তন্ত্র: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৩ নং লাইন:
[[File:1 Tantra collage.jpg|thumb|তন্ত্র কলাসমূহ (উপর থেকে, দক্ষিণাবর্তে) : হিন্দু তান্ত্রিক দেবতা, বৌদ্ধ তান্ত্রিক দেবতা, জৈন তান্ত্রিক চিত্র, [[কুণ্ডলিনী]] চক্র, একটি [[যন্ত্র]] এবং একাদশ শতাব্দীর [[সাঁইচো]] (টেন্দাই তন্ত্র পরম্পরার প্রতিষ্ঠাতা)]]
 
'''তন্ত্র''' {{refn|group=note|{{lang-sa|तन्त्र}}, often simply means "treatise" or "exposition". Literally it san be said to mean "loom, warp"; hence "principle, system, doctrine, theory", from the verbal root ''{{IAST|tan}}'' "stretch, extend, expand", and the suffix ''{{IAST|tra}}'' "instrument", anglicised as '''tantrism''' or '''tantricism'''}} হল [[ভারত|ভারতে]] খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতাব্দীর পর প্রচলিত এক বিশেষ ধরনের উপাসনা ও সাধনপদ্ধতির নাম।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Einoo |প্রথমাংশ=Shingo (ed.) |বছর=2009 |পাতা=45 |শিরোনাম=Genesis and Development of Tantrism |প্রকাশক=University of Tokyo}}</ref> "তন্ত্র" শব্দটির প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় [[ঋগ্বেদ|ঋগ্বেদে]] (দশম। ৭১71.9)।<ref name=Banerjee>Banerjee, S.C., 1988.</ref> [[হিন্দু]], তিব্বতীয় [[বোন ধর্ম|বোন]], দাও তথা জাপানের [[শিন্টো]], [[বৌদ্ধ]] ও [[জৈন]] মতবাদগুলিকে এবং [[পূর্ব এশিয়া|পূর্ব]] ও [[দক্ষিণপূর্ব এশিয়া|দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায়]] [[রেশম পথে বৌদ্ধধর্মের সম্প্রসারণ|রেশম পথে বৌদ্ধধর্মের সম্প্রসারণে]] তন্ত্র বিশেষ প্রভাব বিস্তার করেছিল।{{sfn|White|2000|p=7}}
 
''তন্ত্র'' পরম্পরাগত মাধ্যমে যুক্ত একটি [[আগম]]শাস্ত্র। ভারতীয় পরম্পরায়, যে কোনো ব্যবস্থিত গ্রন্থ, সিদ্ধান্ত, বিধি, উপকরণ, কলাকৌশল বা কার্যপ্রণালীকেও ''তন্ত্র'' বলা হয়।<ref>Ron Barrett (2008). Aghor Medicine. University of California Press. p. 12. ISBN 978-0-520-25218-9.</ref><ref>[https://en.wikipedia.org/wiki/Tantra#CITEREFFlood2006 Flood 2006], pp. 9–14.</ref>
১৩ নং লাইন:
তন্ত্রশাস্ত্রকে উত্তর-বৈদিক যুগের রচনা বলে মনে করা হয়, যার বিকাশলাভ প্রথম সহস্রাব্দের মধ্যভাগের কাছাকাছি সময়ে ঘটেছিল। সাহিত্যরূপে যেভাবে [[হিন্দু পুরাণ|পুরাণ]] গ্রন্থকে মধ্যযুগীয় দার্শনিক-ধার্মিক রচনা হিসাবে মান্য করা হয়ে থাকে, সেভাবেই তন্ত্রশাস্ত্রে প্রাচীন আখ্যান, কাহিনি ইত্যাদির সমাবেশ রয়েছে। বিষয়বস্তুগত দৃষ্টিতে একে [[ধর্ম]], [[দর্শন]], [[সৃষ্টি]]রচনা শাস্ত্র, প্রাচীন বিজ্ঞান ইত্যাদির [[বিশ্বকোষ]]ও বলা যেতে পারে। ইউরোপীয় পণ্ডিতেরা তাঁদের ঔপনিবেশিকতাবাদী উদ্দেশ্যসাধনে তন্ত্রকে 'গুহ্য সাধনা' (esoteric practice) বা 'সাম্প্রদায়িক কার্যকলাপ' আখ্যা দিয়ে দিগভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন। {{Sfn|Padoux|2002|p=17}}{{Sfn|White|2005|p=8984}}{{Sfn|Gray|2016|pp=3-4}}
 
বস্তুত তন্ত্রগ্রন্থের সংখ্যা সহস্রাধিক, কিন্তু প্রধান-প্রধান তন্ত্রগ্রতন্ত্রগ্রন্থের সংখ্যা 213টি বলা হয়ে থাকে। তন্ত্রের প্রভাব যে বিশ্বস্তরীয়, তার প্রমাণ হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, তিব্বতি ইত্যাদি ধর্মের তন্ত্র-সাধনার গ্রন্থসমূহ। [[ভারত]]ে প্রাচীনকাল থেকেই [[বঙ্গ]], [[বিহার]] ও [[রাজস্থান]] তন্ত্রের মুখ্যপীঠ ছিল।
 
==ব্যুৎপত্তি==