প্রথম চেচেন যুদ্ধ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
৯টি উৎস উদ্ধার করা হল ও ০টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল।) #IABot (v2.0) (Cyberpower678 - 4487
Tulsi (আলোচনা | অবদান)
fixing doi from hijacked website, see here
৭৬ নং লাইন:
[[File:Evstafiev-chechnya-palace-gunman.jpg|thumb|right|১৯৯৫ সালের জানুয়ারিতে গ্রোজনিতে বিধ্বস্ত ও দগ্ধ রাষ্ট্রপতির প্রাসাদের নিকটে একজন চেচেন যোদ্ধা]]
 
রুশ সৈন্যরা চেচেন রাজধানী অবরোধ করার পর এক-সপ্তাহব্যাপী বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণের ফলে শহরটির হাজার হাজার সাধারণ মানুষ নিহত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে [[ড্রেসডেনে বোমাবর্ষণ|ড্রেসডেনের ধ্বংসসাধনের]] পর গ্রোজনির আক্রমণই ছিল ইউরোপের মাটিতে সবচেয়ে বড় ধরনের বিমান হামলা<ref>Williams, Bryan Glyn (2001).[http://wwwdoi.blackwell-synergy.com/doi/pdforg/10.1111/1475-4967.00012 The Russo-Chechen War: A Threat to Stability in the Middle East and Eurasia?] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://archive.is/20120722151211/http://www.blackwell-synergy.com/doi/pdf/10.1111/1475-4967.00012 |তারিখ=২২ জুলাই ২০১২ }}. ''[[Middle East Policy]]'' 8.1.</ref>। ১৯৯৫ সালের নববর্ষের দিনে রুশদের প্রথম আক্রমণ শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়, ফলে রুশদের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং রুশ সৈন্যদের মনোবল প্রায় সম্পূর্ণরূপে ভেঙ্গে পড়ে। এই বিপর্যয়ে ১,০০০ থেকে ২,০০০ রুশ সৈন্য নিহত হয়, যাদের অধিকাংশই ছিল প্রায় অপ্রশিক্ষিত এবং নিরুৎসাহী অনিয়মিত সৈন্য। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয় রুশ সেনাবাহিনীর ১৩১তম 'মাইকোপ' মোটর রাইফেল ব্রিগেড, যেটি গ্রোজনির কেন্দ্রীয় রেল স্টেশনের নিকটে সংঘটিত যুদ্ধে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়<ref name="Gall">{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ =Gall|প্রথমাংশ =Carlotta|লেখক-সংযোগ =|লেখক২=Thomas de Waal|শিরোনাম =Chechnya: Calamity in the Caucasus|প্রকাশক =New York University Press|বছর =1998|অবস্থান =|পাতাসমূহ =|ইউআরএল =https://www.nytimes.com/books/first/g/gall-chechnya.html|ডিওআই =|আইএসবিএন = 0-8147-2963-0 }}</ref>। কিন্তু চেচেনদের হাতে প্রাথমিকভাবে পর্যুদস্ত হওয়ার পরেও এবং বিপুল ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত তীব্র যুদ্ধের পর রুশরা গ্রোজনি দখল করে নিতে সক্ষম হয়। সাঁজোয়া বহরের আক্রমণ ব্যর্থ হওয়ার পর রুশ সামরিক বাহিনী বিমানবাহিনী ও গোলাবর্ষণের সাহায্যে শহরটি জয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। একই সময়ে রুশরা অভিযোগ করে যে, চেচেন যোদ্ধারা শহরটির সাধারণ জনগণকে শহর ত্যাগ করতে না দিয়ে তাদেরকে 'মানব ঢাল' হিসেবে ব্যবহার করছে<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://news.bbc.co.uk/1/hi/world/europe/545672.stm|শিরোনাম=BBC News - EUROPE - Chechens 'using human shields'|কর্ম=bbc.co.uk}}</ref>। ১৯৯৫ সালের ৭ জানুয়ারি রুশ মেজর জেনারেল ভিক্তর ভরোবিয়োভ চেচেনদের মর্টার হামলায় নিহত হন, এবং চেচনিয়ায় নিহত রুশ জেনারেলদের দীর্ঘ তালিকায় তিনিই প্রথম স্থান লাভ করেন। ১৯ জানুয়ারি তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে তীব্র সংঘর্ষের পর প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি সত্ত্বেও রুশ সৈন্যরা গ্রোজনির রাষ্ট্রপতির প্রাসাদ (বা প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ) দখল করে নিতে সক্ষম হয় এবং চেচেনরা শহরতলি অঞ্চলে পশ্চাৎপসরণ করে। ১৯৯৫ সালের ৬ মার্চে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রোজনির যুদ্ধ সমাপ্তির ঘোষণা দেয়ার আগ পর্যন্ত শহরের দক্ষিণাংশে যুদ্ধ চলেছিল।
 
রুশ রাষ্ট্রপতি ইয়েলৎসিনের মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা সের্গেই কোভালেভের হিসেব অনুযায়ী, যুদ্ধের প্রথম পাঁচ সপ্তাহে প্রায় ২৭,০০০ বেসামরিক জনসাধারণ নিহত হয়। রুশ ইতিহাসবিদ জেনারেল দিমিত্রি ভোল্কোগোনোভের মতে, গ্রোজনিতে রুশ বোমাবর্ষণের ফলে ৫,০০০ শিশুসহ প্রায় ৩৫,০০০ বেসামরিক নর-নারী নিহত হয়, এবং নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই ছিল জাতিগত [[রুশ জাতি|রুশ]]। প্রকৃত সামরিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা না গেলেও রুশ কর্তৃপক্ষ ২,০০০ রুশ সৈন্য নিহত অথবা নিখোঁজ হওয়ার কথা স্বীকার করে<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি