সন্দেশ (বাংলা পত্রিকা): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ShahadatHossain (আলোচনা | অবদান)
চিত্র
রণি বসু (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
২১ নং লাইন:
উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী [[১৯১৩]] সালে শিশু-কিশোরদের জন্য এই পত্রিকার প্রকাশ শুরু করেন তার মেজার্স ইউ রায় অ্যান্ড সন্স (M/s U. Roy & Sons) কোম্পানী প্রকাশনের মাধ্যমে। [[১৯১৫]] সালে উপেন্দ্রকিশোর মারা যাবার পর এর সম্পাদনার ভার নেন তার পুত্র [[সুকুমার রায়]]। সুকুমার রায়ের সম্পাদনার সময়েই সন্দেশ একটি অনন্য পত্রিকা হয়ে ওঠে যাতে সাহিত্য রসের সঙ্গে হাস্য ও কৌতুক রস, এবং বিজ্ঞান ও জগৎ সম্বন্ধে তথ্যাদির সমাবেশ ঘটে। তবে সুকুমার পত্রিকাটিতে শিশুদের উদ্দেশ্যেই বেশি লিখতেন।
 
[[১৯২৩]] সালে সুকুমারের অকালমৃত্যুর পর তার ভাই সুবিনয় সন্দেশের সম্পাদনা দেখাশোনা শুরু করেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও [[১৯২৫]] সালে পত্রিকাটি সময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। [[১৯২৯]] সালে নতুন মালিকানার অধীনে পত্রিকা পুনিরায় প্রকাশিত হয় এবং এবারে সুবিনয়ও একজন সম্পাদক হিসাবে থেকে যান। কিন্তু [[১৯৩৩]]-[[১৯৩৪|৩৪]] সালে ইউ রায় অ্যান্ড সন্স কোম্পানী উঠে গেলে পত্রিকাটি আবার বহুদিনের (প্রায় তিন দশকের) জন্য বন্ধ হয়ে য়ায়।যায়।
 
[[১৯৬১]] সালে [[সত্যজিৎ রায়]] ও কবি [[সুভাষ মুখোপাধ্যায় (কবি)|সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের]] সম্পাদনায় সন্দেশ পত্রিকা আবার নতুন করে প্রকাশিত হয়। সত্যজিৎ রায়ের অনেক রচনাই এখানে প্রথম প্রকাশিত হয়। [[১৯৬৩]] সালে কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের বদলে সত্যজিতের পিসি স্বনামধন্যা লেখিকা [[লীলা মজুমদার]] সত্যজিতের সঙ্গে সন্দেশের সাম্মানিক সহসম্পাদকত্ব অধিগ্রহণ করেন। ১৯৬৩ সালেই সত্যজিৎ রায় [[সুকুমার সাহিত্য সমবায় সমিতি]] নামে একটি অলাভজনক সাহিত্য সমবায়-সমিতি (কো-অপারেটিভ) গঠন করেন যা এখনো অবধি সন্দেশ চালিয়ে যাচ্ছে। [[১৯৭৪]] সাল থেকে সত্যজিতের মাসতুতো বোন [[নলিনী দাস]] এর আরেকজন সহসম্পাদক হন, এবং বস্তুতপক্ষে হন এর কার্যনির্বাহী (এক্সিকিউটিভ) সম্পাদক, এবং তার স্বামী অশোকানন্দ দাস হন এর সাম্মানিক প্রকাশক। সত্যজিৎও এঁদের সঙ্গেই কাজ করতে থাকেন। তিনি তার অনেক মূল রচনা ছাড়াও সন্দেশে অনেক জ্ঞান বিজ্ঞানের কথা লিখতেন। যেমন কিছুদিন তিনি প্রতিটি সংখ্যায় একটি করে স্বল্প পরিচিত প্রাণীর ছবি ও তার সম্বন্ধে নানা মজার তথ্য লিখতেন। চিত্রবিচিত্র ধাঁধা, কমিক স্ট্রিপ, লিমেরিক, ছোট গল্প, ধারাবাহিক উপন্যাস, ভ্রমণ কাহিনী ইত্যাদির সুসমন্বয়ে পত্রিকাটি সেই সময় অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এর একটি অংশে ১৬ বছরের থেকে ছোটদের নিজেদের লেখা ও আঁকা ছাপা হত, যার নাম ছিল হাত পাকাবার আসর। তার মানও ছিল যথেষ্ট উন্নত। সুকুমার রায়ের সন্দেশ ছিল শিশু ও কিশোরদের মনোরঞ্জনের জন্য, এই সম্পাদকমণ্ডলী এটিকে তরুণদের কাছেও আকর্ষণীয় করে তোলেন।
৩২ নং লাইন:
 
২০০৬এর অগষ্ট মাস থেকে আবার নতুন উদ্যমে সাহিত্যের উন্নতমান ও সুসংহত পরিচালনার মাধ্যমে পত্রিকাটিকে পুনরায় জনপ্রিয় করার চেষ্টা চলছে। চারটি অপ্রকাশিত সংখ্যার পর শারদীয়া সন্দেশ আবার বার হয়েছে। পত্রিকাটি যাতে আবার ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় এবং এর মান বজায় থাকে ও পাঠকমণ্ডলী বৃদ্ধি পায় তার জন্য পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে।
 
==লেখক মণ্ডলী==
এই পত্রিকায় বিভিন্ন সময়ের জনপ্রিয় লেখক লেখিকারা লিখেছেন। সেকালের কবি ও সাহিত্যিকদের মধ্যে [[উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী]], [[সুকুমার রায়]], [[নলিনী দাস|নলিনী দাশ]], [[নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়]], [[নারায়ণ সান্যাল]], [[সত্যজিৎ রায়]], [[সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়]], [[বিমল কর]], [[লীলা মজুমদার]], [[শিবরাম চক্রবর্তী]], [[প্রেমেন্দ্র মিত্র]], [[সুখলতা রাও]], [[পুণ্যলতা চক্রবর্তী]], [[নরেন্দ্র দেব]], [[সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়]], [[শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়]], [[গৌরী ধর্মপাল]], [[অমিতানন্দ দাশ]], [[শঙ্খ ঘোষ]], [[নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী]] প্রমুখ এবং একালের কবি-সাহিত্যিকদের মধ্যে [[হিমাদ্রিকিশোর দাশগুপ্ত]], [[দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য]], [[অমরেন্দ্র চক্রবর্তী]], [[সৈকত মুখোপাধ্যায়]], [[শিশির বিশ্বাস]], [[অভীক মজুমদার]], [[রতনতনু ঘাটী]], [[দীপান্বিতা রায়]], [[অনন্যা দাশ]] প্রমুখ এই পত্রিকায় লিখেছেন।