পেটার হান্ডকে: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অ সংশোধন |
অ পরিষ্কারকরণ, সংশোধন |
||
২৯ নং লাইন:
| influenced = কাফকা, ফকনার, রোলাঁ বার্থ ও হোল্ডার্লিন।
| awards = সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ২০১৯
| signature = Signature of Peter Handke.svg
| website =
| portaldisp =
}}
'''পিটার হান্ৎকা''' (জার্মান উচ্চারণ: [ˈhantkə]; জন্ম ৬ ডিসেম্বর ১৯৪২) বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে আবির্ভূত একজন জার্মানভাষী অস্ট্রীয় সাহিত্যিক যিনি ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে সাহিত্যে [[নোবেল পুরস্কার]] লাভ করেন। তিনি একই সঙ্গে একজন ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার, কবি, প্রবন্ধকার ও অনুবাদক। তিনি চলচ্চিত্র নির্মার্ণও করেছেন। নোবেল পুরস্কার ঘোষণার সময় পিটার হান্টকা সম্বন্ধে [[সুইডিশ একাডেমি|সুইডিশ একাডেমির]] তরফ থেকে বলা হয়, “ভাষাগত দক্ষতাকে সঙ্গে নিয়ে মানুষের অভিজ্ঞতার পরিধি এবং তার নির্দিষ্টতা নিয়ে তার যে প্রভাবশালী কাজ, তাকেই সম্মানিত করা হয়েছে।”<ref>https://www.nobelprize.org/prizes/literature/2019/summary</ref>{{Cref2|ক}}
সমসাময়িক কালের গুরুত্বপূর্ণ জার্মানভাষী লেখকদের মধ্যে অস্ট্রেয়ার পিটার হান্ৎকা অন্যতম। গত প্রায় তিরিশ বছর যাবৎ তিনি ফ্রান্সে বসবাস করছেন।
১৯৬৫ সালে ‘দ্য হর্ণেটস্’ নামীয় উপন্যাস প্রকাশের মধ্য দিয়ে তাঁর লেখক হিসাবে আত্মপ্রকাশ। ‘এ সরো বিয়ণ্ড ড্রিম’, 'মোরাভিয়ান নাইট’, ‘দ্য
২০১৯ পর্যন্ত প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৮০টিরও বেশী। তাঁর গদ্যশৈলী কেবল অনবদ্যই নয়, তা একেবারেই মৌলিক। তাঁর রচনায় ফুটে উঠেছে মানুষের অন্তর্প্রদেশ কী ভাবে অসংখ্য অন্তর্লীন ঝঞ্ঝায় উদ্বেলিত ও বিক্ষুব্ধ হয়ে থাকে। এই হ্রদয়সম্বাদীতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে শিল্পসম্মতি; তাঁর রচনাকে করেছে অনবদ্য। তাঁর বিশ্ববীক্ষা সত্তুরের দশক থেকে মানুষকে প্রভাবান্বিত করে চলেছে; মানুষের অস্তিত্ব সম্পর্কে নতুন করে ভাবতে উদ্বুদ্ধ
== জীবনালেখ্য ==
পিটার হান্ৎকা ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ৬ ডিসেম্বর অস্ট্রিয়ার ক্ষুদ্র বাণিজ্যনগরী গ্রিফেন-এ নানার বাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন। হান্ৎকা ও তার মা ১৯৪৪ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত [[স্লোভেনিয়া|স্লোভেনীয়]] অধ্যুষিত [[বার্লিন|বার্লিনের]] পানকৌতে বসবাস করতেন। ১৮ বৎসর বয়সে তিনি জানতে পারেন যাকে এতো দিন পিতা বলে জেনেছেন তিনি আদৌ তার জন্মদাতা নন। ১৯৪৭-এ বোন মনিকা জন্মগ্রহণ করে।
১৯৫৪ সালে পিটার ক্যারিনথিয়া অঙ্গরাজ্যের তানজেনবার্গ ক্যাসেল-এ অবস্থিত ‘ক্যাথলিক মারিয়াম বয়েজ বোর্ডিং স্কুলে’ ভর্তি হন। বোংর্ডি স্কুলের অভিজ্ঞতা তার মনঃস্তত্ব ও চরিত্রে এক ধরণের কাঠিন্য আরোপ করেছে। বোর্ডিং স্কুলে তিনি প্রায়শঃ হাত-পা ছড়িয়ে চিৎকার কান্না করতেন তা কেবল মায়ের জন্য নয়;— ফেলে আসা বাড়ির জন্যও মন খুব খারাপ করতো।<ref>[https://www.freitag.de/autoren/der-freitag/ich-habe-keine-schublade Peter Handke interviewed byJan C. Behmann, Mladen Gladić]</ref>
কৈশোরেই তার পরিব্যাপ্ত পড়াশোনার অভ্যাস গড়ে ওঠে। সারা পৃথিবীর বড় বড়
১৯৫৯ সালে তিনি ক্লাজেনপুর্টে চলে যান, সেখানে তিনি গিয়ে উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ার জন্য ভর্তি হন। ১৯৬১ তে তিনি হাইস্কুল ডিপ্লোমা অর্জন করেন। স্কুলে তিনি খুব ভাল ছাত্র হিসাবে পরিচিত ছিলেন। পরীক্ষায় তার ফলাফল সর্বদাই ভাল ছিল।
১৯৬১ সালে হান্ৎকা [[ইউনিভার্সিটি অব গ্রাৎস্]]-এ ভর্তি হন আইন শাস্ত্র অধ্যয়নের
"ডাই হর্নিজেন" (ইং: ‘দ্য হর্ণেটস্’) প্রকাশিত হয় ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে। এ বছরই তিনি অভিনেত্রী লিবগার্ট শোয়ার্জ-এর সঙ্গে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন। দীর্ঘ দাম্পত্য জীবন ১৯৯৪-এ পর্যন্ত টিকে ছিল। বিবাহবিচ্ছেদের পর ১৯৯৫-এ তিনি সোফি সেমিন-এর সঙ্গে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন। হানৎকা দুই কন্যা সন্তানের জনক যাদের নাম আমিনা হান্দকে এবং লিওকাদি হানদকে।<ref>[https://www.faz.net/aktuell/feuilleton/kino/filmportraet-ueber-handke-so-schoen-war-die-stille-gar-nicht-14523535.html The silence was not so beautiful]</ref>
|