'''শেখ হাসিনা ওয়াজেদওয়াজেদ''' (জন্ম ২৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৭) [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] বর্তমান বিরোধীদলীয়বিরোধীদলীয় নেত্রী, [[বাংলাদেশ আওয়ামীআওয়ামী লীগ|বাংলাদেশ আওয়ামীআওয়ামী লীগের]] সভানেত্রী, এবং স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি [[শেখ মুজিবুর রহমান|শেখ মুজিবুর রহমানের]] কন্যা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এক সামরিক অভ্যুথ্বানে তিনি ও তার বোন [[শেখ রেহানা]] বাদে তার পরিবারের সকল সদস্যকে হত্যা করা হয়।হয়। বোনদ্বয়বোনদ্বয় সেইসময়সেইসময় পড়াশুনারপড়াশুনার জন্য [[পশ্চিম জার্মানী|পশ্চিম জার্মানীতে]] অবস্থান করছিলেন।
শেখ মুজিবুর রহমান ও তার ছেলেদের মৃত্যুতে নেতৃত্বশূন্য আওয়ামীআওয়ামী লীগ ১৯৮১ সালে সর্বসম্মতিক্রমে শেখ হাসিনাকে দলের নেতা হিসেবে নির্বাচিত করে। ১৯৮২ সালে জেনারেল [[এরশাদের|এরশাদের]] ক্ষমতায়ক্ষমতায় আরোহনকে অবৈধ ঘোষনা করলেও তার দল ১৯৮৬ সালে এই সামরিক শাসকের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহন করে, যা থেকে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো বিরত ছিল।
১৯৯৬ সালে তার দল আওয়ামীআওয়ামী লীগ [[তত্বাবধায়কতত্বাবধায়ক সরকার|তত্বাবধায়কতত্বাবধায়ক সরকারের]] দাবীতে [[জামায়াতেজামায়াতে ইসলামী]] ও অন্যান্য [[বামপন্থী]] দলগুলোর সাথে যুক্ত হয়েহয়ে [[হরতাল]], [[ধর্মঘট]], ও [[অবরোধ]] কর্মসূচীর মাধ্যমে খালেদা জিয়ারজিয়ার বিএনপি সরকারকে তত্বাবধায়কতত্বাবধায়ক সরকারের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে বাধ্য করে। সে'বছর সাধারন নির্বাচনে আওয়ামীআওয়ামী লীগ বিজয়ীবিজয়ী হলে তিনি প্রধানমন্ত্রী হন।
বিএনপি, জামায়াতজামায়াত, [[জাতীয়জাতীয় পার্টি]] ([[নাজিউর রহমান মঞ্জু]]), ও [[ইসলামী ঐক্যজোট]] এর নির্বাচনী জোটের কাছে [[২০০১]] সালের [[১ অক্টোবর|১ অক্টোবরের]] নির্বাচনে আওয়ামীআওয়ামী লীগ পরাজিত হয়।হয়। শেখ হাসিনা দলের এই পরাজয়েরপরাজয়ের জন্য দায়ীদায়ী করেন তারই মনোনীত তত্কালীন [[সাহাবুদ্দীন আহমেদ|রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন আহমেদ]], সাবেক প্রধান বিচাপতি এবং তত্বাবধায়কতত্বাবধায়ক সরকার প্রধান [[লতিফুর রহমান|বিচারপতি লতিফুর রহমান]], ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার [[এম এ সাঈদ|এম এ সাঈদকে]]।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীআওয়ামী লীগ জুন ২০০৪ পর্যন্ত [[সংসদ]] বর্জন করেছে এবং বিভিন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহনসহ সকল প্রকার গনতান্ত্রিক কর্মকান্ড থেকে বিরত থেকেছে। এখন পর্যন্ত তার দলের মূল দাবী হলো অবিলম্বে জোট সরকারের পতন এবং নির্ধারিত সময়েরসময়ের আগেই সংসদ নির্বাচন। সম্প্রতি তিনি তত্বাবধায়কতত্বাবধায়ক সরকারের গঠন প্রক্রিয়াপ্রক্রিয়া পরিবর্তনেরও দাবী জানিয়েছেন।জানিয়েছেন।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায়ঢাকায় এক জনসভায়জনসভায় বক্তৃতাদানকালে গ্রেনেড হামলায়হামলায় এই নেত্রী অল্পের জন্য প্রানে বেঁচে যান। উক্ত হামলায়হামলায় তার দেহরক্ষী ও আওয়ামীআওয়ামী লীগ নেত্রী [[আইভি রহমান|আইভি রহমানসহ]] ১৯ জন মৃত্যুবরন করেন ও শতাধিক আহত হন। [[বিচারবিভাগীয়বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন|বিচারবিভাগীয়বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশনের]] রিপোর্টে এই হামলাকে বিদেশী ষড়যন্ত্রষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করা হয়।হয়।
