report | accessdate = 7 August 2007}}</ref> ১৮ ও ১ রান করার পর [[ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া|দল নির্বাচকমণ্ডলী]] তাকে বাদ দেয় ও পরের টেস্টে [[ক্রিকেট পরিভাষা|দ্বাদশ খেলোয়াড়]] হিসেবে রাখে। খেলার শুরুতে [[বিল পন্সফোর্ড|বিল পন্সফোর্ডের]] আঘাতের কারণে ব্র্যাডম্যানকে অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে ফিল্ডিং করতে হয়। প্রথম টেস্টে ৮৩৬ রানের পর ইংল্যান্ড দল ৬৩৬ রান তুলে। [[Richard Whitington|আরএস ডিক হুইটিংটন]] উল্লেখ করেন যে, সবেমাত্র উনিশ রান করেছেন ও এ অভিজ্ঞতাগুলো তাকে নতুন করে চিন্তাভাবনা করার ক্ষেত্র সৃষ্টি করবে।<ref>Whitington (1974), p 142.</ref>
 
[[মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড|মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে]] সিরিজের তৃতীয় টেস্ট খেলার জন্য ব্র্যাডম্যানকে পুণরায় আমন্ত্রণ জানানো হয়। ৭৯ ও ১১২ রানের ইনিংস খেলে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে টেস্ট সেঞ্চুরি করার গৌরব অর্জন করেন।<ref>Whitington (1974), p 147. This record was broken in the next Test when Australia's Archie Jackson hit 164 on debut at Adelaide.</ref> অবশ্য অ্যাডিলেডে অনুষ্ঠিত পরের টেস্টেই অস্ট্রেলিয়ার [[আর্চি জ্যাকসন]] তার অভিষেক টেস্টে ১৬৪ রান তুলে তার এ রেকর্ড ভঙ্গ করেন। তাসত্ত্বেও, খেলায় তার দল পরাজয়বরণ করেছিল। চতুর্থ টেস্টেও এ ফলাফলের পুণরাবৃত্তি ঘটে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৮ রান সংগ্রহকালে দলের বিজয়ের দিকে ধাবিত কালে [[রান আউট|রান আউটে]] বিদেয় নেন।<ref>{{cite web| url = http://content-usa.cricinfo.com/wisdenalmanack/content/story/151732.html | work = Wisden| year =1930| title = 4th Test Australia v England, match report| accessdate = 21 August 2007}}</ref> এটিই তার খেলোয়াড়ী জীবনের একমাত্র রান আউটের ঘটনা ছিল। ঐ খেলায় অস্ট্রেলিয়া দল মাত্র ১২ রানের ব্যবধানে হেরে যায়।<ref>Bradman (1950). See appendix.</ref>
 
১১ জুলাই, ১৯৩০ তারিখে লর্ডসে অনুষ্ঠিত [[দি অ্যাশেজ|অ্যাশেজ সিরিজের]] তৃতীয় টেস্টে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ক্রিকেটের ইতিহাসে পাঁচ ব্যাটসম্যানের মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে মধ্যাহ্নবিরতীর পূর্বেই সেঞ্চুরি করার রেকর্ড গড়েন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Hundred before lunch|ইউআরএল=http://stats.cricinfo.com/ci/content/records/283003.html|প্রকাশক=ESPNcricinfo|সংগ্রহের-তারিখ=3 January 2017}}</ref> অন্যরা হচ্ছেন - [[ভিক্টর ট্রাম্পার]] (১৯০২), [[চার্লি ম্যাককার্টনি]] (১৯২৬), [[মজিদ খান]] (১৯৭৬), [[ডেভিড ওয়ার্নার]] (২০১৬), [[শিখর ধাওয়ান]] (২০১৮)।
৮১ ⟶ ৮৪ নং লাইন:
[[১৯৩২-৩৩ ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অস্ট্রেলিয়া সফর|১৯৩২-৩৩]] মৌসুমে ইংল্যান্ড দল অস্ট্রেলিয়া গমন করে। এ সিরিজের প্রথম টেস্টে অংশগ্রহণের পূর্বে ইংল্যান্ড দল অস্ট্রেলিয়াকে তাদের কৌশল অবলম্বনের বিষয়টি গোপন রাখেন। সফরকারীরা [[হ্যারল্ড লারউড]] ও [[বিল ভস|বিল ভস-সহ]] পাঁচজন ফাস্ট বোলারের নাম ঘোষণা করে। তবে, একটি দলে এতগুলো [[ফাস্ট বোলিং|ফাস্ট বোলার]] অন্তর্ভূক্তির বিষয়টি বেশ অপ্রত্যাশিত ছিল। ব্র্যাডম্যান বুঝতে পারেন যে, তারা নতুন কিছু প্রয়োগ করতে চলছে। প্রস্তুতিমূলক খেলায় দলটি প্রথম নতুন ধরনের বোলিং আক্রমণ পরিচালনা করে। ঐ খেলায় ব্র্যাডম্যানকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছিল।<ref>{{Cite web | url = http://content-www.cricinfo.com/bodyline/content/story/316186.html| title = Bodyline quotes | accessdate = 2008-04-25| publisher = Cricinfo | author = Williamson, Martin }}</ref> সিরিজের প্রথম টেস্টে ব্র্যাডম্যান খেলেননি। ফলে, কিছুসংখ্যক ক্রীড়ামোদীর ধারনা পোষণ করেছিলেন যে, তিনি হয়তোবা স্নায়ুবিক বৈকল্যে ভুগছেন। ইংল্যান্ড দল নতুন ধরনের বোলিং আক্রমণ পরিচালনা করে ও জয়লাভ করলেও অস্ট্রেলীয় দল খুশী।<ref name="BDLEssay">{{cite web|url=http://www.slsa.sa.gov.au/bradman/bio-page.htm|title=Bradman Digital Library: Essay by Michael Page|last=Page|first=Michael|year=1984|publisher=Pan Macmillan Australia Pty Ltd |accessdate=2008-05-23}}</ref>
 
অস্ট্রেলিয়ার সংবাদপত্রগুলো এ ধরনের বোলিং কৌশল অবলম্বনকে বডিলাইন নামে বর্ণনা করে। কেননা, বলগুলো প্রায়শঃই শরীর বরাবর ধেয়ে আসছিল। এতে বলা হয় যে, এ ধরনের বোলিং অখেলোয়াড়ীসূলভ ও বিপজ্জ্বনক। ১৯৩০-এর দশকে ব্যাটসম্যানেরা মাথায় কোন ধরনের সুরক্ষা আবরণ বা হেলমেট ব্যবহার করতেন না। তাসত্ত্বেও সফরটি এগুতে থাকে। দ্বিতীয় টেস্টে ব্র্যাডম্যান খেলেন। প্রথম ইনিংসের প্রথম বলেই তিনি [[বোল্ড]] হন। তিনি ভেবেছিলেন বলটি বেশ উঁচু হয়ে আসছে। ফলে তিনি এক প্রান্তে চলে যান ও [[Boundary (cricket)|বাউন্ডারি]] হাঁকানোর লক্ষ্যে ব্যাট স্পর্শ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, যতোটা ভেবেছিলেন ততোটা হয়নি। [[স্ট্যাম্প (ক্রিকেট)|স্ট্যাম্পে]] আঘাত হলে প্রথমবারের মতো খেলোয়াড়ী জীবনের প্রথম বলে [[শূন্য রান|শূন্য রানে]] প্যাভিলিয়নের পথে ফিরে আসতে হয়। দর্শকেরা মনোবেদনায় ভুগে। কেননা, তারা ব্র্যাডম্যানের স্বভাবসূলভ শতরানের দিকে দৃষ্টিপাত করেছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে বেশ ভালো খেলে ১০৩ রান তুলেন। [[বিল ও’রিলি]] ও [[বার্ট আইরনমঙ্গার|বার্ট আইরনমঙ্গারের]] চমৎকার বোলিংয়ের কল্যাণে স্বাগতিক দল জয়লাভ করতে সমর্থ হয়। অস্ট্রেলীয়রা এ ধরনের বোলিংয়ের বিপক্ষে রুখে বেশ তৃপ্তি লাভ করে।<ref>{{Cite web | url = http://content-aus.cricinfo.com/wisdenalmanack/content/story/151780.html | work = Wisden|year=1934| edition = | title = 2nd Test Australia v England, match report| accessdate = 21 August 2007}}</ref>
 
ইংল্যান্ড দল সিরিজের শেষ তিন টেস্টে জয়লাভ করে। তখনও সফরকারীরা বডিলাইন বরাবর বোলিং করে যাচ্ছিল। ব্র্যাডম্যান তার ব্যাটিংয়ের ধরন পরিবর্তন করেন ও রান সংগ্রহ করতে বেশ চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকেন। এ পর্যায়ে ইংল্যান্ড দল লেগ সাইডে অনেক [[ফিল্ডিং (ক্রিকেট)|ফিল্ডার]] রাখে। ফলে, ব্র্যাডম্যান কিছুটা পিছিয়ে বলকে অফ সাইডে ফেলে রান সংগ্রহের পরিকল্পনা করেন। ঐ অঞ্চলে খুব কম ফিল্ডার ছিল। এটি স্বাভাবিক পরিকল্পনার অংশ না হলেও এ সিরিজে তিনি ৫৬.৫৭ গড়ে রান তুলেছিলেন। অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যান [[জ্যাক ফিঙ্গলটন|জ্যাক ফিঙ্গলটনের]] মতে, এ সফরের ফলে ব্র্যাডম্যানের ব্যাটিংয়ে বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসে ও খেলোয়াড়ী জীবনের বাকীটা সময় বহমান থাকে।<ref>Fingleton (1949) p198</ref>
৯৬ ⟶ ৯৯ নং লাইন:
২০ বছরব্যাপী খেলোয়াড়ী জীবনে ক্রমাগত রান সংগ্রহ করে ব্র্যাডম্যান নিজেকে এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন যে, সাবেক অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক [[বিল উডফুল|বিল উডফুলের]] কণ্ঠ থেকে ‘অস্ট্রেলিয়ার তিনজন ব্যাটসম্যানের সমতুল্য’ শব্দগুচ্ছ নিঃসৃত হয়েছিল।<ref name=Sportsfactor>{{cite web| url = http://www.abc.net.au/rn/sportsfactor/stories/2001/253062.htm | work = ABC Radio | title = The Sports Factor (transcript) | date = 2 March 2001 | accessdate = 23 August 2008 | archiveurl = https://web.archive.org/web/20080205083438/http://www.abc.net.au/rn/sportsfactor/stories/2001/253062.htm | archivedate = 5 February 2008}}</ref> ইংল্যান্ড দলের বডিলাইন নামীয় বিতর্কিত কৌশল গ্রহণের ফলে তার রানের ধারা কিছু বক্রতায় রূপ নেয়।
 
অধিনায়ক ও প্রশাসক হিসেবে ব্র্যাডম্যান আক্রমণাত্মক ও বিনোদনধর্মী ক্রিকেট খেলায় আগ্রহী ছিলেন। অনেকবার তিনি দর্শকদের কাছ থেকে বাহ্বা পেয়েছেন। তোষামদকেতোষামোদকে তিনি একেবারেই ঘৃণা করতেন। এরফলে, অন্যদের সাথে তার বেশ তিক্ততাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে। জটিল কিন্তু ক্ষিপ্রগতিসম্পন্ন ব্যক্তি হিসেবে জোড়ালো ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ার দিকে মনোযোগী ছিলেন না।<ref name=Swanton>
{{cite web| url = http://content-aus.cricinfo.com/wisdenalmanack/content/story/154364.html
| work = Wisden