করোটিক স্নায়ু: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

| Name = করোটিককরোটিকা স্নায়ু

| Caption = (বাম অংশে) নিচ থেকে মানুষের মস্তিষ্ক, যেখানে করোটিককরোটিকা স্নায়ুর উৎপত্তিস্থল দেখা যাচ্ছে। (ডান অংশে) ফোরমিনাসহ করোটির নিচের অংশের জুক্সাটাপোজড অংশ যেখান থেকে অনেক স্নায়ু করোটি থেকে বাইরের দিকে বিস্তৃত হয়।

| Caption2 = করোটির নিচের অংশ থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় করোটিককরোটিকা স্নায়ু।

'''করোটিককরোটিকা স্নায়ু''' ({{Lang-en|cranial nerves}}) বা '''ক্রেনিয়াল নার্ভ''' হচ্ছে সেসকল [[স্নায়ু|স্নায়ু]] যা সরাসরি [[মস্তিষ্ক]] থেকে উদ্ভূত। [[ব্রেইনস্টেম]] থেকে উদ্ভূত স্নায়ুগুলোও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। উল্লেখ্য, করোটিককরোটিকা স্নায়ুগুলোর মধ্যে দশটির উৎপত্তিস্থল-ই ব্রেইনস্টেম। করোটিককরোটিকা স্নায়ু [[মেরু স্নায়ু]] থেকে আলাদা, কারণ মেরু স্নায়ু [[সুষুম্নাকাণ্ড|সুষুম্নাকাণ্ডের]] বিভিন্ন অংশ থেকেও সৃষ্টি হয়।<ref name="Vilensky2">{{cite book|last=Vilensky|first=Joel|last2=Robertson|first2=Wendy|last3=Suarez-Quian|first3=Carlos|title=The Clinical Anatomy of the Cranial Nerves: The Nerves of "On Olympus Towering Top"|year=2015|publisher=Wiley-Blackwell|location=Ames, Iowa|isbn=978-1-118-49201-7}}</ref> মস্তিষ্ক ও শরীরের বিভিন্ন অংশের মধ্যে তথ্য আদানপ্রদানে করোটিককরোটিকা স্নায়ু কাজ করে, যার মধ্যে প্রাথমিক কাজটি হচ্ছে শরীরের মাথা ও ঘাড়ের অংশের সাথে তথ্য আদানপ্রদান করা।<ref name="Gray's2008">{{cite book|first=Susan|last=Standring|first2=Neil R.|last2=Borley|title=Gray's anatomy: the anatomical basis of clinical practice|year=2008|publisher=Churchill Livingstone/Elsevier|location=[Edinburgh]|isbn=978-0-443-06684-9|edition=40th|chapter=Overview of cranial nerves and cranial nerve nuclei}}</ref>

মেরু স্নায়ু ক্রমানুসারে মেরুরজ্জু থেকে উৎপন্ন হয়। এদের মধ্যে মাথার ([[সি১ স্নায়ু|সি১]]) সবচেয়ে কাছের মেরু স্নায়ুর উৎপত্তি প্রথম কশেরুকার ওপরের ফাঁকা স্থান থেকে। অপরদিকে করোটিককরোটিকা স্নায়ুর উৎপত্তি এই অংশের উপরের অংশে অবস্থিত [[কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র]] থেকে।<ref name="Kandel2">{{cite book|last=Kandel|first=Eric R.|title=Principles of neural science|year=2013|publisher=McGraw Hill|location=Appleton and Lange|isbn=978-0-07-139011-8|pages=1019–1036|edition=5}}</ref> প্রত্যেকটি করোটিককরোটিকা স্নায়ুর উৎপত্তি জোড়াবদ্ধভাবে ও মস্তিষ্কের উভয় পাশ থেকে। বিভিন্ন সংজ্ঞা অনুসারে মানুষের শরীরে বারো থেকে তেরো জোড়া করোটিককরোটিকা স্নায়ু রয়েছে যেগুলোকে সাধারণত [[রোমান সংখ্যা]] (I – XII) দ্বারা নির্দেশ করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে এই ক্রম শুরু হয় শূন্যতম করোটিককরোটিকা স্নায়ু থেকে যা টার্মিনাল স্নায়ু (0) বা ক্রেনিয়াল নার্ভ জিরো নামেও পরিচিত। করোটিককরোটিকা স্নায়ুর এই ক্রম মস্তিষ্কে তাদের উৎপত্তিস্থলের ক্রমের ওপর ভিত্তি করে সৃষ্ট যা মস্তিষ্কের সামনের অংশ ([[অগ্রমস্তিষ্ক]]) থেকে শুরু হয়ে পেছনের অংশ (ব্রেইনস্টেম) পর্যন্ত বিস্তৃত।<ref name="Vilensky5">{{cite book|last=Vilensky|first=Joel|last2=Robertson|first2=Wendy|last3=Suarez-Quian|first3=Carlos|title=The Clinical Anatomy of the Cranial Nerves: The Nerves of "On Olympus Towering Top"|year=2015|publisher=Wiley-Blackwell|location=Ames, Iowa|isbn=978-1-118-49201-7}}</ref>

[[টার্মিনাল স্নায়ু]] (0), [[অলফ্যাক্টরি স্নায়ু]] (I), ও [[অপটিক স্নায়ু|অপটিক স্নায়ুর]] (II) সৃষ্টি [[গুরুমস্তিষ্ক]] বা অগ্রমস্তিষ্ক থেকে এবং বাকি দশ জোড়া করোটিককরোটিকা স্নায়ুর সৃষ্টি ব্রেইনস্টেম থেকে যার অবস্থান মস্তিষ্কের নিচের অংশে।<ref name="Vilensky3">{{cite book|last=Vilensky|first=Joel|last2=Robertson|first2=Wendy|last3=Suarez-Quian|first3=Carlos|title=The Clinical Anatomy of the Cranial Nerves: The Nerves of "On Olympus Towering Top"|year=2015|publisher=Wiley-Blackwell|location=Ames, Iowa|isbn=978-1-118-49201-7}}</ref>

করোটিককরোটিকা স্নায়ুগুলো [[প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্র|প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্রের]] (পিএনএস) একটি অংশ হিসেবে বিবেচিত,<ref name="Vilensky4">{{cite book|last=Vilensky|first=Joel|last2=Robertson|first2=Wendy|last3=Suarez-Quian|first3=Carlos|title=The Clinical Anatomy of the Cranial Nerves: The Nerves of "On Olympus Towering Top"|year=2015|publisher=Wiley-Blackwell|location=Ames, Iowa|isbn=978-1-118-49201-7}}</ref> যদিও গঠনগত দিক থেকে অলফ্যাক্টরি (I), অপটিক (II) ও ট্রাইজেমিনাল (V) স্নায়ুগুলো [[কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র|কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের]] (সিএনএস) অংশ।<ref>''Board Review Series – Neuroanatomy'', Fourth Edition, Lippincott Williams & Wilkins, Maryland 2008, p. 177. .</ref>