লেবু: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
ট্যাগ: তথ্য অপসারণ মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১৩৭ নং লাইন:
==লেবুর খোসা==
লেবুর খোসায় রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, পেকটিন, ফাইবার এবং মিনারেলস। লেবুর রসের এসব উপাদান শরীরের নিরাময় এবং আরোগ্যে কাজ করে। লেবুর খোসা বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রাকে কমায়। এর মধ্যে পটাশিয়াম থাকার কারণে রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে। লেবুর খোসায় থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। ঠান্ডা, ফ্লু এবং গলার ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে। লেবুর খোসার মধ্যে উপস্থিত ফাইবার বা আঁশ অন্ত্রকে পরিষ্কার রাখে এবং বাউয়েল মুভমেন্ট ভালো করে। এটি হজমে সাহায্য করে এবং পেট ফোলাভাব রোধেও সহায়তা করে। লেবুর খোসা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এর মধ্যে যে পেকটিন রয়েছে তা অন্ত্রের শর্করা শোষণ করতে সাহায্য করে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্যও লেবুর খোসা বেশ ভালো। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং বিপাকে সাহায্য করে। এটি হাড়ের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে। শরীরের দৈনিক ভিটামিন সি-এর চাহিদার ৩০ শতাংশ লেবু পূরণ করতে পারে। ভিটামিন সি-এর আছে নিরাময় ক্ষমতা। এটি প্রোটিনের বাঁধনে সাহায্য করে, যা টেনডনস, লিগামেন্ট এবং ত্বকের জন্য ভালো। লেবুর খোসা কালো দাগ, বলি রেখা, বার্ধক্যের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে। <ref>লাইফস্টাইল ওয়েবসাইট বোল্ড স্কাই</ref>
===লেবুর শরবত কেন খাবেন এবং স্বাস্থ্যগত উপকারিতা কি?===
আমাদের দেশে নানান জাতের লেবু পাওয়া যায়। যেমন-কমলা লেবু, পাতি লেবু, বাতাবি লেবু, কাগজী লেবু ইত্যাদি। লেবুতে প্রচুর পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ খাবার। এতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং অন্যান্য খনিজ উপাদান সমূহ (যেমন- ফ্ল্যাভনয়েডস ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন বি, ফলিক এসিড, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ফসফরাস) যাহা আমাদের হৃদপিন্ড, ফুসফুস, দাঁত, ত্বক প্রভৃতির জন্য খুবই উপকারী। তবে আমরা লেবুর শরবত কেন খাবো এমন প্রশ্নের উত্তরে নিম্নের বিষয়গুলো বর্ণণা করা হল:
 
এক গ্লাস লেবুর শরবতের উপকারীতা:
 
দেহের ওজন কমায়:
আমাদের দেশের বেশীর ভাগ মানুষই মোটা। শরীরের গঠন ও কাঠামো অনুযায়ী ওজন বেশী থাকে। আর বাড়তি ওজনের জন্য নানান প্রকার রোগ-ব্যাধি শরীরের বাসা বাধে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বাড়তি ওজন কমাতে নানা প্রকার ঔষধ সেবন করে থাকে। এতে অনেকে উপকৃত হন আবার অনেকে প্রচন্ড ক্ষতির সম্মুখীন হন। কিন্তু লেবু যে আমাদের ওজন কমাতে ঔষধের চেয়েও বেশী কার্যকরী তাহা আমরা বেমালুম ভুলে যাই। তাই বাড়তি ওজন কমাতে ঔষধের চেয়ে লেবুকে বেশী প্রাধান্য দিতে হবে। লেবু শরীরের অতিরিক্ত চর্বি জমতে দেয় না। তাছাড়া লেবুতে প্রচুর পরিমানে অাঁশ জাতীয় পদার্থ প্যাকটিন থাকে, যাহা ক্ষদা কমায়। আর ক্ষুদা কম থাকলে খাওয়াও কম হবে আর ওজন কমবে। তাই প্রতিবারে খাবারের প্লেটে লেবু রাখতে হবে। অথবা লেবুর শরবত করে খেতে হবে। কুসুম কুসুম গরম পানিতে লেবু চিবিয়ে শররব করে তার সাথে সামান্য পরিমানে মধু মিশ্রিত করে খেতে পারলে বেশী উপকার পাওয়া যাবে।
 
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে:
আঁশ জাতীয় খাবার ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে। ভিটামিনের মধ্যে এ, সি, ই, বিটা ক্যারোটিন জাতীয় খাবার পাকস্থলি, মলদ্বার, জরায়ু, লিভার, স্তন, প্রোস্টেট, ফুসফুস ও অগ্নাশয়ের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি জাতীয় উপাদান। আর ভিটামিন সি এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে যাহা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। লেবুর শরবত ক্যান্সারের কোষ গুলোকে ধ্বংস করে।
 
পিত্তথলির পাথর দূর করে:
পিত্তরস খাবার হজমে বিশেষ করে চর্বি জাতীয় খাবার হজমে সাহায্য করে। আর লেবুর রসে রয়েছে চর্বি বিরোধী উপাদান, যাহা চর্বিকে গলাতে সাহায্য করে। তাছাড়া পিত্তথলির পাথর দূর করতে দরকার উচ্চ ফাইবার বা অাঁশযুক্ত খাবার। যাহা লেবুর মধ্যে প্রচুর পরিমানে রয়েছে।
 
ঠান্ডাজনিত রোগব্যাধি উপশম করে:
শীতকালে বেশীরভাগ মানুষেরই জ্বর, সর্দি-কাশি, গলাব্যাথা, টনসিল, শ্বাসযন্ত্রের ইনফেকশন ইত্যাদি রোগ হয়ে থাকে। কুসুম কুসুম গরম পানির সাথে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে চায়ের মত খেলে পারলে বেশ উপকার পাওয়া যাবে। অল্পতেই সর্দি কাশি ও গলাব্যাথা দূর হয়ে যাবে। লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি যাহা সর্দি কাশি দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী। তাছাড়া লেবু স্নায়ু ও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। ফুসফুস পরিস্কার করে এ্যাজমা সমস্যার উপশম করে।
 
ক্লান্তি দূর করে:
বেশীক্ষণ গরমে বা রোধে থাকলে মানুষ খুব ক্লান্তিবোধ করে। তখন একগ্লাস লেবুর শরবত পান করলেই নিমিষেই ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। তাছাড়া মানসিক চাপ ও দুশ্চিতা দূর করে লেবু। কারণ লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি। মানসিক চাপের কারণে ভিটামিন সি এর ঘাটতি দেখা দেয়। লেবু তা নিমিষেই পূরণ করে দেয়। ফলে পুনরায় দেহ ও মন চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
 
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে:
লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম ও ফসফরাস,ফলিক এসিড, অ্যাসকরবিক এসিড ইত্যাদি। ভিটামিন সি ও আয়রন জ্বর ভাল করে, পটাসিয়াম মস্তিষ্ক ও স্নায়ুকোষকে সক্রিয় রাখে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। অ্যাসকরভিক এসিড শরীরের বিভিন্ন প্রদাহ, যাবতীয় ব্যাথা জনিত অসুবিধা দূর করে। তাজা লেবুর রস দাঁতের ব্যাথার উপশম করে। দাঁতের মাড়ি থেকে রক্তপড়া বন্ধ করে। মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।
 
লেবুর শরবতের অ্ন্যান্য উপকারিতার মধ্যে রয়েছে-
 
ক) কৃমির আক্রমণ হতে রক্ষা করে।
 
খ) লিভার ইনফেকশন দূর করে।
 
গ) হজমশক্তি বৃদ্ধি করে।
 
ঘ) বদহজম, বুক জ্বালার সমস্যার সমাধান করে।
 
ঙ) গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সমাধান করে।
 
চ) হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।
 
ছ) ত্বকের উজ্জলতা বাড়ায়।
 
জ) ক্ষত সারাতে সাহায্য করে।
 
==চিত্রশালা==
[[চিত্র:A Green Lemon.jpeg|thumb|কাঁচা সবুজ লেবু]]
'https://bn.wikipedia.org/wiki/লেবু' থেকে আনীত