অলিমান দেওয়ান শাহ্: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Saikatmdr (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
Saikatmdr (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
২৫ নং লাইন:
 
== কুমিল্লায় আগমন ও ইসলাম প্রচার ==
হযরত শাহ জালাল তাঁর উত্তরসূরীদের বাংলা বিভিন্ন স্থানে গিয়ে ইসলাম প্রচারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। হযরত অলিমান দেওয়ান শাহ (রঃ) তাঁর পূর্বসূরিদের নির্দেশমতে কয়েকজন সফরসঙ্গী নিয়ে ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে [[কুমিল্লা জেলা|ত্রিপুরায়]] [[কুমিল্লা জেলা|(বর্তমান কুমিল্লা)]] আগমন করেন। তাঁর সফরসঙ্গীদের মধ্যে হযরত জামাল শাহ (রঃ) অন্যতম। তাদের প্রতি নির্দেশ ছিল লাল মাটিযুক্ত (বর্তমান [[লালমাই উপজেলা|লালমাই]]) স্থানে গিয়ে প্রত্যেকে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে বসতিস্থাপন করতে এবং বলা হয়েছিল তাঁদের বাহনই তোমাদের ইসলাম প্রচার ও বসতিস্থাপন স্থান নির্ধারণ করবে। হযরত অলিমান দেওয়ান শাহ (রহঃ) লালমাই হতে নৌপথে [[ডাকাতিয়া নদী]] পড়ি দিয়ে ত্রিপুরার হোমনাবাদ পরগনার [[ডাকাতিয়া নদী|ডাকাতিয়া নদীর]] তীরে আগদিয়া ভূখন্ডে বসতিস্থাপন করেন এবং এই অঞ্চলের মানুষদের ইসলামের দাওয়াত দেন।
 
হজরত অলিমান দেওয়ান শাহ আগদিয়াসহ হোমনাবাদ ও রৌশনাবাদের বিভিন্ন এলাকায় ইসলাম প্রচার করেছেন। তিনি এ অঞ্চলে একজন প্রখ্যাত ইসলাম প্রচারক ছিলেন। হজরত অলিমান দেওয়ান শাহ তার শেষ জীবন পর্যন্ত ধর্ম প্রচার করে গেছেন। ইসলাম প্রচারে তিনি অতুলনীয় ভূমিকা পালন করেছেন। আগদিয়া থেকে দুর-দুরন্তে যেয়ে মানুষকে ইসলামের দাওয়াত দিতেন। তার অতুলনীয় ব্যবহার ও অন্যান্য গুণাবলীর দিকে আকৃষ্ট হয়ে বহু হিন্দু ধর্মালম্বী মানুষ দলে দলে ইসলামের শান্তির বাণী গ্রহণ করেন। এর ফলে হিন্দু অধ্যুষিত এই অঞ্চল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে উঠে। ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আসা এসব নওমুসলিমদের তিনি তাঁর বাড়ির পাশে অবস্থিত তাকিয়া তথা দরবারে নিয়ে আসতেন এবং এ সকল মানুষকে [[ইসলাম|ইসলাম ধর্ম]] ও জীবন ব্যবস্থা সম্পর্কে জ্ঞান দান করেন। একই সঙ্গ তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনার্থে তিনি তার বংশধর ও শিষ্যদের ইসলাম প্রচারের ধারাবিকতা বজায় রাখার আদেশ দেন। এরই ধারাবিকতায় তাঁরপুত্র খওয়াজ শাহ মজুমদার দ্বীন প্রচারের ধারাবিকতা বজায় রাখেন। ইসলাম প্রচারের পাশাপাশি তিনি আগদিয়াতে ইসলামী সমাজ ব্যবস্থারও প্রবর্তন করেন। তিনি ছিলেন আগদিয়া [[মজুমদার|মৌজার অধিকর্তা]]। তাঁর ইন্তেকালের পর ধারাবাহিকভাবে তাঁর জ্যেষ্ঠপুত্র জাহের মজুমদার এবং দৌহিত্র আজগর আলী মজুমদার আগদিয়ার সমাজ ব্যবস্থা পরিচালনা করেন। হযরত অলিমান দেওয়ান শাহ (রঃ) এর ইন্তেকালের পর আগদিয়ার মাটিতে তাঁকে দাফন করা হয় । আজও হাজারো ভক্তের ভালোবাসা ও দোয়ায় সিক্ত হচ্ছে তার কবর। যিনি ইসলাম প্রচারক হিসেবে কুমিল্লা অঞ্চলের উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে আছেন। বেঁচে আছেন সহস্র ধর্মপ্রান মুসলিমের হৃদয় ও মননে। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://ajkermail24.com/2019/12/21/17867/|শিরোনাম=কুমিল্লায় ইসলাম ও অলিমান দেওয়ান শাহ্ (রহঃ)|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=আজকের মেইল|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|সংগ্রহের-তারিখ=21 December 2019}}</ref>