বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
বিষয় যোগ
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
→‎প্রবন্ধ: নতুন অনুচ্ছেদ
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৩৮৬ নং লাইন:
 
চলবে-- [[ব্যবহারকারী:ড. সেখ রমজান আলি|ড. সেখ রমজান আলি]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:ড. সেখ রমজান আলি|আলাপ]]) ১৩:২৯, ৩ মে ২০১৯ (ইউটিসি)
 
== প্রবন্ধ ==
 
চিত্ত মুক্তির দূত : রোকেয়া
---- ড. রমজান আলি
 
"বাঙ্গালী মুসলিম সমাজের আত্মা এবং বিবেকবুদ্ধি এমনভাবে একটি নারী প্রতিমা রূপে প্রকাশ পাইয়াছে। একালে হিন্দু সমাজেও এমন নারী চরিত্র বিরল।" বেগম রোকেয়ার মূল্যায়ন করতে গিয়ে কথাগুলি বলেছিলেন কবি সমালোচক মোহিতলাল মজুমদার। একই দিনে ( ৯ ডিসেম্বর) তার জন্ম (১৮৮০) ও মৃত্যু(১৯৩২)।
 
নারী শিক্ষার ইতিহাস ১৮৪৯ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় ২১ জন মেয়ে নিয়ে ক্যালকাটা ফিমেল স্কুল এবং পরবর্তীতে বেথুন স্কুল প্রতিষ্ঠিত হলেও অবিভক্ত বাংলাদেশের অন্যত্র তেমন কোন মহিলা স্কুল ছিল বলে জানা যায় না। তার একটা বড় কারণ তখনও হিন্দুদের অন্দরমহল এবং মুসলমানের জেনানা ছিল একই সুরে বাঁধা। মুসলমান মেয়েরা,আরবি ভাষায় প্রার্থমিক পার্ট হিসাবে কায়দা, আনসোপারা আর কোরান শরীফ পাঠ করতে পারলেই বিবাহের পিঁড়িতে বসার ডিগ্রী লাভ করত। কৃষিনির্ভর গ্রামগুলিতে বাংলায় ভাষায় হোক, আর আরবি-ফারসি হোক, মেয়েদের পড়ার তেমন কোন প্রকার চল ছিল না । ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দে কুমিল্লায় নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরী এবং ১৮৯৭ সালে কলকাতায় মুর্শিদাবাদের নবাব বেগম ফেরদৌস মেয়েদের জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠার প্রথম উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
 
বিদ্যাসাগরের সমকালীন যুগে হিন্দু সমাজে নারী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে নারী মুক্তি আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন কামিনী রায় , স্বর্ণকুমারী দেবী, মানকুমারী বসু , সরলা দেবী চৌধুরানী, প্রমূখ ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন নারীরা।
 
রোকেয়া ১৯১১ খ্রিস্টাব্দের ১৬ ই মার্চ ১৩ নম্বর ওয়ালিউল্লাহ লেনের একটি ভাড়া বাড়িতে মাত্র ৮ জন ছাত্রী নিয়ে সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল শুরু করেছিলেন । ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে স্কুলটি উঠে আসে ১৩ নম্বর ইউরোপিয়ান এসাইলাম লেনে। ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দের ২৭ফেব্রুয়ারি আবার ঠিকানা বদল ঘটে ৮৬/ এ, লোয়ার সার্কুলার রোডে। ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে এই বালিকা বিদ্যালয় প্রথম তিন জন ছাত্রী কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়। পরে পরে তো শিখরে উঠার ইতিহাস।
 
পাশাপাশি ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে রোকেয়া প্রতিষ্ঠা করেন 'আঞ্জুমানে খাওয়াতিনে ইসলাম ' বা 'নিখিল বঙ্গ মুসলিম মহিলা সমিতি'। এই সমিতি 'Calcutta Mohammedan ladies Association' নামেও পরিচিত ছিল। এই সমিতি অনেক গঠনমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। উদ্দেশ্য ছিল, মুসলিম নারীদের মধ্যে শিক্ষা ও জাগরণের আলো ছড়িয়ে দেওয়া।
 
রোকেয়া রচিত অনেক প্রবন্ধের মধ্যে 'স্ত্রী জাতির অবনতি', 'অর্ধাঙ্গিনী', 'বোরখা',' নারী সৃষ্টি ','নারীর অধিকার ', শিশুপালন' ইত্যাদি প্রবন্ধ বিস্ময় জাগায়।
 
বাঙালি নারীমুক্তি তথা আত্মমুক্তির ইতিহাসে রোকেয়ার জীবন ও কর্ম এক উজ্জ্বল দীপশিখা । তিনি শুধু নারী জাগরণ নন , তিনি আধুনিক বিশ্বাস, চৈতন্য এবং চিত্ত মুক্তির প্রতীক।
 
ড. রমজান আলি
বর্ধমান
৮৭৭৭৩৯৬৬৩২ [[ব্যবহারকারী:ড. সেখ রমজান আলি|ড. সেখ রমজান আলি]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:ড. সেখ রমজান আলি|আলাপ]]) ১৪:৫৮, ৯ ডিসেম্বর ২০১৯ (ইউটিসি)