মহাত্মা গান্ধী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[অপরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
→‎অসহযোগ: বানান ঠিক করা হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
৫২ নং লাইন:
 
== অসহযোগ ==
অন্যায়ের বিরুদ্ধে গান্ধীর অস্ত্র ছিল অসহযোগ এবং শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধ । পাঞ্জাবের [[জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড]], যা সাধারণ মানুষের উপরে ব্রিটিশ সরকার দ্বারা সংগঠিত হয়েছিল তার ফলে জনসাধারণ ক্ষুব্ধ হয়ে তোলে এবং মারামারির মাত্রা বৃদ্ধি পায়। গান্ধী ব্রিটিশ রাজের কার্যাবলী এরং ভারতীয়দের প্রতিশোধপরায়ণ আচরণ উভয়েরই নিন্দা করেন। তিনি একটি লিখিত বিবৃতিতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিটিশ নাগরিকদের সমবেদনা জ্ঞাপন করেন এবং বিশৃঙ্খলার সমালোচনা করেন। তার এই পদক্ষেপ প্রাথমিক পর্যায়ে দলের ভিতরে অসন্তোষের জন্ম দিলেও গান্ধীর একটি আবেগীয় বক্তৃতার পর, যেখানে তিনি মূলনীতিগুলোর বর্ণনা দিয়ে বলেন সবরকম বিশৃঙ্খলাই অমঙ্গলজনক এবং সমর্থনযোগ্য নয়, তা গৃহীত হয়।<ref>R. Gandhi, ''Patel: A Life'', p. 82.</ref> এই হত্যাকাণ্ড এবং জন বিক্ষোভের গান্ধী পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্তশাসন এবং সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ লাভের দিকে মনোনিবেশ করেন যা শেষ পর্যন্ত [[স্বরাজ]] বা সম্পুর্ণ ব্যক্তিগত, আদর্শগত, রাজনৈতিক স্বাধীনতার আন্দোলনে রূপ নেয়।
[[চিত্র:Sabarmati Ashram.jpg|thumb|left|300px|[[সবরমতী আশ্রম]], গুজরাটে গান্ধীর বাড়ী]]
১৯২১ সালের ডিসেম্বর মাঝে মহাত্মা গান্ধী ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নির্বাহী দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। তার নেতৃত্বে কংগ্রেস স্বরাজের লক্ষ্যকে সামনে রেখে নতুন সংবিধান গ্রহণ করেন। টোকেন ফি দিতে রাজি হওয়া যে কোন ব্যক্তির জন্য দলের সদস্যপদ উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। বিভিন্ন শ্রেণীর কমিটি গঠন করা হয় নিয়মানবর্তিতা উন্নতির জন্য। পার্টিকে একটি অভিজাত প্রতিষ্ঠান থেকে জাতীয় জনগণের আকর্ষণে রূপান্তর করা হয়। গান্ধী তার অহিংস নীতির পরিবর্ধন করেন স্বদেশী পলিসি যোগ করে। স্বদেশী পলিসি মতে সকল বিদেশী পণ্য বিশেষত ব্রিটিশ পণ্য বর্জন করা হয়। এর পথ ধরে তিনি সকল ভারতীয়কে ব্রিটিশ পোশাকের বদলে খাদি পরার আহ্বান জানান।<ref>R. Gandhi, ''Patel: A Life'', p. 89.</ref> তিনি সকল ভারতীয় পুরুষ ও মহিলা, ধনী ও গরিব মানুষকে দৈনিক [[খাদী]]র চাকা ঘুরানোর মাধ্যমে স্বাধীনতার আন্দোলনকে সমর্থন করতে বলেন। এটি এমন একটি কৌশল ছিল যা নিয়মানুবর্তিতা ও আত্মত্যাগের অনুশীলনের মাধ্যমে অনিচ্ছা ও উচ্চাকাঙ্খা দূরীকরণের পাশাপাশি আন্দোলনে মহিলাদের যুক্ত করে, এ সময়ে মহিলাদের করা এ সকল কাজকে অসম্মানজনক বলে মনে করা হত। বাড়তি হিসেবে ব্রিটিশ পণ্য বর্জনের মাধ্যমে, গান্ধী জনগণকে ব্রিটিশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অফিস আদালত বর্জনের সরকারি চাকরি র্থেকে ইস্তফা এবং ব্রিটিশ উপাধি বর্জনের ডাক দেন।