কলকাতা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Turkmen (আলোচনা | অবদান)
2405:205:628D:BCAE:5D27:E499:7E87:6AE2-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Al Riaz Uddin Ripon-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল SWViewer [1.3]
৭৮ নং লাইন:
[[সুতানুটি]], [[কলিকাতা (গ্রাম)|ডিহি কলকাতা]] ও [[গোবিন্দপুর]] নামে তিনটি গ্রাম নিয়ে মূল কলকাতা শহরটি গড়ে ওঠে। ১৭শ শতাব্দীর শেষভাগ পর্যন্ত এই গ্রামগুলির শাসনকর্তা ছিলেন [[মুঘল সাম্রাজ্য|মুঘল সম্রাটের]] অধীনস্থ [[বাংলার নবাব|বাংলার নবাবেরা]]। ১৬৯০ সালে [[ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি]] নবাবের কাছ থেকে বাংলায় বাণিজ্য সনদ লাভ করে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Dutta|প্রথমাংশ=K.|শেষাংশ২=Desai|প্রথমাংশ২=A.|তারিখ=April 2008|শিরোনাম=Calcutta: a cultural history|প্রকাশক=Interlink Books|অবস্থান=Northampton, Massachusetts, US|পাতাসমূহ=9–10|আইএসবিএন=978-1-56656-721-3|সূত্র=harv}}</ref> এরপর কোম্পানি কলকাতায় একটি [[ফোর্ট উইলিয়াম, কলকাতা|দুর্গবেষ্টিত বাণিজ্যকুঠি]] গড়ে তোলে। ১৭৫৬ সালে নবাব [[সিরাজদ্দৌলা]] কলকাতা জয় করেছিলেন। কিন্তু পরের বছরই কোম্পানি আবার শহরটি দখল করে নেয়। এর কয়েক দশকের মধ্যেই কোম্পানি বাংলায় যথেষ্ট প্রতিপত্তি অর্জন করে এবং ১৭৯৩ সালে ‘নিজামৎ’ বা স্থানীয় শাসনের অবলুপ্তি ঘটিয়ে এই অঞ্চলে [[চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত|পূর্ণ সার্বভৌমত্ব]] কায়েম করে। [[ভারতে কোম্পানি শাসন|কোম্পানির শাসনকালে]] এবং [[ব্রিটিশ ভারত|ব্রিটিশ রাজশক্তির প্রত্যক্ষ শাসনকালের]] প্রথমার্ধ্বে কলকাতা ছিল ভারতের ব্রিটিশ-অধিকৃত অঞ্চলগুলির রাজধানী। ১৯শ শতাব্দীর শেষ ভাগ থেকেই কলকাতা ছিল [[ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন|স্বাধীনতা আন্দোলনের]] অন্যতম কেন্দ্র। ১৯১১ সালে ভারতের মতো একটি বৃহৎ রাষ্ট্র শাসনে ভৌগোলিক অসুবিধার কথা চিন্তা করে এবং [[বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি|বেঙ্গল প্রেসিডেন্সিতে]] ক্রমবর্ধমান জাতীয়তাবাদী কার্যকলাপের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের রাজধানী স্থানান্তরিত হয় [[নতুন দিল্লি|নতুন দিল্লিতে]]। স্বাধীনতার পর কলকাতা পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য রাজনীতির প্রাণকেন্দ্র হয়ে দাঁড়ায়। ব্রিটিশ আমলে কলকাতা ছিল আধুনিক ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থা, বিজ্ঞানচর্চা এবং সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনের প্রধান কেন্দ্র। কিন্তু স্বাধীনতার পরবর্তী দশকগুলিতে কলকাতা এক অর্থনৈতিক স্থবিরতার সম্মুখীন হয়।
 
১৯শ শতাব্দী ও ২০শ শতাব্দীর প্রথম ভাগে [[বাংলার নবজাগরণ|বাংলার নবজাগরণের]] কেন্দ্রস্থল ছিল কলকাতা। এই শহর বাংলা তথা ভারতের ধর্মীয় ও জাতিগত বৈচিত্র্যপূর্ণ এক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রও বটে। সাহিত্য, থিয়েটার, শিল্পকলা ও চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে এই শহর এক স্বতন্ত্র ঐতিহ্য বহন করে আসছে। [[কলকাতার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের তালিকা|কলকাতার অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি]] সাহিত্য, সংগীত, নাটক, চলচ্চিত্র, শিল্পকলা, বিজ্ঞান ও অন্যান্য ক্ষেত্রে বিশেষ কৃতিত্বের অধিকারী হয়েছেন। এঁদের মধ্যে কয়েকজন নোবেল পুরস্কার ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক পুরস্কারে সম্মানিতও হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের [[পশ্চিমবঙ্গের চলচ্চিত্র|বাংলা চলচ্চিত্র শিল্পের]] কেন্দ্রও কলকাতা শহর। এখানে জাতীয় গুরুত্বসম্পন্ন বেশ কয়েকটি খ্যাতনামা সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এগুলির মধ্যে [[অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস, কলকাতা|অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস]], [[ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল]], [[এশিয়াটিক সোসাইটি (কলকাতা)|এশিয়াটিক সোসাইটি]], [[ভারতীয় সংগ্রহালয়]] ও [[ভারতের জাতীয় গ্রন্থাগার|জাতীয় গ্রন্থাগারের]] নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। [[এগ্রি হর্টিকালচারাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া|এগ্রি-হর্টিকালচারাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া]], জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া, [[ভারতীয় উদ্ভিদ সর্বেক্ষণ]], [[ক্যালকাটা ম্যাথেমেটিক্যাল সোসাইটি]], [[ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেস সংস্থা]], [[জুওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া]], ইনস্টিটিউশন অফ ইঞ্জিনিয়ার্স, [[অ্যানথ্রোপোলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া]] ও ইন্ডিয়ান পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশনের মতো কয়েকটি পেশাদার বিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠান কলকাতাতেই অবস্থিত। এই শহরে একাধিক ক্রিকেট মাঠ ও ফ্র্যাঞ্জাইজি আছে। কিন্তু ভারতের অন্যান্য শহরে ক্রিকেট বেশি গুরুত্ব পেলেও, কলকাতার অধিবাসীরা [[ফুটবল]] ও অন্যান্য খেলার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।বলা হয়ে থাকে, ভারতবর্ষের ফুটবলের রাজধানী কলকাতা।british east india company made their business ঘাটি in calcutta againist Siraj-ud-doullaকলকাতা।
 
==নাম-ব্যুৎপত্তি==