ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Wikipediansouravhalder (আলোচনা | অবদান)
ধ্বংসপ্রবণতা হিসাবে চিহ্নিত 116.58.203.134 (আলাপ)-এর করা 1টি সম্পাদনা বাতিল করে InternetArchiveBot-এর করা সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত। (টুইং)
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত
Wikipediansouravhalder (আলাপ)-এর সম্পাদিত 3857845 নম্বর সংশোধনটি বাতিল করা হয়েছে
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত
৮৯ নং লাইন:
[[১৯৬১]] সালে পূর্ব পাকিস্তানে রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী পালনে বাধা দেওয়া হয়। কিন্তু [[আইয়ুর খান|আইয়ুব]] সরকারের সব ভয়ভীতি উপেক্ষা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষকদের উদ্যোগে [[মাহবুব মোর্শেদ|বিচারপতি মাহবুব মোর্শেদ]] ও অধ্যাপক খান সারওয়ার মোর্শেদের নেতৃত্বে গঠিত ডু কেন্দ্রিক রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী কমিটি মহাসমারোহে রবীন্দ্র জন্ম-শতবার্ষিকী উদ্‌যাপন করে। <ref>ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশি বছর- [[রফিকুল ইসলাম (অধ্যাপক)|রফিকুল ইসলাম]]; পৃষ্ঠা:১৪৯</ref> এই দশকেই [[পাকিস্তান|পাকিস্তানের]] দুই অংশের জন্য পৃথক অর্থনীতি প্রবর্তনের প্রয়োজনীয়তাও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদরা প্রচার করতে থাকেন। [[১৯৬২]] সালে পাকিস্তানের পূর্ব অংশে প্রচন্ড ছাত্র বিক্ষোভের সূচনা ঘটে। [[১৯৬২]]-[[১৯৬৩|৬৩]] সালে ছাত্র বিক্ষোভ এমন আকার ধারণ করে যে সে বছর সর্বমোট ২৭ দিনের বেশি ক্লাস হয়নি। এই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়নের [[রাশেদ খান মেনন|মেনন]] ও [[মতিয়া চৌধুরী|মতিয়া]] গ্রুপের ছাত্রছাত্রীরা। [[১৯৬২]] সালের অক্টোবর মাসে আবদুল মোনায়েম খান পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর হয়ে আসেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মাহমুদ হোসেন মোনায়েম খানের কথা মত ছাত্র আন্দোলন বন্ধে উদ্যোগ না নিয়ে পদত্যাগ করেন। এরপর [[বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়|ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের]] উপাচার্য [[ওসমান গনি|অধ্যাপক এম ওসমান গনি]] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হয়ে আসেন। ঐ সময় আইয়ুব বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমন করার জন্য মোনায়েম খান ‘জাতীয় ছাত্র ফেডারেশন’ (এনএসএফ) নামে একটি সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী গঠন করে। এনএসএফ [[১৯৬৩]] সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। [[১৯৬৪]] সালের [[মার্চ ২২|২২ মার্চ]] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে ছাত্ররা চান্সেলর মোনেম খানের কাছ থেকে ডিগ্রি নিতে অস্বীকার করে। এতে সমাবর্তন পন্ড হয়ে যায়। [[১৯৬৬]] সালে এনএসএফ সন্ত্রাসীরা অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আবু মাহমুদকে আহত করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষক সমাজ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তোলেন। <ref>ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশি বছর- [[রফিকুল ইসলাম (অধ্যাপক)|রফিকুল ইসলাম]]; পৃষ্ঠা:১৪৯-১৫৮</ref>
=== ষাটের দশকে সমাবর্তন ===
[[১৯৬০]] সালের সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় [[জানুয়ারি ১১|১১ জানুয়ারি]]। এই সমাবর্তনের উপাচার্য ছিলেন [[হামুদুর রহমান|বিচারপতি হামুদুর রহমান]] ও প্রধান অতিথি ছিলেন পাকিস্তানের সামরিক শাসক [[আইয়ুব খান]]। [[১৯৬১]] সালে সমাবর্তনে চ্যান্সেলর ছিলেন [[আযম খান|লেফটেনেন্ট জেনারেল আযম খান]]। ষাটের দশকের শুরুতে আইয়ুব খানের সামরিক শাসনামলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজ শুরু হয় উপাচার্য ড. মাহমুদ হোসেন ও চ্যান্সেলর জেনারেল আযম খানের তত্ত্বাবধানে। [[১৯২১]] সালের পর এই প্রথম উন্নয়ন কার্য শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই সময়ই [[১৯৫৮]] সাল থেকে অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে থাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের কাজ শেষ হয়। গভর্নর জেনারেল আযম খান ড. মাহমুদ হোসেনকে সভাপতি এবং অধ্যাপক মুনীর চৌধুরীকে সদস্য সম্পাদক করে যে কমিটি গঠন করে, সে কমিটির সুপারিশ ক্রমেই শহীদ মিনারের কাজ শেষ হয়। । [[১৯৬৪]] সালের সমাবর্তনে উপাচার্য ছিলেন [[ওসমান গনি|অধ্যাপক ড. এম ওসমান গনি]] ও চ্যান্সেলর আবদুল মোনায়েম খান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এবারই প্রথম কোন সমাবর্তনে চ্যান্সেলর ও ভাইস চ্যান্সেলর উভয়ই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ছিলেন। কিন্তু, মোনায়েম খানের কাছ থেকে ডিগ্রি নিতে ছাত্র ছাত্রীরা অস্বীকার করলে এই সমাবর্তন পন্ড হয়ে যায়। এই১৯৭০ ঘটনারসালের পর৮ই [[১৯৬৯]] সালমার্চ পর্যন্ত আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৯তম সমাবর্তন হয়হয়েছিলো, নি।এটিই ছিলো পাকিস্তান আমলের সর্বশেষ সমাবর্তন; এরপর ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের কারণে কোনো সমাবর্তন হয়নি।<ref>ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশি বছর- [[রফিকুল ইসলাম (অধ্যাপক)|রফিকুল ইসলাম]]; পৃষ্ঠা:২২৮-২৩২</ref><ref>ষাটের দশকের রাজনীতি ও অন্যান্য প্রসঙ্গ - মাহবুব উল্লাহ</ref>
 
=== আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা ===
{{মূল নিবন্ধ|আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা}}