বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Manisha Mrittika (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৪৯ নং লাইন:
 
'''বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ''' ({{lang-en|Border Guard Bangladesh (BGB)}} (বাংলা অর্থ:''বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষক'') [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] একটি [[আধাসামরিক]] সংস্থা। এর কাজ হল মূলত বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষা করা। এর প্রধান কার্যালয় [[ঢাকা|ঢাকার]] [[পিলখানা|পিলখানায়]] অবস্থিত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পূর্বে এর নাম ছিল ''ইস্ট পাকিস্তান রাইফেল্‌স'' (ইপিআর)।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি | ইউআরএল=http://news.bbc.co.uk/2/hi/south_asia/8544160.stm | শিরোনাম=Bangladesh Rifles to get new name | কর্ম=BBC News | তারিখ=1 March 2010 | সংগ্রহের-তারিখ=26 April 2010}}</ref> বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৭২ সালে এর নাম হয় 'বাংলাদেশ রাইফেলস' (বিডিআর)।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://bdnews24.com/bangladesh/2016/11/02/maj-gen-abul-hossain-appointed-border-guard-bangladesh-chief|শিরোনাম=Maj Gen Abul Hossain appointed Border Guard Bangladesh chief|সংবাদপত্র=bdnews24.com|সংগ্রহের-তারিখ=2016-11-03}}</ref>
 
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানা সদর দপ্তরে বিডিআরের কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল জওয়ান সংঘটিত করেন ইতিহাসের বিভীষিকাময় নারকীয় হত্যাকাণ্ড।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.bangladeshchronicle.net/index.php/2013/02/pilkhana-massacre-collaborator-mixes-in-the-crowd |শিরোনাম=Archived copy |সংগ্রহের-তারিখ=2015-01-22 |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20140307070434/http://www.bangladeshchronicle.net/index.php/2013/02/pilkhana-massacre-collaborator-mixes-in-the-crowd |আর্কাইভের-তারিখ=২০১৪-০৩-০৭ |df= }}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://news.bbc.co.uk/2/hi/south_asia/7910837.stm|শিরোনাম=Bangladesh becomes battle zone|তারিখ=25 February 2009|সংবাদপত্র=BBC|সংগ্রহের-তারিখ=3 April 2016}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.bbc.co.uk/news/world-south-asia-12123651|শিরোনাম=Bangladesh tries 800 soldiers for bloody 2009 mutiny|ওয়েবসাইট=BBC News|সংগ্রহের-তারিখ=3 April 2016}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://edition.cnn.com/2009/WORLD/asiapcf/02/25/bangladesh.gunbattle/index.html|শিরোনাম=Dozens feared dead in Bangladesh mutiny - CNN.com|ওয়েবসাইট=edition.cnn.com|সংগ্রহের-তারিখ=3 April 2016}}</ref> কিন্তু বিডিআর আইনে দোষীদের নগণ্য শাস্তির বিধান থাকায় আইন পরিবর্তনেরও প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এই বাহিনীর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
 
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন তৎকালীন ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের (ইপিআর) সদস্যরা। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এ বাহিনীর রয়েছে গৌরবময় অবদান। স্বাধীনতাযুদ্ধে ইপিআরের ৮০০ সদস্য শাহাদত বরণ করেন। এঁদের মধ্যে ছিলেন বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ ও বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আবদুর রউফ।
 
১৭৯৫ সালের ২৯ জুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের গোড়াপত্তন হয়েছিল। তখন বাহিনীর নাম ছিল রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়ন। সৈন্যসংখ্যা ছিল ৪৪৮। ছয় পাউন্ড গোলা, চারটি কামান এবং দুটি অনিয়মিত অশ্বারোহী দল নিয়ে রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়ন গঠন করা হয়। সীমান্ত এলাকায় সমস্যা বৃদ্ধির কারণে এ বাহিনী পার্বত্য অঞ্চলের অভিযানে অংশ নেয়। ১৮৬০ সালে রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়নের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ফ্রন্টিয়ার গার্ডস।
৬১ ⟶ ৫৭ নং লাইন:
 
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ৩ মার্চ ইপিআর বাহিনীকে পুনর্গঠন করে এর নাম রাখা হয় বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর)। ১৯৮০ সালের ৩ মার্চ থেকে এ বাহিনীর স্বীকৃতি হিসেবে সরকার একে জাতীয় পতাকা প্রদান করে। ১৯৯৭ সালের ১৬ মার্চ বিডিআর বাহিনীর জন্য তিন রঙের সংমিশ্রণে ছাপা কাপড়ের ইউনিফর্মের প্রবর্তন করা হয়। ২০০৯ সালে পিলখানা সদর দপ্তরে ঘটে যাওয়া ইতিহাসের বিভীষিকাময় নারকীয় হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে বিডিআরের ২১৫ বছরের গৌরবময় অধ্যায়ের ছন্দপতন ঘটে। এ বাহিনীর নাম ও পোশাক পরিবর্তন করে নতুন আইনও প্রবর্তন করা হয়। ২৩ জানুয়ারি ২০১১ প্রধানমন্ত্রী [[শেখ হাসিনা]] বিজিবির পতাকা উত্তোলন করেন।
 
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানা সদর দপ্তরে বিডিআরের কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল জওয়ান সংঘটিত করেন ইতিহাসের বিভীষিকাময় নারকীয় হত্যাকাণ্ড।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.bangladeshchronicle.net/index.php/2013/02/pilkhana-massacre-collaborator-mixes-in-the-crowd |শিরোনাম=Archived copy |সংগ্রহের-তারিখ=2015-01-22 |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20140307070434/http://www.bangladeshchronicle.net/index.php/2013/02/pilkhana-massacre-collaborator-mixes-in-the-crowd |আর্কাইভের-তারিখ=২০১৪-০৩-০৭ |df= }}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://news.bbc.co.uk/2/hi/south_asia/7910837.stm|শিরোনাম=Bangladesh becomes battle zone|তারিখ=25 February 2009|সংবাদপত্র=BBC|সংগ্রহের-তারিখ=3 April 2016}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.bbc.co.uk/news/world-south-asia-12123651|শিরোনাম=Bangladesh tries 800 soldiers for bloody 2009 mutiny|ওয়েবসাইট=BBC News|সংগ্রহের-তারিখ=3 April 2016}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://edition.cnn.com/2009/WORLD/asiapcf/02/25/bangladesh.gunbattle/index.html|শিরোনাম=Dozens feared dead in Bangladesh mutiny - CNN.com|ওয়েবসাইট=edition.cnn.com|সংগ্রহের-তারিখ=3 April 2016}}</ref> কিন্তু বিডিআর আইনে দোষীদের নগণ্য শাস্তির বিধান থাকায় আইন পরিবর্তনেরও প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এই বাহিনীর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
 
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন তৎকালীন ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের (ইপিআর) সদস্যরা। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এ বাহিনীর রয়েছে গৌরবময় অবদান। স্বাধীনতাযুদ্ধে ইপিআরের ৮০০ সদস্য শাহাদত বরণ করেন। এঁদের মধ্যে ছিলেন বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ ও বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আবদুর রউফ।
 
==তথ্য সূত্র==